
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে বগুড়ার আদমদীঘির খামারিরা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণে ব্যস্ত সময় পার করছে। আসন্ন কোরবানির ঈদে উপজেলায় ৪৬২২০ চাহিদা থাকলেও খামারগুলিতে চাহিদার অতিরিক্ত ৪৭৭২৮ হাজার পশু প্রস্তত করে রাখা হয়েছে। ফলে চাহিদার চেয়ে উপজেলায় পশু বেশি আছে। কোন পশুর সংকট নেই। তাই খামারিয়া বাড়তি পশু উপজেলার বাইরে বিক্রি করার প্রস্ততি নিচ্ছেন। উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উপজেলায় ৬টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভা মিলে প্রায় ২৫০০ খামার আছে। খামারগুলিতে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করা হচ্ছে। আগামী ঈদুল আযাহা উপলক্ষে উপজেলায় ইতিমধ্যে কোরবানিযোগ্য ৪৭৭২৮ পশু প্রস্তত করা হয়েছে। উপজেলায় এবার ৪৬২২০ কোরবানির চাহিদা রয়েছে। এর মধ্যে ষাঁড় রয়েছে ৭৯৮৮টি,বলদ রয়েছে ৬৫৬টি, গাভী রয়েছে ৬১৩৩টি, ছাগল রয়েছে ৩০৩৩০টি, ও ভেড়া রয়েছে ২৪৯৯টি। ফলে চাহিদা মিটিয়ে খামারিরা বাড়তি পশু উপজেলার বাইরে বিক্রি করতে পারবেন।
আদমদীঘি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে জানা গেছে,উপজেলায় এবার কোরবানির জন্য উপজেলার বিভিন্ন স্থানে মোট ১২টি পশুর হাট বসবে। কোন হাটে কোরবানির পশু অসুস্থ্য হয়ে পড়লে, সেথানে ভেটেনারী মেডিকেল টিম সেবা দেবে। উপজেলার খামারিরা জানান উপজেলার প্রায় সব খামারেই কোন প্রকার ক্ষতিকারক ওষুধ ছাড়াই প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে গরু মোটাতাজাকরণ করা হয়ে থাকে। এবারে খামারিরা নিজস্ব উদ্যোগে এ বিষয়ে সর্তক আছেন। উপজেলার ফুলজান এগ্রো ফুডস এর মালিক ফুল মোহাম্মদ সবুজ জানান তিনি প্রায় এক যুগ ধরে তার ফার্মে গরু মোটাতাজাকরণ করে কোরবানির ঈদে বিক্রি করে থাকেন।
আরো পড়ুন: আদমদীঘির সদর ইউপির উন্মুক্ত বাজেট ঘোষণা
তিনি গরুকে প্রাকৃতিক খাবার দেন। এবার তার ফার্মে কোরবানির জন্য ছোটবড় মোট ৩০ টি গরু প্রস্তত করা হয়েছে। কোন গ্রাহক তার ফার্ম থেকেও গরু সংগ্রহ করতে পারেন। আদমদীঘি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ আমিরুল ইসলাম জানান, এবার জেলায় অতিরিক্ত প্রায় ৪৭৭২৮ টি গরু প্রস্তত করা হয়েছে। উপজেলার কোরবানির চাহিদা মিটিয়েও পশু বাড়তি থাকবে। সতরাং অহেতুক সিন্ডিকেট তৈরি করে দাম বাড়ানোর কোনো সুযোগ এবার থাকছে না।
3 thoughts on “আদমদীঘিতে চাহিদার তুলনায় বেশি আছে কোরবানির পশু”