
বরগুনার আমতলী পৌরসভাসহ উপজেলার সর্বত্র ডাকাত আতংকে মসজিদের মাইকে এলাকাবাসীকে সর্তকতা অবলম্ভন করতে বলা হচ্ছে। রাস্তায় সাধারণ মানুষের রাতভর পাহারা। পুলিশ বলছে বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব। জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের আঙ্গুলকাটা গ্রামে ডাকাত ঢুকছে এমন সংবাদ ওই গ্রামের মসজিদের মাইক দিয়ে সর্তকতা মূলক প্রচারনা চালানো হয়। এতে মানুষ আতংকিত হয়ে টর্চ লাইট হাতে নিয়ে রাস্তায় বেড়িয়ে আসে। এরপর চাওড়া ইউনিয়নের ঘটখালী গ্রামে, হলদিয়া, আমতলী সদর ইউনিয়ন এবং পৌরসভার ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের নয়া-ভাঙ্গুলী ও লোচা গ্রামে ডাকাত পড়েছে মর্মে ওই এলাকার মসজিদগুলোর মাইক দিয়ে সতর্কতা হিসেবে সাধারণ মানুষকে বাড়ির বাহিরে এসে ডাকাতরের প্রতিহত করতে অনুরোধ করা হয়।
এভাবে আমতলী উপজেলার হলদিয়া, কুকুয়া, আঠারগাছিয়া ইউনিয়নের সর্বত্র ডাকাত আতংকে মসজিদের মাইকে এলাকাবাসীকে সর্তকতা অবলম্ভন ও পাহারা দিতে বাড়ীর বাহিরে আসতে অনুরোধ করা হয়।
অপরদিকে আমতলী থানা পুলিশের দাবী বিষয়টি একদম গুজব। একটি মহল উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে মিথ্যা ডাকাত পড়ার তথ্য ছড়িয়ে মানুষের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করছে। মাঠে একাধিক পুলিশের টিম টহল দিচ্ছে।
আমতলী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইসরাত শাহ আল-আমিন পিকু ও ফারুক মিয়া বলেন, রাত সাড়ে ১১টার পর পৌরসভাসহ আমতলী উপজেলার সর্বত্র ডাকাত আতংকে মসজিদের মাইকে এলাকাবাসীকে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে। তারা আরো বলেন, আসলেই কি সত্যি সত্যি ডাকাত পড়ছে, না কোন একটি মহল মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে মানুষদের মধ্যে আতংক সৃষ্টি করছে সেটাই বুঝতেছিনা।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আরিফুর রহমান আরিফ বলেন, বিষয়টি সম্পূর্ন গুজব। তবে তিনি সাধারণ মানুষকে আতংকিত না হয়ে সকলকে সচেতন থাকতে এবং বাড়িতে পুরুষ শুন্য না রেখে বাড়িতে লোকজন রাখতে বলেন। তিনি আরো বলেন, ডাকাত আতংকে আমিসহ পুলিশের একাধিক টিম সারারাত মাঠে টহল দিয়েছি।