Dhaka 9:34 pm, Monday, 24 March 2025

হাসিনা সরকারের নজিরবিহীন লুটপাট

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দেশ ।

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। তার সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে দেশের ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোয় (নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান) নজিরবিহীন লুটপাটের প্রভাব আরও প্রকটভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে। সার্বিকভাবে তিন মাসে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ বেড়েছে ১ হাজার ১৭১ কোটি টাকা। লুটপাটের কারণে গড় হিসাবে ফাইন্যান্স কোম্পানিতে কোনো মূলধন নেই। মূলধনে ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ও মূলধন থেকে কোনো আয় নেই। বাড়ছে লোকসান। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, ৩৫টি ফাইন্যান্স কোম্পানির মধ্যে গত সরকারের সময়ে ১১টি কোম্পানিতে বড় ধরনের লুটপাট হয়েছে। ১৪টি কোম্পানিতে প্রয়োজন অনুযায়ী মূলধন রয়েছে। ১৬টি কোম্পানিতে প্রয়োজন অনুযায়ী মূলধনে ঘাটতি রয়েছে। লুটপাট ও খেলাপি ঋণ মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়ায় বাকি ৫টি কোম্পানিতে সমুদয় মূলধন ক্ষয় হয়ে গেছে। লুটপাটের কারণে কোম্পানিগুলোয় খেলাপি ঋণ, প্রভিশন ঘাটতি, মূলধন ঘাটতি, লোকসানের মাত্রা ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ বেড়ে গেছে। কমে গেছে আয়। ফলে শোয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেওয়ার প্রবণতাও কমে গেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, কোম্পানিগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের বিপরীতে মৌলিক মূলধন সংরক্ষণের হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম।২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মূলধন বিনিয়োগ থেকে লোকসান ছিল ৭ টাকা ৮৫ পয়সা। গত বছরের জুনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৬৭ পয়সা।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

হাসিনা সরকারের নজিরবিহীন লুটপাট

Update Time : 09:56:30 am, Sunday, 23 March 2025

ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়েছেন শেখ হাসিনা। তার সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে দেশের ফাইন্যান্স কোম্পানিগুলোয় (নন-ব্যাংক আর্থিক প্রতিষ্ঠান) নজিরবিহীন লুটপাটের প্রভাব আরও প্রকটভাবে দৃশ্যমান হচ্ছে। সার্বিকভাবে তিন মাসে ঝুঁকিপূর্ণ ঋণ বেড়েছে ১ হাজার ১৭১ কোটি টাকা। লুটপাটের কারণে গড় হিসাবে ফাইন্যান্স কোম্পানিতে কোনো মূলধন নেই। মূলধনে ঘাটতি রয়েছে। এ ঘাটতি ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানের সম্পদ ও মূলধন থেকে কোনো আয় নেই। বাড়ছে লোকসান। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, ৩৫টি ফাইন্যান্স কোম্পানির মধ্যে গত সরকারের সময়ে ১১টি কোম্পানিতে বড় ধরনের লুটপাট হয়েছে। ১৪টি কোম্পানিতে প্রয়োজন অনুযায়ী মূলধন রয়েছে। ১৬টি কোম্পানিতে প্রয়োজন অনুযায়ী মূলধনে ঘাটতি রয়েছে। লুটপাট ও খেলাপি ঋণ মাত্রাতিরিক্ত হারে বাড়ায় বাকি ৫টি কোম্পানিতে সমুদয় মূলধন ক্ষয় হয়ে গেছে। লুটপাটের কারণে কোম্পানিগুলোয় খেলাপি ঋণ, প্রভিশন ঘাটতি, মূলধন ঘাটতি, লোকসানের মাত্রা ও ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের পরিমাণ বেড়ে গেছে। কমে গেছে আয়। ফলে শোয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দেওয়ার প্রবণতাও কমে গেছে।প্রতিবেদনে বলা হয়, কোম্পানিগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের বিপরীতে মৌলিক মূলধন সংরক্ষণের হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কম।২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে মূলধন বিনিয়োগ থেকে লোকসান ছিল ৭ টাকা ৮৫ পয়সা। গত বছরের জুনে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ টাকা ৬৭ পয়সা।