
গত তিন মাসে কারাগারে নির্যাতনের শিকার হয়ে বিএনপির ১৩ জন নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। রিজভী বলেন, প্রত্যেকটি মৃত্যু পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। বৃহস্পতিবার বিনা অপরাধে রংপুর কারাগারে বন্দি রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মীটারী মহিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলামকে নির্যাতন করে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, মনোয়ারুলের বাবা ফজলে রহমান ও ছোট ভাই হারুনসহ স্বজনরা বলেছেন, ১৩ জানুয়ারি সুস্থ সবল মনোয়ারুলকে পুলিশ দিনের বেলায় বাসা থেকে তুলে থানায় নিয়ে যায়। এরপর সেইদিন আদালতে চালান না দিয়ে পরের দিন রাত পর্যন্ত থানায় আটকে রেখে বর্বরোচিত কায়দায় অমানুষিক নির্যাতন করা হয়। তার সমস্ত শরীরে, পায়ে, পিঠে ও মাথায় আঘাতের গভীর চিহ্ন দেখা গেছে। পুলিশ নির্যাতন চালিয়ে মনোয়ারুলকে বিনা চিকিৎসায় হত্যা করেছে। মনোয়ারুলসহ কারা হেফাজতে মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনার আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করছি
আরো পড়ুন:ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ
তিনি আরও বলেন, কারা সেলগুলো একেকটি শ্বাসরুদ্ধকর কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্পে পরিণত করা হয়েছে। প্রতিটি কারাগারের ভেতরে কারাবিধির সমস্ত সুযোগ-সুবিধা কেড়ে নিয়ে বন্দি নেতাকর্মীদের ওপর চালানো হচ্ছে বীভৎস নিপীড়ন। খাওয়ার কষ্ট দেওয়া হচ্ছে। চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না। ছাত্রলীগের সাবেক চিহ্নিত সন্ত্রাসী ক্যাডারদের কারা কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়ে শেখ হাসিনা কারাগারেও বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর নিপীড়ন চালাতে লেলিয়ে দিয়েছে। সরকার প্রতি মুহূর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে।
আরো পড়ুন:মারা গেছেন গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা বিএনপির সভাপতি
রিজভী বলেন, ৭ জানুয়ারির বিরোধী দলহীন উদ্ভট ডামি নির্বাচন নির্বিঘ্ন ও কণ্টকমুক্ত করার জন্য গুম, খুন, গায়েবী মামলা, গ্রেপ্তার, হয়রানি ও বাড়িঘর ভাঙচুরের যে ভয়াবহতা চলছিল তা এখনও অব্যাহত রেখেছে একনায়ক ডামি সরকার। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে দেশজুড়ে বেপরোয়া গ্রেপ্তার অব্যাহত রয়েছে। দেশের কারাগারগুলো এখন বিএনপি নেতাকর্মীতে ঠাসা। তিনি বলেন, গত ১৭ ডিসেম্বরে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেছিলেন, ‘নির্বাচনে প্রতিবন্ধকতা দূর করতে বিএনপির ২০ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে জেলে রাখা হয়েছে। আমরা চিন্তা ভাবনা করেই এই কাজ করেছি। তাদেরকে জেলে না ভরলে দেশ অচল হয়ে যেত।’
One thought on “‘তিন মাসে কারাগারে নির্যাতনে বিএনপির ১৩ নেতার মৃত্যু’”