
শব্দটা বার্সেলোনার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর নামের একাংশ। তাই যেন এ শব্দটা দেখলেই বার্সেলোনা তেঁতে ওঠে বেশ করে। অন্তত এই মৌসুমে তো বটেই। দলটার ট্র্যাক রেকর্ড কিন্তু সেটাই বলছে। চলতি মৌসুমে রিয়াল দেখলেই বার্সার ছিঁড়েখুঁড়ে ফেলার তীব্র বাসনার দেখা মেলে।
‘রিয়াল’ দেখলেই বার্সার জ্বলে ওঠার শুরু আগস্টে। সে মাসের শেষ দিনে রিয়াল ভায়াদোলিদকে দলটা উড়িয়ে দিয়েছিল ৭-০ গোলে। এরপর অক্টোবরে রিয়াল মাদ্রিদকে তাদেরই মাঠে ৪-০ গোলে হারায় ফ্লিকের দল। মাঝের দুবার ‘রিয়াল’ নামের দলের বিপক্ষে অবশ্য হোঁচট খেয়েছে বার্সা, সে আলোচনাটা একটু পরই নাহয় করা যাবে।বার্সা আবার ধারায় ফিরল মাদ্রিদকে দেখেই। স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে সেবার ৫-২ গোলে হারাল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের। এর ঠিক পরের ম্যাচে আরেক ‘রিয়াল’ বেতিসকে উড়িয়ে দিল ৫-১ গোলে, যাতে করে আগের মাসে তাদের মাঠে লিগ ম্যাচে ড্র করে পয়েন্ট খোয়ানোর শোধবোধ কিছুটা হলেও করা হয় দলটার। গেলেন এ রাতে। কাজটা সহজ হয়ে গিয়েছিল, রোনাল্ড আরাউহো আর রবার্ট লেভান্ডভস্কির গোলে ৬০ মিনিটেই ম্যাচটার সব হিসাব শেষ করে দেয় বার্সা। স্প্যানিশ শব্দ ‘রিয়াল’ এর মানে হচ্ছে রাজকীয়। আর বার্সা যে আজকের বার্সা হয়ে ওঠার পেছনের গল্প, ‘মোর দ্যান আ ক্লাবের’ গল্প, তার পেছনে জনতার কাতারে থাকাটা কাজ করেছে ভালোভাবে।