Dhaka 11:24 pm, Tuesday, 18 March 2025

পলিশ করা মিনিকেট চাল নিয়ে কারসাজি

পলিশ করা মিনিকেট চাল

প্রতি বছর রমজানের সময় সাধারণত চালের দাম কম থাকে। কারণ, এ সময় চালের চাহিদা কমে যায়। বিশেষ করে রমজানের মাঝামাঝিতে এসে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দামই তুলনামূলক কম থাকে। কিন্তু এবার চালের দাম না কমে উলটো বেড়েছে। বিশেষ করে মিনিকেট চালের দাম।

গতকাল সোমবার রাজধানীর কাওরান বাজার, বাবুবাজার ও তুরাগ এলাকার নতুন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সরু চাল নাজিরশাইলের দাম তেমন না বাড়লেও ভালো মানের এই চালের কেজি ৮৫ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা।

ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় মিনিকেট চালের সরবরাহ কম। যে কারণে এই চালের দাম বাড়তি। এ প্রসঙ্গে বাজার সংশ্লিষ্ট-ব্যক্তিরা বলেছেন, মিনিকেট নামে ধানের কোনো জাত নেই। তাই মিনিকেট নামে কোনো চালও নেই। ব্রি ধান-২৮, ব্রি ধান-২৯, ব্রি হাইব্রিড ধান ও কাজল লতার মতো মোটা জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল পলিশ করে মিনিকেট নামে ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বাজারে এখন এসব ধানের সরবরাহ কম। আগামী এপ্রিলের শেষ নাগাদ বোরো মৌসুম শুরু হলে এসব জাতের ধানের সরবরাহ বাড়বে। তখন মিনিকেট নামের এই চালের দাম কমে আসবে।

তারা বলেন, মিনিকেট চালের নামে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। কারসাজি করে বেশি দামে ভোক্তাদের কাছে এই চাল বিক্রি করা হচ্ছে। গতকাল বাজার ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে প্রতি কেজি মিনিকেট ৭৮ থেকে ৮৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা দুই সপ্তাহ আগে ৭০ থেকে ৭৫ টাকার মধ্যে পাওয়া গেছে। এছাড়া, বাজারে অন্যান্য চালের মধ্যে মানভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৭৯ থেকে ৮৫ টাকা ও মোটা চাল ইরি/স্বর্ণা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

পলিশ করা মিনিকেট চাল নিয়ে কারসাজি

Update Time : 02:47:39 pm, Tuesday, 18 March 2025

প্রতি বছর রমজানের সময় সাধারণত চালের দাম কম থাকে। কারণ, এ সময় চালের চাহিদা কমে যায়। বিশেষ করে রমজানের মাঝামাঝিতে এসে প্রায় সব ধরনের নিত্যপণ্যের দামই তুলনামূলক কম থাকে। কিন্তু এবার চালের দাম না কমে উলটো বেড়েছে। বিশেষ করে মিনিকেট চালের দাম।

গতকাল সোমবার রাজধানীর কাওরান বাজার, বাবুবাজার ও তুরাগ এলাকার নতুন বাজারে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মিনিকেট চালের দাম কেজিতে ৮ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সরু চাল নাজিরশাইলের দাম তেমন না বাড়লেও ভালো মানের এই চালের কেজি ৮৫ টাকা ছাড়িয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তারা।

ব্যবসায়ীরা বলেছেন, বাজারে চাহিদার তুলনায় মিনিকেট চালের সরবরাহ কম। যে কারণে এই চালের দাম বাড়তি। এ প্রসঙ্গে বাজার সংশ্লিষ্ট-ব্যক্তিরা বলেছেন, মিনিকেট নামে ধানের কোনো জাত নেই। তাই মিনিকেট নামে কোনো চালও নেই। ব্রি ধান-২৮, ব্রি ধান-২৯, ব্রি হাইব্রিড ধান ও কাজল লতার মতো মোটা জাতের ধান থেকে উৎপাদিত চাল পলিশ করে মিনিকেট নামে ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, বাজারে এখন এসব ধানের সরবরাহ কম। আগামী এপ্রিলের শেষ নাগাদ বোরো মৌসুম শুরু হলে এসব জাতের ধানের সরবরাহ বাড়বে। তখন মিনিকেট নামের এই চালের দাম কমে আসবে।

তারা বলেন, মিনিকেট চালের নামে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে। কারসাজি করে বেশি দামে ভোক্তাদের কাছে এই চাল বিক্রি করা হচ্ছে। গতকাল বাজার ঘুরে দেখা যায়, মানভেদে প্রতি কেজি মিনিকেট ৭৮ থেকে ৮৪ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা দুই সপ্তাহ আগে ৭০ থেকে ৭৫ টাকার মধ্যে পাওয়া গেছে। এছাড়া, বাজারে অন্যান্য চালের মধ্যে মানভেদে প্রতি কেজি নাজিরশাইল ৭৯ থেকে ৮৫ টাকা ও মোটা চাল ইরি/স্বর্ণা ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।