Dhaka 2:39 am, Monday, 17 March 2025

কেসিসিতে দরপত্র কমিটি থেকে প্রধান প্রকৌশলীর পদত্যাগ,কাজ পেতে নানামুখী চাপ

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের কাজ নিয়ে নানামুখী ঘটনা ঘটছে।কাজ পেতে হুমকি ও অব্যাহত চাপের মুখে গতকাল দরপত্র মুল্যায়ন কমিটির আহবায়কের পদ থেকে সরে দাড়িয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী মো: মশিউজ্জামান খান।
কেসিসি থেকে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে জাতীয় এডিপিতে কেসিসির তিনটি প্রকল্পে ৪৯৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা চলতি বছরে পাওয়া যাবে।
এই তিনটি প্রকল্প হচ্ছে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত ও উন্নয়ন, খুলনা মহানগরীতে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন। এসব প্রক্লপের আওতায় নগর জুড়ে চলছে উন্নয়ন কাজ।গত অর্থ বছরে শেষ না হওয়া কাজের দরপত্রের প্রক্রিয়া চলছে। এসব কাজ নিয়ে নানামুখী তৎপরতা শুরু করেছেন সাধারণ ও বিএনপি সমর্থক ঠিকাদাররা।ভুক্তভোগীরা জানান, গত ১৫ বছর অধিকাংশ বিএনপি নেতাই কেসিসিতে কাজ করতে পারেননী।এতে করে অনেকের ব্যাবসা বন্ধ হয়ে যায়।পরবর্তী পরিস্থিতিতে সবাই ঠিকাদারি কাজ নিতে নগর ভবনে ভিড় করছেন।
একটি দরপত্রের বিপরীতে একাধিক নেতা তদবির করছেন। একজনকে কাজ দিলে অন্যরা তার বিরোধিতা করেছেন। এ নিয়ে পুর্ত বিভাগে ঝগড়া বিবাদ লেগেই আছে।সুত্রটি জানায়,ঠিকাদারি কাজে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে সরকারি ক্রয় আইন। আইনে একাধিক ঠিকাদার একই দর প্রদান করলে,যিনি সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন ওই ঠিকাদার অঅগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ পাবেন বলে উল্লেখ রয়েছে। দেখা গেছে গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতিষ্ঠানই বেশি কাজ করেছে।
ই- জিপিতে অনলাইন দরপত্র জমা দেওয়া হলে তারাই কাজের যোগ্য বলে বিবেচিত হচ্ছেন।নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগীতায় টিকতে পারছে না।বিএনপি নেতা ও সমর্থিত টিকাদাররা গত ১৫ বছর কাজ করার সুযোগ পাননি।এখন কাজ করতে এসে আইনের মারপ্যাচে তারা কাজ পাচ্ছেন না।সুত্রটি জানায়,এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের ঠিকাদারের লাইসেন্স নিয়ে অনেকে কাজ নিচ্ছেন।তাদের বিরোধীতা করছেন অনেক অংশ। আবার কাজ পেতেও মোটা অংকের টাকা লেনদেন হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
এসব নিয়ে সব পক্ষই ক্ষোভ ঝাড়ছেন প্রকৌশলীদের উপর। উভয় চাপে পড়ে গতকাল দরপত্র মুল্যায়ন কমিটির আহবায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী। বিকালে তিনি কেসিসির প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরে অব্যাহতির আবেদন জমা দেন।একই আবেদন তিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছেন বলে জানাগেছে।
এ ব্যাপারে কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী মো: মশিউজ্জামান খান বলেন, অভ্যন্তরিন কিছু সমস্যার কারনে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

কেসিসিতে দরপত্র কমিটি থেকে প্রধান প্রকৌশলীর পদত্যাগ,কাজ পেতে নানামুখী চাপ

Update Time : 09:08:17 pm, Thursday, 17 October 2024
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের কাজ নিয়ে নানামুখী ঘটনা ঘটছে।কাজ পেতে হুমকি ও অব্যাহত চাপের মুখে গতকাল দরপত্র মুল্যায়ন কমিটির আহবায়কের পদ থেকে সরে দাড়িয়েছেন প্রধান প্রকৌশলী মো: মশিউজ্জামান খান।
কেসিসি থেকে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে জাতীয় এডিপিতে কেসিসির তিনটি প্রকল্পে ৪৯৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে, যা চলতি বছরে পাওয়া যাবে।
এই তিনটি প্রকল্প হচ্ছে খুলনা সিটি কর্পোরেশনের গুরুত্বপূর্ণ ও ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত ও উন্নয়ন, খুলনা মহানগরীতে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন। এসব প্রক্লপের আওতায় নগর জুড়ে চলছে উন্নয়ন কাজ।গত অর্থ বছরে শেষ না হওয়া কাজের দরপত্রের প্রক্রিয়া চলছে। এসব কাজ নিয়ে নানামুখী তৎপরতা শুরু করেছেন সাধারণ ও বিএনপি সমর্থক ঠিকাদাররা।ভুক্তভোগীরা জানান, গত ১৫ বছর অধিকাংশ বিএনপি নেতাই কেসিসিতে কাজ করতে পারেননী।এতে করে অনেকের ব্যাবসা বন্ধ হয়ে যায়।পরবর্তী পরিস্থিতিতে সবাই ঠিকাদারি কাজ নিতে নগর ভবনে ভিড় করছেন।
একটি দরপত্রের বিপরীতে একাধিক নেতা তদবির করছেন। একজনকে কাজ দিলে অন্যরা তার বিরোধিতা করেছেন। এ নিয়ে পুর্ত বিভাগে ঝগড়া বিবাদ লেগেই আছে।সুত্রটি জানায়,ঠিকাদারি কাজে বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছে সরকারি ক্রয় আইন। আইনে একাধিক ঠিকাদার একই দর প্রদান করলে,যিনি সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন ওই ঠিকাদার অঅগ্রাধিকার ভিত্তিতে কাজ পাবেন বলে উল্লেখ রয়েছে। দেখা গেছে গত ১৫ বছর ধরে আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রতিষ্ঠানই বেশি কাজ করেছে।
ই- জিপিতে অনলাইন দরপত্র জমা দেওয়া হলে তারাই কাজের যোগ্য বলে বিবেচিত হচ্ছেন।নতুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান প্রতিযোগীতায় টিকতে পারছে না।বিএনপি নেতা ও সমর্থিত টিকাদাররা গত ১৫ বছর কাজ করার সুযোগ পাননি।এখন কাজ করতে এসে আইনের মারপ্যাচে তারা কাজ পাচ্ছেন না।সুত্রটি জানায়,এ অবস্থায় আওয়ামী লীগ সমর্থিতদের ঠিকাদারের লাইসেন্স নিয়ে অনেকে কাজ নিচ্ছেন।তাদের বিরোধীতা করছেন অনেক অংশ। আবার কাজ পেতেও মোটা অংকের টাকা লেনদেন হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
এসব নিয়ে সব পক্ষই ক্ষোভ ঝাড়ছেন প্রকৌশলীদের উপর। উভয় চাপে পড়ে গতকাল দরপত্র মুল্যায়ন কমিটির আহবায়কের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী। বিকালে তিনি কেসিসির প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারের দপ্তরে অব্যাহতির আবেদন জমা দেন।একই আবেদন তিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়েছেন বলে জানাগেছে।
এ ব্যাপারে কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী মো: মশিউজ্জামান খান বলেন, অভ্যন্তরিন কিছু সমস্যার কারনে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেছি।