
সংস্কার ও নির্বাচনকে মুখোমুখি দাঁড় করানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, বিএনপি দুই থেকে আড়াই বছর আগেই সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছে। তখনই এ ব্যবস্থার পরিবর্তনের কথা বলেছে। রাজধানীর মালিবাগে একটি রেস্তোরাঁয় আজ শনিবার ১২–দলীয় জোটের ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমাদের রাজনীতির মূল লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশ ও দেশের জনগণ। দেশ ও জনগণের যে ক্ষতিগুলো হয়েছে, সে ক্ষতিগুলো রাজনৈতিক দলগুলোর সুযোগ এলে পরিবর্তন করতে হবে। আর এই পরিবর্তনটাকে আমরা রাষ্ট্রকাঠামোর মেরামত বলেছিলাম।’ তিনি বলেন, ‘আমরা স্বৈরাচারের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে দুই থেকে আড়াই বছর আগে সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছিলাম। বলেছিলাম, এ ব্যবস্থার পরিবর্তন হওয়া উচিত।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন যে সংস্কার শেষ হবে, তারপরে নির্বাচন হবে। আমি ব্যক্তিগতভাবে বিশ্বাস করি যে সমস্ত কাজ, যেটা শেষ হয়েছে, সেটাতে সংস্কার হতে পারে না। এটি আসলে একটি চলমান প্রক্রিয়া।’
সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপির ৩১ দফার কথা তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, ২০০৮ সাল থেকে ফ্যাসিবাদ ও মাফিয়া সরকার জনগণের কাঁধে চেপে বসেছিল। তিনি বলেন, ‘প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে সেটি অর্থনৈতিক বলি, শিক্ষাব্যবস্থা বলি, সমাজব্যবস্থা বলি, প্রশাসন, সিভিল প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন হোক; চিকিৎসাব্যবস্থাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রকে একদম ধ্বংস করে দিয়েছিল। মানুষের প্রত্যাশার সম্পূর্ণ বিপরীতে নিয়ে গিয়েছিল পুরো পরিস্থিতি।
তারেক রহমান বলেন, গণতন্ত্র বলতে একজন সাধারণ মানুষের কাছে এককথায় নির্বাচন। নিরপেক্ষ, নির্ভয়ে ভোট দেওদার যে ব্যবস্থা, সেটাই গণতন্ত্র। এটি বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র হিসেবে প্রচলিত বা স্বীকৃত। তিনি বলেন, ‘যে ঐক্য নিয়ে আমরা স্বৈরাচারকে বিদায় করেছিলাম, সেই ঐক্য ধরে রাখতে হবে। আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে আগামী দিনে ঐক্য বজায় রেখে দেশের মানুষের প্রত্যাশিত গণতন্ত্রকে আমরা প্রতিষ্ঠা করব। এই দেশের মানুষের প্রত্যাশিত সংস্কার প্রক্রিয়াকে আমরা সবাই মিলে আলোচনার মাধ্যমে বাস্তবায়ন করব।’