Dhaka 10:31 pm, Saturday, 15 March 2025

লাল চালের ভাত খেলে কী হয়

লাল চাল খাওয়া স্বাস্থ্যকর ।

আমাদের বাঙালিদের খাবারের তালিকার সঙ্গে ভাতের সম্পর্ক অনেক গভীর। পোলাও বা সাদা ভাত ছাড়া অনেকের খাবার অসম্পূর্ণ মনে হয়। তবে সাদা ভাতে অনেক বেশি ক্যালোরি ও অপ্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা অনেকেরই প্রায় অজানা।

সুস্বাস্থ্যের জন্য লাল চাল খাওয়ার উল্লেখযোগ্য কিছু উপকারিতা হলো:
হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস: সম্প্রতি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির টিএইচ চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথ- এর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, লাল চালের ভাত সলিউবল সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়া রোধে: সাদা চালে যেহেতু শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট  বেশি থাকে। ফলে অল্প সময়ে রক্তের সুগার অনেক বেড়ে যায়। এটি ভাঙতেও শরীরের বেশ সময় লাগে এবং রক্তে সুগারের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ায়। ফলে ডায়াবেটিকস রোগীদের ক্ষেত্রে ইনসুলিন কম প্রয়োজন হয়।

হজম স্বাস্থ্য ভালো রাখে: লাল চালে ফাইবার বা আঁশ থাকে। বেশি বেশি আঁশযুক্ত খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায় ও কোলন ক্যান্সারে ঝুঁকি কমে যায়। লাল চালে অদ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে।

দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধ: লাল চালের কুড়ায় ‘ফ্ল্যাভোনয়েড’ নামক কিছু রোগ প্রতিরোধক পদার্থ থাকে। এগুলো রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও, লাল চালে উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

লাল চালের ভাত খেলে কী হয়

Update Time : 03:12:47 pm, Tuesday, 25 February 2025

আমাদের বাঙালিদের খাবারের তালিকার সঙ্গে ভাতের সম্পর্ক অনেক গভীর। পোলাও বা সাদা ভাত ছাড়া অনেকের খাবার অসম্পূর্ণ মনে হয়। তবে সাদা ভাতে অনেক বেশি ক্যালোরি ও অপ্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট থাকে, যা অনেকেরই প্রায় অজানা।

সুস্বাস্থ্যের জন্য লাল চাল খাওয়ার উল্লেখযোগ্য কিছু উপকারিতা হলো:
হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস: সম্প্রতি হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির টিএইচ চ্যান স্কুল অফ পাবলিক হেলথ- এর এক গবেষণায় বলা হয়েছে, লাল চালের ভাত সলিউবল সমৃদ্ধ হওয়ায় এটি কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি হ্রাস করে।

ব্লাড সুগার বেড়ে যাওয়া রোধে: সাদা চালে যেহেতু শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট  বেশি থাকে। ফলে অল্প সময়ে রক্তের সুগার অনেক বেড়ে যায়। এটি ভাঙতেও শরীরের বেশ সময় লাগে এবং রক্তে সুগারের পরিমাণ ধীরে ধীরে বাড়ায়। ফলে ডায়াবেটিকস রোগীদের ক্ষেত্রে ইনসুলিন কম প্রয়োজন হয়।

হজম স্বাস্থ্য ভালো রাখে: লাল চালে ফাইবার বা আঁশ থাকে। বেশি বেশি আঁশযুক্ত খাবার খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায় ও কোলন ক্যান্সারে ঝুঁকি কমে যায়। লাল চালে অদ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে।

দীর্ঘমেয়াদি রোগ প্রতিরোধ: লাল চালের কুড়ায় ‘ফ্ল্যাভোনয়েড’ নামক কিছু রোগ প্রতিরোধক পদার্থ থাকে। এগুলো রোগ প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এছাড়াও, লাল চালে উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে।