
সুন্দরবন ও আশপাশের জীববৈচিত্র্য ধ্বংসের অন্যতম কারণ হিসেবে রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রকে দায়ী করে সেটি দ্রুত বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশবিদরা। তাদের দাবি, কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্রের চুল্লি থেকে নির্গত ধোঁয়া প্রায় ২৫ কিলোমিটার জুড়ে পরিবেশে বিরূপ প্রভাব ফেলে। অথচ এই বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের মাত্র ১০ কিলোমিটারের মধ্যে স্থাপন করা হয়েছে, যা পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের ওপর ভয়াবহ প্রভাব ফেলছে।বুধবার (২৮ মে) মোংলা উপজেলা মিলনায়তনে ‘উপকূলের প্রাণ-প্রকৃতি ও পরিবেশ সংরক্ষণ’ শীর্ষক এক সমাবেশে এসব কথা বলেন পরিবেশ সংগঠন ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা)-এর সদস্য সচিব এবং ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ-এর সমন্বয়কারী শরীফ জামিল।তিনি বলেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রভাবে সুন্দরবনের আশপাশের গ্রাম, গবাদি পশু, মানুষের স্বাস্থ্য এবং পশুর নদীর পানিতে দূষণের মাত্রা ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। এখনই যদি এই কেন্দ্রটি বন্ধ করা না হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে সরকার সুন্দরবন রক্ষা করতে আগ্রহী নয়।
শরীফ জামিল আরও বলেন, বাংলাদেশের আনাচে-কানাচে পরিবেশ রক্ষায় কাজ করছেন অনেক অসাধারণ ব্যক্তি। তাদের উদাহরণ সমাজের সামনে তুলে ধরতে পারলে আরও অনেক মানুষ পরিবেশ সংরক্ষণের কাজে উদ্বুদ্ধ হবেন। মহাপ্রাণ সুন্দরবন ও উপকূলীয় অঞ্চলের প্রকৃতি রক্ষায় সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শারমিন আক্তার সুমী, মোংলা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর কে এম রব্বানী, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ-এর সদস্য ও খোয়াই রিভার ওয়াটারকিপার তোফাজ্জেল সোহেল, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়কারী ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ এবং উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রশান্ত কুমার হাওলাদার।