Dhaka 8:53 pm, Monday, 2 June 2025

ইন্টারকে বিধ্বস্ত করে পিএসজির ইউরোপসেরা হওয়ার ইতিহাস

চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতে ইতিহাস

চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়ল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ১৪ বছরের বিনিয়োগ, মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে অধ্যায় পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত সফল কোচ লুইস এনরিকের তরুণ দল। জার্মানির মিউনিখে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ইউরোপসেরার মুকুট পরে ফরাসি ক্লাবটি।

মাত্র ১২ মিনিটেই গোল করে শুরু করেন হাকিমি। ২০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ১৯ বছরের ফরোয়ার্ড দেজিরে দুয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিন গোল—দুয়ের একটি, খিচা কাভারেস্কাইয়া ও মাইয়ুলুর একটি করে—মিলিয়ে ম্যাচে পরিণত হয় পিএসজির দাপুটে প্রদর্শনীতে।

ইন্টার পুরো ম্যাচে মাত্র দুইটি অনটার্গেট শট নিতে পেরেছে, দুটিই প্রথমার্ধে। দ্বিতীয়ার্ধে একেবারেই নিষ্প্রভ ছিল সিমোনে ইনজাঘির দল। বরং এনরিকে ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন প্রাণবন্ত, ডাগআউট থেকে উদ্‌যাপন করেছেন প্রতিটি গোল।

এই জয়ে ‘তারকা নির্ভরতা’ ছেড়ে তরুণদের নিয়ে দল গড়া পিএসজির কৌশলের সফল পরিণতি মিলেছে। ১৯৬২ সালের পর প্রথমবার কোনো টিনএজার হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে জোড়া গোল করে ইতিহাস গড়েছেন দুয়ে। আর হাকিমির ভাষায়, “এই ক্লাবের এটা প্রাপ্য ছিল।”

২০২০ সালে যেই বায়ার্নের মাঠে শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল, এবার সেই মাঠেই ইউরোপের ফুটবলের সর্বোচ্চ ক্লাব ট্রফি ঘরে তুলল পিএসজি। সমর্থকদের চোখে এই রাত যেন কোনো দিন শেষ না হয়।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

ইন্টারকে বিধ্বস্ত করে পিএসজির ইউরোপসেরা হওয়ার ইতিহাস

Update Time : 06:51:27 am, Sunday, 1 June 2025

চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথমবারের মতো শিরোপা জিতে ইতিহাস গড়ল প্যারিস সেন্ট জার্মেই (পিএসজি)। ১৪ বছরের বিনিয়োগ, মেসি-নেইমার-এমবাপ্পে অধ্যায় পেরিয়ে শেষ পর্যন্ত সফল কোচ লুইস এনরিকের তরুণ দল। জার্মানির মিউনিখে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ইউরোপসেরার মুকুট পরে ফরাসি ক্লাবটি।

মাত্র ১২ মিনিটেই গোল করে শুরু করেন হাকিমি। ২০ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ১৯ বছরের ফরোয়ার্ড দেজিরে দুয়ে। দ্বিতীয়ার্ধে আরও তিন গোল—দুয়ের একটি, খিচা কাভারেস্কাইয়া ও মাইয়ুলুর একটি করে—মিলিয়ে ম্যাচে পরিণত হয় পিএসজির দাপুটে প্রদর্শনীতে।

ইন্টার পুরো ম্যাচে মাত্র দুইটি অনটার্গেট শট নিতে পেরেছে, দুটিই প্রথমার্ধে। দ্বিতীয়ার্ধে একেবারেই নিষ্প্রভ ছিল সিমোনে ইনজাঘির দল। বরং এনরিকে ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছেন প্রাণবন্ত, ডাগআউট থেকে উদ্‌যাপন করেছেন প্রতিটি গোল।

এই জয়ে ‘তারকা নির্ভরতা’ ছেড়ে তরুণদের নিয়ে দল গড়া পিএসজির কৌশলের সফল পরিণতি মিলেছে। ১৯৬২ সালের পর প্রথমবার কোনো টিনএজার হিসেবে চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে জোড়া গোল করে ইতিহাস গড়েছেন দুয়ে। আর হাকিমির ভাষায়, “এই ক্লাবের এটা প্রাপ্য ছিল।”

২০২০ সালে যেই বায়ার্নের মাঠে শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল, এবার সেই মাঠেই ইউরোপের ফুটবলের সর্বোচ্চ ক্লাব ট্রফি ঘরে তুলল পিএসজি। সমর্থকদের চোখে এই রাত যেন কোনো দিন শেষ না হয়।