
হাজার হাজার বিক্ষোভকারীদের বিক্ষোভে রণক্ষেতে পরিণত হয়েছে তুরস্ক। প্রেসিডেন্ট এরদোগানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ইকরেম ইমামোগলুকে আনুষ্ঠানিকভাবে দুর্নীতি দায়ে গ্রেপ্তার করায় তুরস্ক জুড়ে এর প্রতিবাদ জানাতে রাস্তায় নেমেছে অন্তত ১০ হাজার বিক্ষোভকারী। ইকরেম ইমামোগলু হলেন ইস্তাম্বুলের মেয়র। একই সঙ্গে তুরস্কে ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পিপলস পার্টি (সিএইচপি) থেকে প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন। প্রেসিডেন্ট পদে লড়াইয়ে তাকে মনোনীত করতে গতকাল রোববার (২৩ মার্চ) ভোট হওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু তাকে গেপ্তারের ফলে রোববার রাতে তুরস্কে গত এক দশকের মধ্যে ভয়াবহ বিক্ষোভ হয়। এ বিক্ষোভ দমনে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস এবং রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে।
ইমামোগলু বলেছেন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ হওয়ায় তাকে উদ্দেশ্য প্রোণোদিতভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ তাকে রিমান্ডে নেয়ার আগে এক্স পোস্টে তিনে বলেন, ‘আমি মাথা নত করব না’।
এরদোগান বিক্ষোভকারীদের এমন কর্মকাণ্ডের নিন্দা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, দেশের শান্তি শৃঙ্খলা বিনষ্ট করতে এবং জনগণের মাঝে ঐক্য বিনষ্ট করতে সিএইচপির নেতারা এ কাজ করছেন।
২০১৩ সালে ইস্তাম্বুলে একটি স্থানীয় পার্ক ভেঙে ফেলার প্রতিবাদে রাস্তায় নামেন হাজার হাজার বিক্ষোভকারী। এবার ইমামোগলুকে গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আবারও রাস্তায় নেমেছে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী।
ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তুরস্কের ৮১ প্রদেশের মধ্যে অন্তত ৫৫টি প্রদেশে এই বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা দেশটির দুই তৃতীয়াংশ অঞ্চলের সমান।
শুধু ইমামোগলুকেই নয়, তার পাশাপাশি আরও ১০০ জনকে গত বুধবার আটক করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে- রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক এবং ব্যবসায়ী।
গতকাল রোববার তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে- অপরাধ সংগঠন পরিচালনা, ঘুষ নেয়া, চাঁদাবাজি, বেআইনিভাবে ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ এবং দরপত্র জালিয়াতি। বিচারের আগে তাকে হেফাজতে রাখা হয়েছে। এএফপি এবং স্থানীয় মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, তাকে সিলিভরি কারাগারে নেয়া হয়েছে। এদিকে তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ইমামোগলুকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।