
মৌলভীবাজারের বড়লেখায় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে চা শ্রমিক গোপাল বাক্তির মৃত্যুর
ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে বিএনপি। রোববার রাতে বড়লেখা পৌরশহরে বিক্ষোভ মিছিলে
বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্রদল ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অংশ নেন। প্রতিবাদ
সমাবেশে বক্তব্য দেন- জেলা বিএনপি’র সাবেক উপদেষ্টা ও কাতার বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক শরীফুল হক
সাজু, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সহ-সভাপতি নছিব আলী, পৌর বিএনপি’র সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল
ইসলাম, উপজেলা বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুস শহীদ খান, সাইফুল আলম
খোকন, সাবেক প্রচার সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস স্বপন, পৌর বিএনপি’র সাবেক আহ্বায়ক মুহাচ্ছিনুর রহমান
বাদল, বিএনপি নেতা মীর মখলিছুর রহমান প্রমুখ। এ সময় শরীফুল হক সাজু বলেন, বিএসএফ একের পর এক
সীমান্তে নিরীহ বাংলাদেশি নাগরিকদের গুলি করে হত্যা করেছে। গত আগস্টে তারা স্কুলছাত্রী স্বর্ণা দাসকে
পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে লাশ ফেলে যায়। এই হত্যার বিচার না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেয়া
হবে। অন্যদিকে গোপাল বাক্তির মৃত্যুর ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে মৌলভীবাজার জেলা
জামায়াত। রোববার রাতে গণমাধ্যমে প্রেরিত এক বিবৃতিতে জেলা জামায়াতের আমীর প্রকৌশলী মো. শাহেদ
আলী ও সেক্রেটারি মো. ইয়ামীর আলী এ হত্যাকাণ্ডের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ সীমান্তে
এভাবে নিরীহ মানুষ হত্যা কাঙ্ক্ষিত নয়। অবিলম্বে এ ধরনের হত্যা বন্ধ করতে হবে এবং গোপাল হত্যাকারীদের
আইনের আওতায় এনে দ্রুত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এর আগে রোববার বিকালে নিহত গোপালের
পরিবারকে তাৎক্ষণিক দেখতে যান জামায়াতের জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রহমান ও বড়লেখা-
জুড়ী সংসদীয় আসনের জামায়াত মনোনীত প্রার্থী মাওলানা আমিনুল ইসলাম। তারা নিহত পরিবারের প্রতি
গভীর সমবেদনা জানান। উল্লেখ্য, গত শনিবার বড়লেখা সীমান্তের জিরো লাইনে বিএসএফ গোপাল বাক্তিকে
গুলি করে হত্যা করে। পরদিন বিকালে বিজিবি, পুলিশ ও স্বজনরা জিরো লাইনের ২০০ গজ বাংলাদেশ অভ্যন্তর
থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে। নিহত গোপাল বাক্তি উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের নিউ সমনবাগ
চা বাগানের মোকাম সেকশনের সাবেক ইউপি সদস্য অকিল বাক্তির ছেলে। নিহতের বাবা সাবেক ইউপি সদস্য
অকিল বাক্তি বলেন, আমার ছেলেসহ কয়েকজন মিলে পাহাড়ে বাঁশ আনতে গিয়েছিল। সেখানে বিএসএফ
আমার ছেলেকে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করেছে।