Dhaka 11:20 pm, Friday, 21 March 2025

সুন্দরবন রক্ষায় দূষণরোধ ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন করতে হবে

সুন্দরবন

সুন্দরবন রক্ষায় দূষণরোধ ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন করতে হবে। সুন্দরবনের নদী খালে বিষ দূষণকারী ও হরিণ শিকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ভূমি দস্যুদের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে সুন্দরবনের আয়তন ছোট হয়ে আসছে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র’র কয়লা দূষণেও পশুর নদ এবং সুন্দরবন আক্রান্ত। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন এবং বনবিনাশী প্রকল্প ও কার্যক্রম বন্ধ করতে না পারলে সুন্দরবনের অস্তিত্ব থাকবেনা।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল ১১টায় ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), সুন্দরবন রক্ষায় আমরা, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ও সার্ভিস বাংলাদেশ’র আয়োজনে আন্তর্জাতিক বন দিবস উপলক্ষে মোংলা সরকারি কলেজের ম্যানগ্রোভ বনে সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ নিধন ও হরিণ শিকারসহ সকল বন্যপ্রাণী হত্যা বন্ধ এবং বনবিনাশী প্রকল্প বাতিলের দাবিতে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।

অবস্থান কর্মসুচিতে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন রক্ষায় আমরাথর সমন্বয়কারী পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ।

এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সার্ভিস বাংলাদেশথর সভাপতি পরিবেশকর্মী মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, ধরা’র নেত্রী কমলা সরকার, ছবি হাজরা, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র ইদ্রিস ইমন, পরিবেশকর্মী হাছিব সরদার, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার নাজমুল হোসেন, ডলার মোল্লা, মেহেদী হাসান, পরিবেশকর্মী মারুফ হাওলাদার প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়কারী পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করে কিন্তু সুন্দরবনকে রক্ষা করবে কে। গরমের দিনে কিছু কিছু এলাকায় অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সুন্দরবনে আগুন লাগিয়ে থাকে। দখল এবং দূষণে সুন্দরবন ভারাক্রান্ত।

পরিবেশকর্মী মোস্তাফিজুর রহমান মিলন বলেন, কয়লা, বিষ এবং প্লাস্টিক দূষণে সুন্দরবনে জীববৈচিত্র ধ্বংস হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বন দিবসে সুন্দরবন রক্ষায় আমাদের শপথগ্রহণ করতে হবে। ধরাথর নেত্রী কমলা সরকার বলেন বনবিনাশী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করার পাশাপাশি সুন্দরবনের বাপারজোন এলাকায় বেপরোয়া শিল্পায়ন রুখতে না পারলে সুন্দরবন রক্ষা করা যাবে না।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

সুন্দরবন রক্ষায় দূষণরোধ ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন করতে হবে

Update Time : 05:38:52 pm, Friday, 21 March 2025

সুন্দরবন রক্ষায় দূষণরোধ ও বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন করতে হবে। সুন্দরবনের নদী খালে বিষ দূষণকারী ও হরিণ শিকারীরা বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। ভূমি দস্যুদের আগ্রাসী মনোভাবের কারণে সুন্দরবনের আয়তন ছোট হয়ে আসছে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র’র কয়লা দূষণেও পশুর নদ এবং সুন্দরবন আক্রান্ত। বন্যপ্রাণী অপরাধ দমন এবং বনবিনাশী প্রকল্প ও কার্যক্রম বন্ধ করতে না পারলে সুন্দরবনের অস্তিত্ব থাকবেনা।

শুক্রবার (২১ মার্চ) সকাল ১১টায় ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), সুন্দরবন রক্ষায় আমরা, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ও সার্ভিস বাংলাদেশ’র আয়োজনে আন্তর্জাতিক বন দিবস উপলক্ষে মোংলা সরকারি কলেজের ম্যানগ্রোভ বনে সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ নিধন ও হরিণ শিকারসহ সকল বন্যপ্রাণী হত্যা বন্ধ এবং বনবিনাশী প্রকল্প বাতিলের দাবিতে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।

অবস্থান কর্মসুচিতে সভাপতিত্ব করেন সুন্দরবন রক্ষায় আমরাথর সমন্বয়কারী পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ।

এসময়ে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সার্ভিস বাংলাদেশথর সভাপতি পরিবেশকর্মী মোস্তাফিজুর রহমান মিলন, ধরা’র নেত্রী কমলা সরকার, ছবি হাজরা, সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র ইদ্রিস ইমন, পরিবেশকর্মী হাছিব সরদার, পশুর রিভার ওয়াটারকিপার ভলান্টিয়ার নাজমুল হোসেন, ডলার মোল্লা, মেহেদী হাসান, পরিবেশকর্মী মারুফ হাওলাদার প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে সুন্দরবন রক্ষায় আমরা’র সমন্বয়কারী পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মোঃ নূর আলম শেখ বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুন্দরবন আমাদের রক্ষা করে কিন্তু সুন্দরবনকে রক্ষা করবে কে। গরমের দিনে কিছু কিছু এলাকায় অসাধু মাছ ব্যবসায়ীরা হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য সুন্দরবনে আগুন লাগিয়ে থাকে। দখল এবং দূষণে সুন্দরবন ভারাক্রান্ত।

পরিবেশকর্মী মোস্তাফিজুর রহমান মিলন বলেন, কয়লা, বিষ এবং প্লাস্টিক দূষণে সুন্দরবনে জীববৈচিত্র ধ্বংস হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বন দিবসে সুন্দরবন রক্ষায় আমাদের শপথগ্রহণ করতে হবে। ধরাথর নেত্রী কমলা সরকার বলেন বনবিনাশী রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করার পাশাপাশি সুন্দরবনের বাপারজোন এলাকায় বেপরোয়া শিল্পায়ন রুখতে না পারলে সুন্দরবন রক্ষা করা যাবে না।