
দেশের চা বাগানের শ্রমিকরা ভাসমান অবস্থায় থাকবে না বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এ বিষয়ে সরকার ব্যবস্থা নেবে।মঙ্গলবার (৪ জুন) সকালে চা দিবস উপলক্ষ্যে ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের উদ্যোগের ফলেই উত্তরবঙ্গে চা বাগান ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বলেন, চা শ্রমিকদের আর্থিক স্বচ্ছলতার পাশাপাশি তাদের নিরাপত্তা নিয়েও কাজ করছে সরকার। তারা যাতে পরিবার নিয়ে স্বচ্ছন্দে থাকতে পারে সে বিষয়ে সরকার সবসময়ই মনোযোগী।
আরো পড়ুন:বৃহস্পতিবার পটুয়াখালী যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী বলেন, লালমনিরহাট জেলায় চা বিভাগের একটি স্থায়ী অফিস নির্মাণ করা হয়েছে। একসময় যেসব এলাকা গো-চারণভূমি ছিল সেসব এয়াকা এখন চায়ের ক্ষেতে রূপান্তরিত হয়েছে। চা বোর্ড এই বিষয়ে সব ধরনের সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। সময়ের সাথে চায়ের চাহিদা বেড়ে চলছে। আগে নিলামের চা শুধু চট্টগ্রামেই বিক্রি হতো। বর্তমান সরকার সিলেটেও নিলামে চা বিক্রির ব্যবস্থা করে দিয়েছে। বর্তমানে ১৬৮টি বৃহৎ চা বাগান এবং ৮ হাজারেরও অধিক ক্ষুদ্র আয়তনের বাগানে চা চাষ হচ্ছে। এ পর্যন্ত চায়ের উন্নত জাতের ১৩টি ক্লোন উদ্ভাবন করা হয়েছে। এসময় চা নিয়ে গবেষণার প্রতি বিশেষভাবে নজর দিতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরো পড়ুন:রাজার চেয়েও বেশি সম্পদ প্রধানমন্ত্রীর
এসময় চা বাগান মালিকদের শ্রমিকদের প্রতি যত্নবান হতে পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা তাদের নাগরিকত্ব দিয়ে গেছেন। তবে দুর্ভাগ্য তাদের এই দেশে একখণ্ড জায়গা নেই। তাদের স্বাস্থ্য, চিকিৎসা, ও তাদের সন্তানদের শিক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে। বেশি কাজ চাইলে শ্রমিকদের প্রতি যত্নবান হওয়ার বিকল্প নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। চা বাগানে সোলার প্যানেল স্থাপন করা দরকার বলে মন্তব্য করেন শেখ হাসিনা। এতে বিদ্যুৎ শাস্ত্রয়ের পাশাপাশি মালক শ্রমিকরাও উপকৃত হবেন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।