Dhaka 1:37 am, Saturday, 15 March 2025

রাজশাহীর ১০টি মামলা প্রত্যাহারে সংবাদ সম্মেলন

রাজশাহীর ১০টি মামলা প্রত্যাহারে

পূর্ব বিরোধের জেরে এলাকার দরিদ্র কৃষক পরিবারের বিরুদ্ধে ১০ টি হয়রানি মূলক ও মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বিসিএসে সুপারিশকৃত এক প্রশাসন ক্যাডার। গত ৫ বছরে তিনি ১০ টি মামলা করেছেন।গোদাগাড়ী উপজেলার পশুপতিপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে মনিরুজ্জামানকে মামলাবাজ হিসেবে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী পরিবারসহ এলাকাবাসী।

গত সোমবার সকাল ১০ টায় উপজেলা সদরের খাবারবাড়ি হোটেলে গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ঐ কৃষক পরিবারটি। সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত
বক্তব্য পাঠ করেন নাজমুল হোদার ছেলে আশিকুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে আশিকুল
ইসলাম বলেন,আমি একজন পেশায় কাঠ মিস্ত্রি এবং আমার পরিবারের লোকজন
অসহায় দরিদ্র কৃষক। আমরা এবং একই গ্রামের মনিরুজ্জামান প্রতিবেশী হই।
পূর্ব বিরোধের জেরে মামলা বাজ মনিরুজ্জামান আমি এবং আমার পরিবারসহ
গ্রামের অসহায় দরিদ্র কৃষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে হয়রানি
মূলক ও মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মোঃ মনিরুজ্জামান, পিতাঃ মোঃ নুরুজ্জামান
একজন বিসিএস সুপারিশকৃত প্রশাসন ক্যাডার। তিনি একজন মামলা বাজ
প্রকৃতির লোক। তিনি এক সময় রাজশাহীর আদালতে চাকুরীরত ছিলেন। সে
সুবাদে তিনি, আমার পরিবারসহ গ্রামের অসহায় দরিদ্র কৃষকের নামে প্রায়
১০টি মামলা দায়ের করেন। যা সম্পূর্ণ হয়রানি মূলক ও মিথ্যা মামলা। নুরুজ্জামান
বিগত পতিত সরকারের আমলে একজন আওয়ামীলিগের দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন।

তাদের মার্কেট সংলগ্ন এখনো আওয়ামীলিগের কার্যালয় আছে। সেই দলীয়
প্রভাব কে কাজে লাগিয়ে আমার নামে ৫টি, আমার পিতা নাজমুল হোদার নামে
০৭টি, আমার ভাই মোঃ আব্দুর রহিমের নামে ৫টি ও আমার মাতা রমেশা বেগম এর
নামে ১টি মামলা সহ গ্রামের ২০ জন মানুষের বিরুদ্ধে মোট ১০টি মিথ্যা ও
হয়রানি মূলক মামলা দায়ের করেন এবং উক্ত মামালগুলো আওয়ামীলিগের ক্ষমতার
অপব্যবহার করে তদন্ত ছাড়াই জোর পূর্বক আমাদের গ্রেপ্তার করে। মামলা বাজ
মনিরুজ্জমানের রোষানলে পরে আমরা সর্বশ্য হারিয়েছি। আমাকে মনিরুজ্জামান
০১৭৮৭-৯২১৮৭৩ নম্বর থেকে র‌্যাব পরিচয়ে একাধিক বার তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি
প্রদান করেছেন।

মামলা গুলো রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১, গোদাগাড়ী মডেল থানা ও রাজপাড়া, রাজশাহী থানায় দায়ের করেন। মামলাগুলোর বাদী হিসেবে কোন মামলায় মনিরুজ্জামান নিজে কোন মামলায় তার ভাই বদিউজ্জমান
আবার কোন মামলায় তার দুলাভাই মতিনকে ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার এবং পরিবার সহ গ্রামের অসহায় দরিদ্র লোকজনের দাবী পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের মিথ্যা বানোয়াট ও হয়রানি মূলক মামলাগুলো প্রত্যহার করতে হবে।
এছাড়াও প্রশাসন সহ দেশের বর্তমান সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ আমাদের
নামে করা মামলা গুলো সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীকে আইনের আওতায় আনা
হোক। উক্ত এলাকার আমির হোসেন বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের
মিথ্যা মামলায় পড়ে আমি আমার ৫ টি গরু খুইয়েছি। কেউ ধান বিক্রি করে
মামলা চালিয়েছে আবার কেউ জমি বিক্রি করে। কেউ আবার চাকুরীও হারিয়েছেন।
মনিরুজ্জামান বাড়ির মহিলাদেরকেও মামলায় ফাঁসিয়েছেন। তার মামলায় পড়ে
আমরা সর্বশান্ত হয়েছি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

রাজশাহীর ১০টি মামলা প্রত্যাহারে সংবাদ সম্মেলন

Update Time : 08:05:52 pm, Tuesday, 25 February 2025

পূর্ব বিরোধের জেরে এলাকার দরিদ্র কৃষক পরিবারের বিরুদ্ধে ১০ টি হয়রানি মূলক ও মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন বিসিএসে সুপারিশকৃত এক প্রশাসন ক্যাডার। গত ৫ বছরে তিনি ১০ টি মামলা করেছেন।গোদাগাড়ী উপজেলার পশুপতিপুর গ্রামের নুরুজ্জামানের ছেলে মনিরুজ্জামানকে মামলাবাজ হিসেবে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী পরিবারসহ এলাকাবাসী।

গত সোমবার সকাল ১০ টায় উপজেলা সদরের খাবারবাড়ি হোটেলে গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন ঐ কৃষক পরিবারটি। সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত
বক্তব্য পাঠ করেন নাজমুল হোদার ছেলে আশিকুল ইসলাম। লিখিত বক্তব্যে আশিকুল
ইসলাম বলেন,আমি একজন পেশায় কাঠ মিস্ত্রি এবং আমার পরিবারের লোকজন
অসহায় দরিদ্র কৃষক। আমরা এবং একই গ্রামের মনিরুজ্জামান প্রতিবেশী হই।
পূর্ব বিরোধের জেরে মামলা বাজ মনিরুজ্জামান আমি এবং আমার পরিবারসহ
গ্রামের অসহায় দরিদ্র কৃষকদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে হয়রানি
মূলক ও মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। মোঃ মনিরুজ্জামান, পিতাঃ মোঃ নুরুজ্জামান
একজন বিসিএস সুপারিশকৃত প্রশাসন ক্যাডার। তিনি একজন মামলা বাজ
প্রকৃতির লোক। তিনি এক সময় রাজশাহীর আদালতে চাকুরীরত ছিলেন। সে
সুবাদে তিনি, আমার পরিবারসহ গ্রামের অসহায় দরিদ্র কৃষকের নামে প্রায়
১০টি মামলা দায়ের করেন। যা সম্পূর্ণ হয়রানি মূলক ও মিথ্যা মামলা। নুরুজ্জামান
বিগত পতিত সরকারের আমলে একজন আওয়ামীলিগের দলীয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ছিলেন।

তাদের মার্কেট সংলগ্ন এখনো আওয়ামীলিগের কার্যালয় আছে। সেই দলীয়
প্রভাব কে কাজে লাগিয়ে আমার নামে ৫টি, আমার পিতা নাজমুল হোদার নামে
০৭টি, আমার ভাই মোঃ আব্দুর রহিমের নামে ৫টি ও আমার মাতা রমেশা বেগম এর
নামে ১টি মামলা সহ গ্রামের ২০ জন মানুষের বিরুদ্ধে মোট ১০টি মিথ্যা ও
হয়রানি মূলক মামলা দায়ের করেন এবং উক্ত মামালগুলো আওয়ামীলিগের ক্ষমতার
অপব্যবহার করে তদন্ত ছাড়াই জোর পূর্বক আমাদের গ্রেপ্তার করে। মামলা বাজ
মনিরুজ্জমানের রোষানলে পরে আমরা সর্বশ্য হারিয়েছি। আমাকে মনিরুজ্জামান
০১৭৮৭-৯২১৮৭৩ নম্বর থেকে র‌্যাব পরিচয়ে একাধিক বার তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকি
প্রদান করেছেন।

মামলা গুলো রাজশাহীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ১, গোদাগাড়ী মডেল থানা ও রাজপাড়া, রাজশাহী থানায় দায়ের করেন। মামলাগুলোর বাদী হিসেবে কোন মামলায় মনিরুজ্জামান নিজে কোন মামলায় তার ভাই বদিউজ্জমান
আবার কোন মামলায় তার দুলাভাই মতিনকে ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, আমার এবং পরিবার সহ গ্রামের অসহায় দরিদ্র লোকজনের দাবী পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের মিথ্যা বানোয়াট ও হয়রানি মূলক মামলাগুলো প্রত্যহার করতে হবে।
এছাড়াও প্রশাসন সহ দেশের বর্তমান সরকারের কাছে বিনীত অনুরোধ আমাদের
নামে করা মামলা গুলো সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত দোষীকে আইনের আওতায় আনা
হোক। উক্ত এলাকার আমির হোসেন বলেন, পুলিশ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের
মিথ্যা মামলায় পড়ে আমি আমার ৫ টি গরু খুইয়েছি। কেউ ধান বিক্রি করে
মামলা চালিয়েছে আবার কেউ জমি বিক্রি করে। কেউ আবার চাকুরীও হারিয়েছেন।
মনিরুজ্জামান বাড়ির মহিলাদেরকেও মামলায় ফাঁসিয়েছেন। তার মামলায় পড়ে
আমরা সর্বশান্ত হয়েছি।