Dhaka 7:01 am, Sunday, 16 March 2025

মধ্যনগরে খাস জমি ভূমিহীনদের নামে বন্দোবস্ত দিলেও দখলে প্রভাবশালীরা

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার সদর বাজারে ও গ্রামঅঞ্চলে খাস খতিয়ানের জায়গা ভূমিহীনদের নামে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দিলেও দখলে প্রভাবশালীরা।

সরকার ভূমিহীন মুক্ত করার উদ্দেশ্যে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দিয়েছে। অথচ  প্রভাবশালীরা অতি কৌশলে প্রকৃত ভূমিহীনদের বঞ্চিত করে, প্রভুজেলের জমি দখলে নিয়ে গেছে বিত্তবানরা।

পদ্মার আড়ালে থেকে ভূমি দস্যুরা সরকারের আমলাদের সাথে আতাত করে, ভূমিহীনদের নামে কৌশলে বন্দোবস্ত করিয়ে নেন,অতঃপর দখলে নিয়েছেন এলাকার বিত্তবান ধনী প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।

সরকারের এসব খাস জায়গা অবৈধভাবে ভোগদখল করতেছে নির্বিঘ্নে, এবং আইনের কোনধরনের বাধা ছাড়াই। সরকার বাহাদুর হতদরিদ্র গরীব পকৃত ভূমিহীনদের প্রতিজনের নামে ২ একর ও ১ একর খাস খতিয়ানের পতিত জায়গা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দিলেও ভোগদখলে রয়েছে ধনী ব্যক্তিরা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরজমিনে কোনো প্রকৃত ভূমিহীনই খাস জমি ভোগদখল করতে দেখা যায়না।

অবৈধ দখলের বিষয় বারংবার বিভিন্ন খবরের কাগজে খবর প্রকাশ হলেও, নেই কেনো উচ্ছেদের দৃশ্যমান উদ্যোগ। তাছাড়া অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে খাস জমি ধন্যাঢ্য ব্যক্তিরা প্রভাব কাটিয়ে নিয়েছে জবরদখলে। ভূমি দখলের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়টি সরকারের প্রশাসনিক কতৃপক্ষের নকদর্পণে থাকলেও, নিচ্ছেনা কোনো আইনী স্হায়ী ব্যবস্থা।

মধ্যনগর বাজারে প্রায়েই দেখা যায় যে, প্রশাসন কিছু দিন পরপরই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন। অথচ প্রশাসন প্রথম একদিন অভিযান পরিচালনা করলেও, পরেরদিনই দুম্রজালে আটকা পরে উচ্ছেদ অভিযানটি থেমে যায়। উচ্ছেদ অভিযানের সফলতা না হওয়ার বাধা কোথায় জানতে চায় এলাকার সাধারণ মানুষ। যেখানে ঐতিহ্যেবাহী মধ্যনগর বাজারের উৎপত্তি হয়েছিল যে-ই পুকুরটির মাটিতে, সে-ই কালের সাক্ষী পুকুরটি অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকায়, অর্ধেকেরেও বেশি পুকুরের জায়গা জবরদখলে নিয়ে যায় একটি স্বার্থান্বেষী মহল। সেই গৌরীপুর জমিদার বীরেন্দ্র কিশোর এর দেওয়া ২ একর জায়গা জুড়ে পুকুরটি স্থাপনা হয়েছিল।

বর্তমানে দখল করেছে অনেক তীরবর্তী  অসাধু লোভী মানুষেরা। এছাড়াও  ভূমি অফিসের সামনে প্রায় ১ একরের উর্ধ্বে সরকারের জায়গা অনেকেই অবৈধ  দখল করেছে । এছাড়া পাবলিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে, থানার সামনে পর্যন্ত প্রায় ২০ একর সরকারের খাস জায়গা প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে গেছে।  বাজার ঘেষা উব্দাখালী নদীর পাড়ের সিকস্তি প্রায় শতাধিক লোকজন, যার যার পজিশন মতো অবৈধভাবে দখল করেছে। আরও জানা গেছে, গ্রাম অঞ্চলের হাওরে শত শত একর খাস জমি ভোগদখল করছেন ধনী প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।

প্রকৃত  ভূমিহীনরা আওদ খাস জমির মালিক বা ভোগদখল করতে দেখা যায়না। এমতাবস্থায় দেশের সংস্কারের পাশাপাশি ভূমি সংস্কার একান্ত জরুরী বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল। ভূমিহীনদের বন্দোবস্তের জায়গা অথবা ডিসি খতিয়ানের খাস জায়গা ধন্যাঢ্য ব্যক্তিদের জবরদখল অথবা ভোগদখল করতে না দেওয়ার জন্য, আইনি উদ্যোগ নেওয়ার দাবী তুলেছেন এলাকাবাসী।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

মধ্যনগরে খাস জমি ভূমিহীনদের নামে বন্দোবস্ত দিলেও দখলে প্রভাবশালীরা

Update Time : 02:33:03 pm, Tuesday, 29 October 2024

সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার সদর বাজারে ও গ্রামঅঞ্চলে খাস খতিয়ানের জায়গা ভূমিহীনদের নামে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দিলেও দখলে প্রভাবশালীরা।

সরকার ভূমিহীন মুক্ত করার উদ্দেশ্যে চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দিয়েছে। অথচ  প্রভাবশালীরা অতি কৌশলে প্রকৃত ভূমিহীনদের বঞ্চিত করে, প্রভুজেলের জমি দখলে নিয়ে গেছে বিত্তবানরা।

পদ্মার আড়ালে থেকে ভূমি দস্যুরা সরকারের আমলাদের সাথে আতাত করে, ভূমিহীনদের নামে কৌশলে বন্দোবস্ত করিয়ে নেন,অতঃপর দখলে নিয়েছেন এলাকার বিত্তবান ধনী প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।

সরকারের এসব খাস জায়গা অবৈধভাবে ভোগদখল করতেছে নির্বিঘ্নে, এবং আইনের কোনধরনের বাধা ছাড়াই। সরকার বাহাদুর হতদরিদ্র গরীব পকৃত ভূমিহীনদের প্রতিজনের নামে ২ একর ও ১ একর খাস খতিয়ানের পতিত জায়গা চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত দিলেও ভোগদখলে রয়েছে ধনী ব্যক্তিরা। অনুসন্ধানে জানা গেছে, সরজমিনে কোনো প্রকৃত ভূমিহীনই খাস জমি ভোগদখল করতে দেখা যায়না।

অবৈধ দখলের বিষয় বারংবার বিভিন্ন খবরের কাগজে খবর প্রকাশ হলেও, নেই কেনো উচ্ছেদের দৃশ্যমান উদ্যোগ। তাছাড়া অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে খাস জমি ধন্যাঢ্য ব্যক্তিরা প্রভাব কাটিয়ে নিয়েছে জবরদখলে। ভূমি দখলের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়টি সরকারের প্রশাসনিক কতৃপক্ষের নকদর্পণে থাকলেও, নিচ্ছেনা কোনো আইনী স্হায়ী ব্যবস্থা।

মধ্যনগর বাজারে প্রায়েই দেখা যায় যে, প্রশাসন কিছু দিন পরপরই উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন। অথচ প্রশাসন প্রথম একদিন অভিযান পরিচালনা করলেও, পরেরদিনই দুম্রজালে আটকা পরে উচ্ছেদ অভিযানটি থেমে যায়। উচ্ছেদ অভিযানের সফলতা না হওয়ার বাধা কোথায় জানতে চায় এলাকার সাধারণ মানুষ। যেখানে ঐতিহ্যেবাহী মধ্যনগর বাজারের উৎপত্তি হয়েছিল যে-ই পুকুরটির মাটিতে, সে-ই কালের সাক্ষী পুকুরটি অযত্নে অবহেলায় পড়ে থাকায়, অর্ধেকেরেও বেশি পুকুরের জায়গা জবরদখলে নিয়ে যায় একটি স্বার্থান্বেষী মহল। সেই গৌরীপুর জমিদার বীরেন্দ্র কিশোর এর দেওয়া ২ একর জায়গা জুড়ে পুকুরটি স্থাপনা হয়েছিল।

বর্তমানে দখল করেছে অনেক তীরবর্তী  অসাধু লোভী মানুষেরা। এছাড়াও  ভূমি অফিসের সামনে প্রায় ১ একরের উর্ধ্বে সরকারের জায়গা অনেকেই অবৈধ  দখল করেছে । এছাড়া পাবলিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে, থানার সামনে পর্যন্ত প্রায় ২০ একর সরকারের খাস জায়গা প্রভাবশালীরা দখলে নিয়ে গেছে।  বাজার ঘেষা উব্দাখালী নদীর পাড়ের সিকস্তি প্রায় শতাধিক লোকজন, যার যার পজিশন মতো অবৈধভাবে দখল করেছে। আরও জানা গেছে, গ্রাম অঞ্চলের হাওরে শত শত একর খাস জমি ভোগদখল করছেন ধনী প্রভাবশালী ব্যক্তিরা।

প্রকৃত  ভূমিহীনরা আওদ খাস জমির মালিক বা ভোগদখল করতে দেখা যায়না। এমতাবস্থায় দেশের সংস্কারের পাশাপাশি ভূমি সংস্কার একান্ত জরুরী বলে মনে করছেন এলাকার সচেতন মহল। ভূমিহীনদের বন্দোবস্তের জায়গা অথবা ডিসি খতিয়ানের খাস জায়গা ধন্যাঢ্য ব্যক্তিদের জবরদখল অথবা ভোগদখল করতে না দেওয়ার জন্য, আইনি উদ্যোগ নেওয়ার দাবী তুলেছেন এলাকাবাসী।