
কিশোরগঞ্জে ভয়াবহ এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জেলা যানবাহন নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের (ট্রাফিক পুলিশ অফিস) সম্পূর্ণ স্থাপনা এবং অফিসে থাকা সকল নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের পুরাতন কোর্ট এলাকায় অবস্থিত জেলা ট্রাফিক পুলিশ অফিসে আগুন লাগে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেন। এ সময় অফিসের ভেতরে ৪ জন ট্রাফিক পুলিশ সদস্য ঘুমিয়েছিলেন। আগুন ছড়িয়ে পড়ার আগেই তারা অফিস থেকে দৌড়ে বের হন। তাদের কোনো ক্ষতি হয়নি।
তবে অগ্নিকাণ্ডে অফিসের গুরুত্বপূর্ণ সব নথিপত্র পুড়ে ছাই হয়ে যায়। জানা যায়, আগুন পার্শ্ববর্তী ডিস্ট্রিক্ট অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফিন্যান্স অফিস ও জেলা মহিলা অধিদপ্তরের কার্যালয়সহ ৩টি অফিসে ছড়িয়ে পড়লেও সেসব অফিসের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে ভলান্টিয়ার হিসেবে আগুন নিভাতে কাজ করেন মো. সাখাওয়াত হোসেন আকাশ, হাসানাল মামুন নিলয় অপু ও মো. সানি। এদিকে নথিপত্র পুড়ে যাওয়ায় জেলা যানবাহন নিয়ন্ত্রণ কার্যালয় কার্যক্রমে মারাত্মকভাবে প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশেষ করে যানবাহনের রেজিস্ট্রেশন, ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের মামলা এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কাজ পরিচালনা করতে কিছুদিনের জন্য বড় ধরনের অসুবিধা হবে।
এ ব্যাপারে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (প্রশাসন) সৈয়দ মুনিরুজ্জামান জানান, অগ্নিকাণ্ডে তাদের অফিসের ৪টি ওয়াকিটকি, ল্যাপটপ, কম্পিউটার, প্রিন্টার, ফটোকপি মেশিন, ১৮টি বডিঅন ক্যামেরা এবং ৪ লাখ ৭৫ হাজার ৫০০ টাকাসহ অফিসের সকল নথিপত্র পুড়ে গেছে। কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মো. হাফিজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে প্রথমেই আমাদের ৩টি ইউনিট কাজ শুরু করে। আগুনের ভয়াবহতা বাড়লে করিমগঞ্জ থেকে আরও দু’টি ইউনিট আনা হয়। ৫টি ইউনিট দীর্ঘক্ষণ চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনের সূত্রপাত কীভাবে ঘটেছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি দল কাজ করছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করতেও সময় লাগবে।