Dhaka 7:38 pm, Saturday, 15 March 2025

রিমান্ডে শারীরিক নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা চলছে: ফখরুল

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি নেতাদের রিমান্ডের নামে চোখ ও হাত-পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায়ের নিরন্তর চেষ্টা চলছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রবিবার বিকেলে এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গ্রেপ্তার সাবেক এমপি, মন্ত্রীসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাদের নিষিদ্ধ সন্ত্রাসীদের মতো ৫/৭ দিন করে রিমান্ডে নির্যাতন করা হচ্ছে। সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাইফুল আলম নীরব, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনুসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এবং রিমান্ডে নিয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের নির্মমভাবে চোখ ও হাত-পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায়ের নিরন্তর চেষ্টা চলছে। তারা আদালতকে অবহিত করেছে, তারপরও আদালত সরকারপ্রধানের ইশারায় তাদের রিমান্ড অব্যাহত রেখেছেন। তাদের শারীরিক সুস্থতা নিয়ে দেশবাসী শঙ্কিত। তাদের ওপর চলমান নির্যাতনে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু হয়ে গেলে এর দায় সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেই নিতে হবে।’

আরও পড়ুন: সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে গণতন্ত্র মঞ্চ

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসিরুদ্দিনসহ সারাদেশে গ্রেপ্তার নেতাদের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সারাদেশে ৯ হাজারের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সরকারের নানামুখী ষড়যন্ত্র, অপকৌশল ও নিপীড়ন-নির্যাতন চালানো হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য যারা প্রকাশ্যে সাধারণ ছাত্রদের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করল, তাদের একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি, বরং তাদের নিয়ে সরকারপ্রধান মায়া কান্না করছেন।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে নিয়ে সরকার দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করছে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘একদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে নিরীহ ছাত্রছাত্রী এবং কোটা সংস্কারের নেতাদের নির্যাতন করা হবে না, অপরদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রাখা হয়েছে। সাধারণ মানুষ, প্রতিবন্ধী শিশু ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার এমনকি চাকরিজীবীরা পর্যন্ত এ ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ড থেকে রেহাই পাচ্ছে না।’

বিএনপি মহাসচিবের দাবি, ‘দেশটাকে আজ ত্রাসের রাজ্যে পরিণত করেছে সরকার। দিন দিন নিরীহ ছাত্রছাত্রীদের হত্যার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সরকার যতই ছলচাতুরী করুক না কেন, গণদাবির কাছে নতি স্বীকার করে পদত্যাগ করতেই হবে। মানুষ যখন প্রতিবাদ শুরু করেছে, এই প্রতিবাদের ধারা অব্যাহত থাকবে। সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছে যে গুলি করে মানুষকে হত্যা করা হয় নাই অথচ শিশু আহাদ, সামীর থেকে শুরু করে বয়োজ্যেষ্ঠ পথচারী সবাই গুলিতে নিহত হয়েছে।’

2 thoughts on “রিমান্ডে শারীরিক নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা চলছে: ফখরুল

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

রিমান্ডে শারীরিক নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায়ের চেষ্টা চলছে: ফখরুল

Update Time : 09:00:27 pm, Sunday, 28 July 2024

কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গ্রেপ্তার হওয়া বিএনপি নেতাদের রিমান্ডের নামে চোখ ও হাত-পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায়ের নিরন্তর চেষ্টা চলছে বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রবিবার বিকেলে এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গ্রেপ্তার সাবেক এমপি, মন্ত্রীসহ বিএনপির সিনিয়র নেতারা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাদের নিষিদ্ধ সন্ত্রাসীদের মতো ৫/৭ দিন করে রিমান্ডে নির্যাতন করা হচ্ছে। সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাইফুল আলম নীরব, আমিনুল হক, রফিকুল আলম মজনুসহ অসংখ্য নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার এবং রিমান্ডে নিয়ে অবর্ণনীয় নির্যাতন করা হয়েছে। তাদের নির্মমভাবে চোখ ও হাত-পা বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করে স্বীকারোক্তি আদায়ের নিরন্তর চেষ্টা চলছে। তারা আদালতকে অবহিত করেছে, তারপরও আদালত সরকারপ্রধানের ইশারায় তাদের রিমান্ড অব্যাহত রেখেছেন। তাদের শারীরিক সুস্থতা নিয়ে দেশবাসী শঙ্কিত। তাদের ওপর চলমান নির্যাতনে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু হয়ে গেলে এর দায় সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকেই নিতে হবে।’

আরও পড়ুন: সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে গণতন্ত্র মঞ্চ

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসিরুদ্দিনসহ সারাদেশে গ্রেপ্তার নেতাদের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সারাদেশে ৯ হাজারের অধিক নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সরকারের নানামুখী ষড়যন্ত্র, অপকৌশল ও নিপীড়ন-নির্যাতন চালানো হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য যারা প্রকাশ্যে সাধারণ ছাত্রদের বুকে গুলি চালিয়ে হত্যা করল, তাদের একজনকেও গ্রেপ্তার করা হয়নি, বরং তাদের নিয়ে সরকারপ্রধান মায়া কান্না করছেন।’

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে নিয়ে সরকার দ্বিমুখী নীতি অবলম্বন করছে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, ‘একদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে নিরীহ ছাত্রছাত্রী এবং কোটা সংস্কারের নেতাদের নির্যাতন করা হবে না, অপরদিকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের গ্রেপ্তার অব্যাহত রাখা হয়েছে। সাধারণ মানুষ, প্রতিবন্ধী শিশু ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার এমনকি চাকরিজীবীরা পর্যন্ত এ ধরনের অমানবিক কর্মকাণ্ড থেকে রেহাই পাচ্ছে না।’

বিএনপি মহাসচিবের দাবি, ‘দেশটাকে আজ ত্রাসের রাজ্যে পরিণত করেছে সরকার। দিন দিন নিরীহ ছাত্রছাত্রীদের হত্যার সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তবে সরকার যতই ছলচাতুরী করুক না কেন, গণদাবির কাছে নতি স্বীকার করে পদত্যাগ করতেই হবে। মানুষ যখন প্রতিবাদ শুরু করেছে, এই প্রতিবাদের ধারা অব্যাহত থাকবে। সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বলছে যে গুলি করে মানুষকে হত্যা করা হয় নাই অথচ শিশু আহাদ, সামীর থেকে শুরু করে বয়োজ্যেষ্ঠ পথচারী সবাই গুলিতে নিহত হয়েছে।’