Dhaka 3:57 pm, Friday, 14 March 2025

রোগির চাপ সামলাতে হিমসিম কর্মকর্তাদের

রোগির চাপ সামলাতে হিমসিম

২৫০ থেকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত হলেও আজও আড়াই শ বেড হাসপাতাল নামেই পরিচিতি  খুমেক হাসপাতালটির। ৫ আগস্টের পর অনেক পরিবর্তন হয়েছে। পরিচালক, সহকারী পরিচালক, আরএমওসহ অনেক পদেই আসছে পরিবর্তন। কিন্তু সেই ৫০০ বেডের জনবলেও রয়েছে সংকট।

যদিও প্রতিদিন রোগী থাকছে এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৬০০। অনুমোদিত শয্যার চেয়ে তিন গুণ রোগীর চাপ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।খুমেক হাসপাতাল সূত্র মতে, ৫০০ বেডের জনবলের হিসাব অনুযায়ী ৩০৬টি চিকিৎসক পদের মধ্যে ২০টি পদ রয়েছে শূন্য। সবচেয়ে বেশি সংকট চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর ক্ষেত্রে। ১০৯টির মধ্যে কর্মরত ৭২ জন। শূন্য ৩৭টি। এর ফলে আউটসোর্সিং-নির্ভর হয়ে পড়ছে হাসপাতালটি। আবার আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগে আগে শেখ পরিবারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে যাঁরা ছিলেন, তাঁরাই এখন ভোল পাল্টে বহাল রয়েছেন।
এর ফলে নাজেহাল হচ্ছেন ‘দাস’ খ্যাত আউটসোর্সিং কর্মচারীরাও। জনবলের পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী যন্ত্রপাতিও নেই এ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানটিতে। রাজধানীর মহাখালীর হসপিটাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্টের লাইন ডিরেক্টর বরাবর হাসপাতাল পরিচালক স্বাক্ষরিত একাধিকবার পত্রও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো ফল হয়নি।এর ফলে হাসপাতালের অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষাও বন্ধ হয়ে গেছে।
সাতটি পদ দিয়ে চলছে প্যাথলজি বিভাগ। সাত পদের মধ্যে কর্মরত ছয়জন। একটি পদ খালি থাকলেও প্রকৃত অর্থে সেখানে লোকের প্রয়োজন ১৫ জনেরও বেশি। তাহলে চলছে কিভাবে—জানতে চাইলে প্যাথলজি বিভাগের একজন মেডিক্যাল টেকনোলজি (ল্যাব) জানান, কন্টাক্ট সার্ভিসের কিছু লোক সাপোর্ট না দিলে ওই বিভাগটি আগেই অচল হয়ে যেত।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

রোগির চাপ সামলাতে হিমসিম কর্মকর্তাদের

Update Time : 02:48:30 pm, Wednesday, 12 March 2025

২৫০ থেকে ৫০০ শয্যায় উন্নীত হলেও আজও আড়াই শ বেড হাসপাতাল নামেই পরিচিতি  খুমেক হাসপাতালটির। ৫ আগস্টের পর অনেক পরিবর্তন হয়েছে। পরিচালক, সহকারী পরিচালক, আরএমওসহ অনেক পদেই আসছে পরিবর্তন। কিন্তু সেই ৫০০ বেডের জনবলেও রয়েছে সংকট।

যদিও প্রতিদিন রোগী থাকছে এক হাজার ৩০০ থেকে এক হাজার ৬০০। অনুমোদিত শয্যার চেয়ে তিন গুণ রোগীর চাপ সামলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।খুমেক হাসপাতাল সূত্র মতে, ৫০০ বেডের জনবলের হিসাব অনুযায়ী ৩০৬টি চিকিৎসক পদের মধ্যে ২০টি পদ রয়েছে শূন্য। সবচেয়ে বেশি সংকট চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর ক্ষেত্রে। ১০৯টির মধ্যে কর্মরত ৭২ জন। শূন্য ৩৭টি। এর ফলে আউটসোর্সিং-নির্ভর হয়ে পড়ছে হাসপাতালটি। আবার আউটসোর্সিং কর্মচারী নিয়োগে আগে শেখ পরিবারের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে যাঁরা ছিলেন, তাঁরাই এখন ভোল পাল্টে বহাল রয়েছেন।
এর ফলে নাজেহাল হচ্ছেন ‘দাস’ খ্যাত আউটসোর্সিং কর্মচারীরাও। জনবলের পাশাপাশি চাহিদা অনুযায়ী যন্ত্রপাতিও নেই এ স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানটিতে। রাজধানীর মহাখালীর হসপিটাল সার্ভিস ম্যানেজমেন্টের লাইন ডিরেক্টর বরাবর হাসপাতাল পরিচালক স্বাক্ষরিত একাধিকবার পত্রও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনো কোনো ফল হয়নি।এর ফলে হাসপাতালের অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষাও বন্ধ হয়ে গেছে।
সাতটি পদ দিয়ে চলছে প্যাথলজি বিভাগ। সাত পদের মধ্যে কর্মরত ছয়জন। একটি পদ খালি থাকলেও প্রকৃত অর্থে সেখানে লোকের প্রয়োজন ১৫ জনেরও বেশি। তাহলে চলছে কিভাবে—জানতে চাইলে প্যাথলজি বিভাগের একজন মেডিক্যাল টেকনোলজি (ল্যাব) জানান, কন্টাক্ট সার্ভিসের কিছু লোক সাপোর্ট না দিলে ওই বিভাগটি আগেই অচল হয়ে যেত।