Dhaka 5:50 pm, Saturday, 15 March 2025
তরুণীদের মধ্যে বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী

গুলশানে পার্ক ভিউ হোটেলের আড়ালে তানভীর ও সবুজের ভয়াবহ নারী সিন্ডিকেট !

রাজধানীর অভিযাত এলাকা হিসেবে খ্যাত গুলশান। রেস্ট হাউস বা হোটেলের আড়ালে নিষিদ্ধ ব্যবসায় যুক্ত রয়েছেন প্রায় শতাধিক সুন্দরী তরুণী এবং তানভীর ও সবুজের ভয়াবহ নারী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট দিয়ে জমজমাট চলছে নিষিদ্ধ ব্যবসা। রেস্ট হাউস বা হোটেলগুলো নিরাপদ ভেবে এখানে যাতায়াত রয়েছে কলেজপড়ুয়া ছাত্র থেকে শুরু করে সব বয়সী পুরুষ। চলছে রাতভর মাদক সেবন ও ডিজে পার্টি। প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব অপকর্ম চললেও তারাও যেন নির্বিকার। এর অণ্যতম কারন প্রতিটি রেষ্ট হাউজ বা হোটেল থেকে পান নিয়মিত মাসোহারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দিনের বেলায় যেমন তেমন রাত নামলেই অভিজাত এলাকার পরিবেশ হয়ে যায় অন্যরকম। সব রাস্তায় দ্রæত বেগের গাড়ির ছুটে চলা। দেখে যে কারই মনে হতে পারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য ছুটে চলা। ভদ্রতার মুখোশের আড়ালটা কুরুচিপূর্ণের বহিপ্রকাশ। মদ, জুয়া সেই সঙ্গে উর্বশী নারীদের সঙ্গে বেহায়পনা সবই চলছে এসব নিষিদ্ধ বা অবৈধ রেষ্ট হাউজ বা হোটেলে। দেখে মনে হবে প্রশাসনের যেন কোনো নিয়ন্ত্রণই নেই এখানে। অথচ অনুমোদনহীন রেস্ট হাউসে প্রকাশ্যই সব ধরনের মাদক সেবন চলছে। এমনকি উচ্চ আদালত এ বিষয়ে নিষোধাজ্ঞা জারি করলেও কে শোনে কার কথা। প্রশাসনের একশ্রেণির কর্মকর্তাদের ম্যানেজের বিনিময়ে সব চলছে এখানে।

তথ্যসূত্রে জানা গেছে, রোড নং- ৬৮/এ, হাউজ নং-১৫, গুলশান-২ হোটেল পার্ক ভিউ লিমিটিড নামক প্রতিষ্ঠানটি বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই ভেতরে কি হচ্ছে। রেস্ট হাউস ভেবে কেউ যদি সেখানে যান তবে তাকে পড়তে হয় চরম বিড়ম্বনায়। টিএনজ তরুণী দিয়ে গেস্ট নামের খদ্দেরদের মনোরঞ্জনের জন্য ব্যবস্থা এখানে। আসলে এখানে রেস্ট হাউজ বা হোটেল কোনো বিষয় নয়। মিনি পতিতালয়। একেকটি গেস্ট হাউসে ৪০/৫০ জন তরুণী রয়েছে। স্বল্প সময়ের জন্য আসছেন খদ্দেরও। তাদের মনোরঞ্জন শেষে তারা চলেও যাচ্ছেন।

এখানে মদ বিয়ারসহ রাতের বেলায় আরো জমজমাট আসর জমে। বিশেষ করে পিনাকল রেস্টুরেন্টে প্রকাশ্যই সবকিছু হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। বেশ কয়েকবার থানায় তারা এ বিষয়ে অভিযোগও দিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হোটেলটিতে হোটেল মালিক তানভীর ও তার সহযোগী সবুজের নিয়ন্ত্রনে প্রায় ৫ শতাধিক তরুণীর সঙ্গে রয়েছে যোগাযোগ। তরুণীরা দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে চলে আসে হোটেলটিতে। আর রেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষ তাদের খদ্দেরদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। এই তরুণীদের মধ্যে বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।

এ বিষয়ে তানভীর বলেন, ভাই আ.লীগের সময় ব্যবসা ভালো ছিল, বর্তমান সময়ে গুলশান থানা পুলিশের ডিমান্ড বেশি তাই এসব ব্যবসা করে তেমন কিছুই থাকে না। তবে হোটেলটির মালিক দিনভর গুমান আর রাতভর চলে তার নারী বাণিজ্য। এছাড়া হোটেলটি ঘিরে রয়েছে নারী সিন্ডিকেটের দালাল চক্র। যাদের মাধ্যমে খদ্দের যোগান দেওয়া হয়। এসব দালাল চক্ররা সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে খদ্দের সংগ্রহ করে থাকেন।

তবে একটি মজার বিষয় হলো আ.লীগ ক্ষমতার সময় তারা বিভিন্ন দলের পরিচয়ে ব্যবসা করতেন এখন সরকার পতন হওয়ার পর এরা কখনো নিজেকে বিএনপি আবার কখনো বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনে বড় ভ‚মিকা রেখেছেন বলে নিজেদের দাবী করেন। এর অণ্যতম কারন তাদের এসব অবৈধ ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে অভিনব কৌশল অবলম্বন করেন। (চলবে)

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

তরুণীদের মধ্যে বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী

গুলশানে পার্ক ভিউ হোটেলের আড়ালে তানভীর ও সবুজের ভয়াবহ নারী সিন্ডিকেট !

Update Time : 10:05:20 pm, Tuesday, 8 October 2024

রাজধানীর অভিযাত এলাকা হিসেবে খ্যাত গুলশান। রেস্ট হাউস বা হোটেলের আড়ালে নিষিদ্ধ ব্যবসায় যুক্ত রয়েছেন প্রায় শতাধিক সুন্দরী তরুণী এবং তানভীর ও সবুজের ভয়াবহ নারী সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেট দিয়ে জমজমাট চলছে নিষিদ্ধ ব্যবসা। রেস্ট হাউস বা হোটেলগুলো নিরাপদ ভেবে এখানে যাতায়াত রয়েছে কলেজপড়ুয়া ছাত্র থেকে শুরু করে সব বয়সী পুরুষ। চলছে রাতভর মাদক সেবন ও ডিজে পার্টি। প্রশাসনের নাকের ডগায় এসব অপকর্ম চললেও তারাও যেন নির্বিকার। এর অণ্যতম কারন প্রতিটি রেষ্ট হাউজ বা হোটেল থেকে পান নিয়মিত মাসোহারা।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দিনের বেলায় যেমন তেমন রাত নামলেই অভিজাত এলাকার পরিবেশ হয়ে যায় অন্যরকম। সব রাস্তায় দ্রæত বেগের গাড়ির ছুটে চলা। দেখে যে কারই মনে হতে পারে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য ছুটে চলা। ভদ্রতার মুখোশের আড়ালটা কুরুচিপূর্ণের বহিপ্রকাশ। মদ, জুয়া সেই সঙ্গে উর্বশী নারীদের সঙ্গে বেহায়পনা সবই চলছে এসব নিষিদ্ধ বা অবৈধ রেষ্ট হাউজ বা হোটেলে। দেখে মনে হবে প্রশাসনের যেন কোনো নিয়ন্ত্রণই নেই এখানে। অথচ অনুমোদনহীন রেস্ট হাউসে প্রকাশ্যই সব ধরনের মাদক সেবন চলছে। এমনকি উচ্চ আদালত এ বিষয়ে নিষোধাজ্ঞা জারি করলেও কে শোনে কার কথা। প্রশাসনের একশ্রেণির কর্মকর্তাদের ম্যানেজের বিনিময়ে সব চলছে এখানে।

তথ্যসূত্রে জানা গেছে, রোড নং- ৬৮/এ, হাউজ নং-১৫, গুলশান-২ হোটেল পার্ক ভিউ লিমিটিড নামক প্রতিষ্ঠানটি বাইরে থেকে দেখে বোঝার উপায় নেই ভেতরে কি হচ্ছে। রেস্ট হাউস ভেবে কেউ যদি সেখানে যান তবে তাকে পড়তে হয় চরম বিড়ম্বনায়। টিএনজ তরুণী দিয়ে গেস্ট নামের খদ্দেরদের মনোরঞ্জনের জন্য ব্যবস্থা এখানে। আসলে এখানে রেস্ট হাউজ বা হোটেল কোনো বিষয় নয়। মিনি পতিতালয়। একেকটি গেস্ট হাউসে ৪০/৫০ জন তরুণী রয়েছে। স্বল্প সময়ের জন্য আসছেন খদ্দেরও। তাদের মনোরঞ্জন শেষে তারা চলেও যাচ্ছেন।

এখানে মদ বিয়ারসহ রাতের বেলায় আরো জমজমাট আসর জমে। বিশেষ করে পিনাকল রেস্টুরেন্টে প্রকাশ্যই সবকিছু হচ্ছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। বেশ কয়েকবার থানায় তারা এ বিষয়ে অভিযোগও দিয়েছেন। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হোটেলটিতে হোটেল মালিক তানভীর ও তার সহযোগী সবুজের নিয়ন্ত্রনে প্রায় ৫ শতাধিক তরুণীর সঙ্গে রয়েছে যোগাযোগ। তরুণীরা দিনের একটি নির্দিষ্ট সময়ে চলে আসে হোটেলটিতে। আর রেস্ট হাউস কর্তৃপক্ষ তাদের খদ্দেরদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। এই তরুণীদের মধ্যে বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী।

এ বিষয়ে তানভীর বলেন, ভাই আ.লীগের সময় ব্যবসা ভালো ছিল, বর্তমান সময়ে গুলশান থানা পুলিশের ডিমান্ড বেশি তাই এসব ব্যবসা করে তেমন কিছুই থাকে না। তবে হোটেলটির মালিক দিনভর গুমান আর রাতভর চলে তার নারী বাণিজ্য। এছাড়া হোটেলটি ঘিরে রয়েছে নারী সিন্ডিকেটের দালাল চক্র। যাদের মাধ্যমে খদ্দের যোগান দেওয়া হয়। এসব দালাল চক্ররা সোসাল মিডিয়ার মাধ্যমে খদ্দের সংগ্রহ করে থাকেন।

তবে একটি মজার বিষয় হলো আ.লীগ ক্ষমতার সময় তারা বিভিন্ন দলের পরিচয়ে ব্যবসা করতেন এখন সরকার পতন হওয়ার পর এরা কখনো নিজেকে বিএনপি আবার কখনো বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনে বড় ভ‚মিকা রেখেছেন বলে নিজেদের দাবী করেন। এর অণ্যতম কারন তাদের এসব অবৈধ ব্যবসা টিকিয়ে রাখতে অভিনব কৌশল অবলম্বন করেন। (চলবে)