Dhaka 9:55 pm, Thursday, 22 May 2025

ফিলিস্তিনের রুশদিয়া

জায়োনিস্টরা ফিলিস্তিনের ঘর নিয়ে নিয়েছে ।

জায়োনিস্টরা ফিলিস্তিনের ঘর নিয়ে নিয়েছে, জন্মস্থানের স্বর্ণের মাটি দখল করেছে, ফসলের বিস্তৃত খেত, শিশুদের খেলার উঠোন সব কেড়ে নিয়েছে; এমনকি কবরের দাবিদারও এখন তারা। বাবুললুতের প্রতিটি অলিগলি, যেখানে কোনো না কোনো শহিদের নাম লেখা ছিল মাটির ওপর, সেখানে আজ তারা বসিয়েছে নতুন নামফলক।

বাবুললুত ফিলিস্তিনের প্রাচীনতম শহরগুলোর একটি, যেখান দিয়ে একদিন হজরত ইবরাহিম (আ.) হিজরত করেছিলেন, যার বুকে একদিন হজরত ঈসা (আ.)-এর পদচিহ্ন পড়েছিল। এই শহর একদিন ছিল জ্ঞান, প্রেম আর প্রজ্ঞায় বিকশিত। সবই আজ বাবুললুতবাসীর নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবু এর মাঝেই কিছু শিশু, কিছু মা, কিছু বৃদ্ধ এখনো মাটি আঁকড়ে বেঁচে আছেন। তারা চলে না সময়ের নিয়মে, তারা চলে প্রতিরোধের নিয়তিতে। তাদেরই একজন রুশদিয়া।

রুশদিয়া জানে-ওর জন্মঘর আর নেই। যেখানে মা মসজিদের মিহিন আজানের রেশম কণ্ঠের ধ্বনিতে ইফতারের ডাক দিতেন, দীদা খেজুরের রসের রুটি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন সবার জন্য পরম ভালোবাসায়। আর সে সময় যেখানে বড় ভাই ইয়াহিয়ার হাঁচি শুনে রুশদিয়া খিলখিল করে হাসত! যে উঠোনে বসে ওরা ইফতারে আখরোটের শরবত খেত মধু মিশিয়ে মায়ের হাতে, সে উঠোন আজ কাঁটাতারের নিচে ঢাকা পড়েছে। আর সে উঠোনঘেঁষা ঘরের বাগানটি এখন একটি সেনা ক্যাম্প।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

ফিলিস্তিনের রুশদিয়া

Update Time : 04:35:12 pm, Sunday, 11 May 2025

জায়োনিস্টরা ফিলিস্তিনের ঘর নিয়ে নিয়েছে, জন্মস্থানের স্বর্ণের মাটি দখল করেছে, ফসলের বিস্তৃত খেত, শিশুদের খেলার উঠোন সব কেড়ে নিয়েছে; এমনকি কবরের দাবিদারও এখন তারা। বাবুললুতের প্রতিটি অলিগলি, যেখানে কোনো না কোনো শহিদের নাম লেখা ছিল মাটির ওপর, সেখানে আজ তারা বসিয়েছে নতুন নামফলক।

বাবুললুত ফিলিস্তিনের প্রাচীনতম শহরগুলোর একটি, যেখান দিয়ে একদিন হজরত ইবরাহিম (আ.) হিজরত করেছিলেন, যার বুকে একদিন হজরত ঈসা (আ.)-এর পদচিহ্ন পড়েছিল। এই শহর একদিন ছিল জ্ঞান, প্রেম আর প্রজ্ঞায় বিকশিত। সবই আজ বাবুললুতবাসীর নিয়তি হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবু এর মাঝেই কিছু শিশু, কিছু মা, কিছু বৃদ্ধ এখনো মাটি আঁকড়ে বেঁচে আছেন। তারা চলে না সময়ের নিয়মে, তারা চলে প্রতিরোধের নিয়তিতে। তাদেরই একজন রুশদিয়া।

রুশদিয়া জানে-ওর জন্মঘর আর নেই। যেখানে মা মসজিদের মিহিন আজানের রেশম কণ্ঠের ধ্বনিতে ইফতারের ডাক দিতেন, দীদা খেজুরের রসের রুটি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন সবার জন্য পরম ভালোবাসায়। আর সে সময় যেখানে বড় ভাই ইয়াহিয়ার হাঁচি শুনে রুশদিয়া খিলখিল করে হাসত! যে উঠোনে বসে ওরা ইফতারে আখরোটের শরবত খেত মধু মিশিয়ে মায়ের হাতে, সে উঠোন আজ কাঁটাতারের নিচে ঢাকা পড়েছে। আর সে উঠোনঘেঁষা ঘরের বাগানটি এখন একটি সেনা ক্যাম্প।