
জায়োনিস্টরা ফিলিস্তিনের ঘর নিয়ে নিয়েছে, জন্মস্থানের স্বর্ণের মাটি দখল করেছে, ফসলের বিস্তৃত খেত, শিশুদের খেলার উঠোন সব কেড়ে নিয়েছে; এমনকি কবরের দাবিদারও এখন তারা। বাবুললুতের প্রতিটি অলিগলি, যেখানে কোনো না কোনো শহিদের নাম লেখা ছিল মাটির ওপর, সেখানে আজ তারা বসিয়েছে নতুন নামফলক।
রুশদিয়া জানে-ওর জন্মঘর আর নেই। যেখানে মা মসজিদের মিহিন আজানের রেশম কণ্ঠের ধ্বনিতে ইফতারের ডাক দিতেন, দীদা খেজুরের রসের রুটি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতেন সবার জন্য পরম ভালোবাসায়। আর সে সময় যেখানে বড় ভাই ইয়াহিয়ার হাঁচি শুনে রুশদিয়া খিলখিল করে হাসত! যে উঠোনে বসে ওরা ইফতারে আখরোটের শরবত খেত মধু মিশিয়ে মায়ের হাতে, সে উঠোন আজ কাঁটাতারের নিচে ঢাকা পড়েছে। আর সে উঠোনঘেঁষা ঘরের বাগানটি এখন একটি সেনা ক্যাম্প।