Dhaka 1:05 am, Saturday, 15 March 2025

মরণফাঁদ কুমিল্লার পদুয়ারবাজার ইউটার্ন

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে অপরিকল্পিত ইউটার্ন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত ১১ বছরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সংলগ্ন ইউটার্নে অর্ধশতাধিক মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক শত মানুষ। সড়ক ও জনপদ বিভাগ বলছে, নতুন ইউলোপ ও ১০ লেনে মহাসড়ক উন্নীত করা হবে। এতে কমবে সংকট। এদিকে আহত নিহতের স্বজনরা এর ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
সূত্রমতে চট্টগ্রাম, নোয়াখালীসহ দেশের পূর্বাঞ্চলের ১১ টি জেলার শতাধিক রুটসহ ওই মহাসড়কে যাতায়াতকারী রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হাজার হাজার গাড়ি ওই মরণ ফাঁদের শিকার হচ্ছে। স্থানীয়রা মনে করেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে যানজট এবং রেল লাইন এড়াতে এখানে একটি রেলওভারপাস নির্মাণ করে সরকার। এটি পদুয়াবাজারের পশ্চিমে শ্রীভল্লবপুর এলাকা থেকে পূর্বে উত্তর রামপুর পল্লী বিদ্যুত অফিস পর্যন্ত নেয়ার পরিকল্পনা ছিল। এর ফলে চট্টগ্রাম বন্দরসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-ফেনী অঞ্চলের গড়িগুলো ওপর দিয়ে অনায়াসে চলে যেতে পারতো। এই অপরিকল্পিত ওভারপাসের কারণে উক্ত ইউটার্নে এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কিছু স্থানীয় এবং কিছু দেশের বিভিন্ন জেলার লোক রয়েছেন। ২২ নং ওয়ার্ড উত্তরামপুর গ্রামের বাসিন্দা যুবদল নেতা কামরুল হাসান রায়হান বলেন, এখানে গত ১১ বছরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে অর্ধশতাধিক মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতশত মানুষ। আহত নিহতের স্বজনরা এর ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কৃষক সমবায় ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহম্মদ আখতার হোসাইন বলেন, পদুয়ার বাজারে যারা আহত ও নিহত হয়েছেন জননেতা মনিরুল হক চৌধুরীসহ আমরা তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চিন্তা করছি। আমরা নিহত ২৩ জনের ঠিকানা সংগ্রহ করেছি। এ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পায়নি কোন পরিবার। ক্ষতিপূরণ না পেলে আমরা আইনের আশ্রয় গ্রহণ করবো।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া খানম বলেন, কিছুদিন পূর্বে আমার উপজেলার লালবাগ মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হন। তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই, এখানে যারা আহত বা নিহত হয়েছেন তাদেরও ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হোক। তিনি আরো বলেন, যদি ভুল ডিজাইনের কারণে বারবার দুর্ঘটনা হয়। মানুষ মারা যায়, সেটার জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগ দায়ী হবে। আমরা তাদের চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবহিত করবো। সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে ইউলোপ তৈরির কাজ চলমান। ৪০ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। মহাসড়কটি ১০ লেনে উন্নীত করা হবে। তখন সমস্যাটি আশা করি আর থাকবে না।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

মরণফাঁদ কুমিল্লার পদুয়ারবাজার ইউটার্ন

Update Time : 09:09:16 pm, Saturday, 8 February 2025

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে অপরিকল্পিত ইউটার্ন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। গত ১১ বছরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সংলগ্ন ইউটার্নে অর্ধশতাধিক মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন কয়েক শত মানুষ। সড়ক ও জনপদ বিভাগ বলছে, নতুন ইউলোপ ও ১০ লেনে মহাসড়ক উন্নীত করা হবে। এতে কমবে সংকট। এদিকে আহত নিহতের স্বজনরা এর ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
সূত্রমতে চট্টগ্রাম, নোয়াখালীসহ দেশের পূর্বাঞ্চলের ১১ টি জেলার শতাধিক রুটসহ ওই মহাসড়কে যাতায়াতকারী রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের হাজার হাজার গাড়ি ওই মরণ ফাঁদের শিকার হচ্ছে। স্থানীয়রা মনে করেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে যানজট এবং রেল লাইন এড়াতে এখানে একটি রেলওভারপাস নির্মাণ করে সরকার। এটি পদুয়াবাজারের পশ্চিমে শ্রীভল্লবপুর এলাকা থেকে পূর্বে উত্তর রামপুর পল্লী বিদ্যুত অফিস পর্যন্ত নেয়ার পরিকল্পনা ছিল। এর ফলে চট্টগ্রাম বন্দরসহ ঢাকা-চট্টগ্রাম ও চট্টগ্রাম-ফেনী অঞ্চলের গড়িগুলো ওপর দিয়ে অনায়াসে চলে যেতে পারতো। এই অপরিকল্পিত ওভারপাসের কারণে উক্ত ইউটার্নে এই পর্যন্ত অর্ধশতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। এদের মধ্যে কিছু স্থানীয় এবং কিছু দেশের বিভিন্ন জেলার লোক রয়েছেন। ২২ নং ওয়ার্ড উত্তরামপুর গ্রামের বাসিন্দা যুবদল নেতা কামরুল হাসান রায়হান বলেন, এখানে গত ১১ বছরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সামনে অর্ধশতাধিক মানুষ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন শতশত মানুষ। আহত নিহতের স্বজনরা এর ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা কৃষক সমবায় ঐক্য পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট মুহম্মদ আখতার হোসাইন বলেন, পদুয়ার বাজারে যারা আহত ও নিহত হয়েছেন জননেতা মনিরুল হক চৌধুরীসহ আমরা তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর চিন্তা করছি। আমরা নিহত ২৩ জনের ঠিকানা সংগ্রহ করেছি। এ পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পায়নি কোন পরিবার। ক্ষতিপূরণ না পেলে আমরা আইনের আশ্রয় গ্রহণ করবো।
কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুবাইয়া খানম বলেন, কিছুদিন পূর্বে আমার উপজেলার লালবাগ মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হন। তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। আমরা চাই, এখানে যারা আহত বা নিহত হয়েছেন তাদেরও ক্ষতিপূরণ প্রদান করা হোক। তিনি আরো বলেন, যদি ভুল ডিজাইনের কারণে বারবার দুর্ঘটনা হয়। মানুষ মারা যায়, সেটার জন্য সড়ক ও জনপদ বিভাগ দায়ী হবে। আমরা তাদের চিঠি দিয়ে বিষয়টি অবহিত করবো। সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তর কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, পদুয়ার বাজার বিশ্বরোডে ইউলোপ তৈরির কাজ চলমান। ৪০ শতাংশ কাজ হয়ে গেছে। মহাসড়কটি ১০ লেনে উন্নীত করা হবে। তখন সমস্যাটি আশা করি আর থাকবে না।