
১৮৮৫ সালের ২২ মে। এক বিকেলে প্যারিসের ফুটপাত ধরে মলিন পোশাকে হেঁটে যাচ্ছিলেন ভিক্টর হুগো। কোথাও যাওয়ার তাড়া ছিল না। উদ্দেশ্যহীন হাঁটছিলেন। সে সময় একটি মেয়ে তাকে দেখে দৌড়ে কাছে এসে বলল, কী আশ্চর্য! তোমাকে তো দেখতে একদম ভিক্টর হুগোর মতো লাগছে।ভিক্টর হুগোর লা মিজারেবল উপন্যাসের এক জায়গায় আছে এরকম একটা অনুভুতি, ‘মৃত্যু কিছুই নয়; বেঁচে না-থাকা ভয়ংকর’। এই উক্তিটি মৃত্যুকে ভয় পাওয়ার চেয়ে অর্থপূর্ণ জীবনযাপনের গুরুত্বের ওপর জোর দেয়। এই উক্তিটি ইংগিত দেয় ।
মৃত্যু জীবনের একটি স্বাভাবিক অংশ, যেখানে নিজের পূর্ণ সম্ভাবনার সাথে বেঁচে থাকতে ব্যর্থ হওয়া একটি সত্যিকারের ট্র্যাজেডি।১৮০২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিখ্যাত ফরাসি লেখক ও সাহিত্যিক ভিক্টর হুগো জন্মেছিলেন। ‘টয়লার্স অব দ্যা সি’ বা সাগরের শ্রমিক, ‘দ্যা ম্যান হু লাফ‘ বা হাসতো যে লোকটি ভিক্টর হুগোর উল্লেখযোগ্য উপন্যাস। টয়লার্স অফ দ্যা সি ভিক্টর হুগোর একটি উপন্যাস। এই বইটি তিনি গেরনসি দ্বীপকে উৎসর্গ করেছেন। যেখানে তিনি তার জীবনের ১৯ বছর কাটিয়েছেন। রাজনীতি করতে হলে যে নির্বাসিত জীবন অপরিহার্য এ বিষয়ের ইংগিত রয়েছে উপন্যাসে।রাজনৈতিক সক্রিয়তা এবং ফরাসি সরকারের বিরোধিতার জন্য নির্বাসিত করা হয়েছিল হুগোকে। বিশেষ করে নেপোলিয়ন তৃতীয়ের রাজত্বকালে। তিনি ১৮৫১ সালে অভ্যুত্থানের একজন সোচ্চার সমালোচক ছিলেন এবং সাধারণ ক্ষমা গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানানোর কারণে কারাবাস এবং তারপর নির্বাসনের সম্মুখীন হন।