
স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা এবার অনেকটাই স্বস্তিদায়ক। বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সন্ধ্যার পর থেকে যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও কোথাও কোনো যানজট দেখা যায়নি। ফলে এবারের ঈদযাত্রায় ভোগান্তি কমেছে উত্তরবঙ্গগামী যাত্রীদের।রাজধানী ঢাকা থেকে আসা যানবাহনগুলো পূর্বপাড় থেকে যমুনা সেতু পার হয়ে পশ্চিম সংযোগ মহাসড়ক দিয়ে স্বাভাবিক গতিতেই গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, রাতেও যাত্রীবাহী বাসের পাশাপাশি প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল এমনকি খোলা মিনি ট্রাকে চড়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরছে মানুষ।এবারের মহাসড়কের চিত্র অনেকটাই ভিন্ন। সাসেক-২ প্রকল্পের আওতায় যমুনা সেতুর পশ্চিম সংযোগ মহাসড়কটি চার লেনে উন্নীতকরণের কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে নির্মিত আন্ডারপাস, ওভারপাস ও ফ্লাইওভারগুলো চালু করা হয়েছে। সেই সঙ্গে খুলে দেওয়া হয়েছে হাটিকুমরুল ইন্টারচেঞ্জের বগুড়ামুখী সার্ভিস লেন। এতে করে মহাসড়কে যান চলাচল অনেকটাই নির্বিঘ্ন হয়েছে।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল জানান, মঙ্গলবার রাত ১২টা থেকে বুধবার রাত ১২টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৩৩,৭৬৬টি যানবাহন সেতু পার হয়েছে। এতে টোল আদায় হয়েছে ২ কোটি ৭৮ লাখ ৯৯ হাজার ৯০০ টাকা। এর মধ্যে সেতুর পশ্চিম টোল প্লাজা দিয়ে ১৫,৫২৭টি যানবাহন পার হয়ে ১ কোটি ৪০ লাখ ৫১ হাজার ৪৫০ টাকা টোল আদায় হয়েছে। অন্যদিকে, সেতুর পূর্ব টোল প্লাজা দিয়ে ১৮,২৩৯টি যানবাহন পার হয়ে টোল আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫০ টাকা। হাটিকুমরুল হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউফ জানান, বিকেলের পর থেকে মহাসড়কে যানবাহনের চাপ কিছুটা বাড়লেও সিরাজগঞ্জের ৩৮ কিলোমিটার দীর্ঘ মহাসড়কে কোথাও কোনো যানজট সৃষ্টি হয়নি। যানবাহনগুলো স্বাভাবিক গতিতেই গন্তব্যে যাচ্ছে।