
ইরানের নিজস্ব প্রযুক্তিতে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। বুধবার (১৪ মে) তেহরানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন। মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ এ তথ্য জানিয়েছে ট্রেজারি বিভাগ জানিয়েছে, ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে ইরান সরকারকে অভ্যন্তরীণভাবে সহযোগিতা এবং গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ সরবরাহের কারণে দেশটির ছয় ব্যক্তি এবং ১২ প্রতিষ্ঠানের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ট্রেজারি বিভাগের অভিযোগ, ইরান ও চীনে অবস্থানরত যেসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে তারা ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) উপ-সংগঠনকে সহায়তা করছে। আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় কার্বন ফাইবার উপকরণ উন্নয়ন প্রচেষ্টার তত্ত্বাবধান করে তারা।
ফেব্রুয়ারি থেকে ইরানের ওপর চাপ প্রয়োগের করে আসছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবার তিনি এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেন। অন্যদিকে তেহরানের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়েও আলোচনা চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সাম্প্রতিক আলোচনা ফলপ্রসূ হয়েছে বলে জানায় ইরান। তবে এরই মধ্যে যদি কোনো নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় তাহলে সমঝোতার ক্ষেত্রে তা গ্রহণযোগ্য হবে না বলে মঙ্গলবার জানিয়েছিল তেহরান। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের ট্রেজারি বিভাগ একটি নেটওয়ার্কের অংশ হিসেবে ২০টিরও বেশি কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। এই নেটওয়ার্কটি দীর্ঘদিন ধরে ইরানি তেল চীনে পাঠিয়ে আসছে বলে জানায় ট্রেজারি বিভাগ। এর আগে গত সপ্তাহে, ইরানি তেল কেনার কারণে বিভাগটি চীনের একটি স্বাধীন বা ‘টিপট’ নামে পরিচিত তেল শোধনাগার এবং চীনের কয়েকটি বন্দর টার্মিনাল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।