
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে অবৈধভাবে পারিবারিক জায়গা দখলের প্রতিবাদে ভাতিজাদের বিরুদ্ধে সংবাদ
সম্মেলন করেছে চাচা ও তার পরিবারের সদস্যরা। শনিবার দুপুরে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সংবাদ
সম্মেলনটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ভুক্তভোগী খসরু হাজী, তার স্ত্রীর ও তার পরিবারের লোকজন উপস্থিত
ছিলেন।এ সময় ভুক্তভোগীরা বলেন, খসরু হাজী ও আব্দুল মোতালিব আপন দুই ভাই। প্রায় ২০ বছর আগে
পারিবারিকভাবে কেনা দুই ভাইয়ের (খসরু হাজী ও আব্দুল মোতালিব) যৌথ জায়গা কৌশল করে আব্দুল
মোতালিব তার নিজের নামে পাঁচ শতক বেশি জায়গা দলিল করে ফেলায় জটিলতার তৈরি হয়। পরে বিষয়টি
গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে আলোচনার মাধ্যমে আব্দুল মোতালিব খসরু হাজীকে জায়গা দলিল করে
দিতে সম্মত হন। কিন্তু জায়গার রেকর্ড সংক্রান্ত জটিলতা থাকায় তা সংশোধন করে খসরু হাজীকে জায়গা
দলিল করে দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। খসরু হাজীর দাবি, এ সময় এ বিষয়ে একটি অঙ্গীকারনামাও সম্পাদিত হয়।
তারা আরও বলেন, প্রায় দুই বছর আগে আব্দুল মোতালিবের মৃত্যুর পর তৈরি হয় জটিলতা। আব্দুল
মোতালিবের তিন ছেলে ফরহাদ চৌধুরী, মাসুম চৌধুরী ও ইমরান চৌধুরী ওই জায়গা ফেরত দিতে অস্বীকৃতি
জানায়। বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার মামলা-সালিশও হয়েছে কিন্তু সমাধান না হওয়ায় ভুক্তভোগী পরিবার
শনিবার দুপুরে এ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন। খসরুর ছেলে সালমান চৌধুরী বলেন, আমার চাচা আব্দুল
মোতালিব নাসিরনগর সদরের ৮ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিল। চাচাতো ভাই মাসুম চৌধুরী
উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক। তারা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমাদের জায়গা দখল করেছে,
আমাদের ওপর জুলুম করেছে। আইন-আদালত, বিচার-আচার, চেয়ারম্যান মেম্বার কারোর কথাই তারা
শোনে না। তাদের কারণে প্রশাসনও আমাদের কোনো সহযোগিতা করতে পারেনি। আমরা ন্যায় বিচার চাই।
খসরুর স্ত্রী সজিদা বেগম বলেন, তারা আমাদের ওপর বেশ কয়েকবার আক্রমণ করেছে। তাদের ৮৬ বছর
বয়সী চাচাকে আঘাত করেছে। কেউ আমাদের পাশে দাঁড়ায়নি। আব্দুল মোতালিবের ছেলে ফরহাদ চৌধুরী
বলেন, আমাদের বিরুদ্ধে করা সকল অভিযোগ মিথ্যে। আমরা কারোর ওপর অত্যাচার করিনি। তারা ভুয়া
কাগজ তৈরি করে আমাদের বিপক্ষে অপপ্রচার চালাচ্ছে। নাসিরনগর থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন
, এ সংক্রান্ত কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেবো।