
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে চলমান আন্দোলন আপাতত স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। টানা চারদিন আন্দোলন চলার পর মঙ্গলবার এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ফলে বুধবার সকালে সচিবালয়ে যে কর্মসূচি পালনের কথা ছিল তা হচ্ছে না।
বৈঠক শেষে ভূমি সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ বলেন, কর্মচারীদের দাবি নিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে আগামীকাল সাক্ষাৎ করব। এ জন্য কর্মচারীদের আন্দোলন আপাতত বন্ধ রাখতে বলেছি।
এদিকে বাংলাদেশ সচিবালয় সংযুক্ত কর্মকর্তা কর্মচারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মো. বাদিউল কবির বলেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে আলোচনা করা পর্যন্ত আমরা আন্দোলন কর্মসূচি বন্ধ রাখবো। তবে দাবি আদায় না হলে বৃহস্পতিবার থেকে আবার আন্দোলন চলবে।
এর আগে মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচজন সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেন সচিবালয়ের আন্দোলনরত কর্মচারীরা।
গত বৃহস্পতিবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ সংশোধন করে সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫-এর খসড়া অনুমোদন হয়। এর পর থেকে এই অধ্যাদেশের বিরোধিতা করে আন্দোলনে নামেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা।
আন্দোলনের মধ্যেই গত রোববার সন্ধ্যায় সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করে সরকার। এই অধ্যাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আজসহ টানা চার দিন সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মচারীরা। নিজেদের দপ্তর ছেড়ে বিপুলসংখ্যক কর্মচারী এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।