Dhaka 7:28 am, Tuesday, 25 March 2025

সয়াবিন উৎপাদন ৪০০ কোটি টাকা

সয়াবিনের সবুজ পাতায় কৃষকের সোনালি স্বপ্ন ।

সয়াল্যান্ড’খ্যাত মেঘনা উপকূলীয় লক্ষ্মীপুর জেলার বিস্তীর্ণ চরজুড়ে এখন সয়াবিনের সবুজ পাতায় কৃষকের সোনালি স্বপ্ন দোল খাচ্ছে। ক্ষেতে পাতা, ফুল আর থোকায় থোকায় সয়াবিনে সবুজের সমারোহ। আর দেড়-দুই মাসের মধ্যে ঘরে উঠবে তাঁদের কাঙ্ক্ষিত এ সোনার ফসল। এ নিয়ে বিশাল কর্মযজ্ঞের আয়োজন চলছে।আবহাওয়া ও মাটি উপযোগী হওয়ায় দেশের মোট উৎপাদনের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ এ জনপদে হয়।চলতি বছর উৎপাদিত সয়াবিন থেকে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা লেনদেন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ। ফসল ঘরে উঠলে চর ও সংশ্লিষ্ট ওই গ্রামীণ জনপদগুলো অর্থনৈতিকভাবে চাঙ্গা থাকে। এদিকে কৃষকদের ভাষ্যমতে, সয়াবিন আবাদে কম পানি প্রয়োজন হয়।চরকাচিয়া, চরলক্ষ্মী, চরবাদাম ও চরআলী হাসানের অন্তত ৩০ জন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যে মাটিতে বোরো ধানের আবাদ সম্ভব নয়, সেখানে সয়াবিন চাষ করা হয়। এ ছাড়া ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনে খরচ বেশি, সয়াবিনে খরচ কম। অন্যান্য ফসলে আবাদে মাটির শক্তি হ্রাস পায়, সয়াবিন চাষে উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।সয়াবিনের জমিতে অন্যান্য ফসলও ভালো হয়। ধানের চেয়ে সয়াবিনের দাম বেশি। তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় প্রতি মণ সয়াবিন। আবাদ করা জমিতে সর্বোচ্চ দুবার করে সার-কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। তবে ধান চাষে আরো বেশি লাগে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

সয়াবিন উৎপাদন ৪০০ কোটি টাকা

Update Time : 02:36:20 pm, Sunday, 23 March 2025
সয়াল্যান্ড’খ্যাত মেঘনা উপকূলীয় লক্ষ্মীপুর জেলার বিস্তীর্ণ চরজুড়ে এখন সয়াবিনের সবুজ পাতায় কৃষকের সোনালি স্বপ্ন দোল খাচ্ছে। ক্ষেতে পাতা, ফুল আর থোকায় থোকায় সয়াবিনে সবুজের সমারোহ। আর দেড়-দুই মাসের মধ্যে ঘরে উঠবে তাঁদের কাঙ্ক্ষিত এ সোনার ফসল। এ নিয়ে বিশাল কর্মযজ্ঞের আয়োজন চলছে।আবহাওয়া ও মাটি উপযোগী হওয়ায় দেশের মোট উৎপাদনের প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ এ জনপদে হয়।চলতি বছর উৎপাদিত সয়াবিন থেকে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা লেনদেন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা কৃষি বিভাগ। ফসল ঘরে উঠলে চর ও সংশ্লিষ্ট ওই গ্রামীণ জনপদগুলো অর্থনৈতিকভাবে চাঙ্গা থাকে। এদিকে কৃষকদের ভাষ্যমতে, সয়াবিন আবাদে কম পানি প্রয়োজন হয়।চরকাচিয়া, চরলক্ষ্মী, চরবাদাম ও চরআলী হাসানের অন্তত ৩০ জন কৃষকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, যে মাটিতে বোরো ধানের আবাদ সম্ভব নয়, সেখানে সয়াবিন চাষ করা হয়। এ ছাড়া ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনে খরচ বেশি, সয়াবিনে খরচ কম। অন্যান্য ফসলে আবাদে মাটির শক্তি হ্রাস পায়, সয়াবিন চাষে উর্বরতা বৃদ্ধি পায়।সয়াবিনের জমিতে অন্যান্য ফসলও ভালো হয়। ধানের চেয়ে সয়াবিনের দাম বেশি। তিন হাজার টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় প্রতি মণ সয়াবিন। আবাদ করা জমিতে সর্বোচ্চ দুবার করে সার-কীটনাশক প্রয়োগ করতে হয়। তবে ধান চাষে আরো বেশি লাগে।