
মহম্মদপুর (মাগুরা) প্রতিনিধি : এই সেতুটি মাগুরার মহম্মদপুরে এলাংখালী ঘাটে মধুমতি নদীর ওপর নির্মিত। ছুটির দিন গুলিতে এখানে জেলা সহ আশেপাশে জেলার মানুষের ভিড় জমে থাকে বেশি। মুক্ত বাতাস আর কোলাহল মুক্ত যায়গা হিসাবে বেছে নিয়েছে এই সেতুটিকে পর্যটক কেন্দ্র হিসাবে।
সেতুটি নির্মাণের ফলে যেমনটা এলাকার জনগণের যাতায়াত এবং কৃষি পণ্য পরিবহন ও আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের গতি সঞ্চার করেছে। এলাকায় অর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য সেবাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় আধুনিক নগর সেবা সম্প্রসারণের মাধ্যমে জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক হয়েছে। এর পাশপাশি সরকারের প্রশাসনিক সেবা এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষা কর্মকাণ্ডে গতি এসেছে। পাশাপাশি সেতুটি মাগুরা জেলার মহম্মদপুরের সঙ্গে পূর্ব দিকে ফরিদপুর জেলার বোয়ালমারি, আলফাডাঙ্গা এবং গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার ভাটিয়াপাড়া হয়ে পদ্ম সেতুকে সংযুক্ত করেছে। ফলে মহম্মদপুর উপজেলা ও ঢাকা মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৯৮ কিলোমিটার হ্রাস পেয়েছে।
অন্যদিকে, ফরিদপুর জেলার মধুখালী হয়ে দৌলদিয়া ঘাট পর্যন্ত সড়ক ব্যবহারকারীদের জন্য ঢাকার সঙ্গে দূরত্ব প্রায় ৬০ কিলোমিটার কমে গিয়েছে। মহম্মদপুর থেকে পাশের শালিখা উপজেলা এবং নড়াইল জেলার লোহাগাড়া ও যশোর জেলার বাঘারপাড়া এলাকার জনসাধারণ সহজেই সেতুটি ব্যবহার করে রাজবাড়ি, ফরিদপুর ও ঢাকা যাতায়াত সহজ করতে পেরেছে।
জেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর উপজেলা ও ইউনিয়ন সড়কে দীর্ঘ সেতু নির্মাণ’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় মাগুরা জেলার মহম্মদপুর উপজেলার মধুমতি নদীর ওপর সেতুটি নির্মিত হয়েছে। উপজেলার এলাংখালী-জাঙ্গালিয়া ঘাটে ৬০০.৭০ মিটার দীর্ঘ ও ৯.৮০ মিটার প্রস্থ সেতুটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ‘৬৩ কোটি ৩১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। মূল সেতু ছাড়াও এর দু’পাড়ে প্রটেকশন ও এ্যপ্রোচ সড়কের মোট দৈর্ঘ্য ১ হাজার ১৭৬ মিটার। এর মধ্যে পূর্ব প্রান্তে ৪৬৬ মিটার ও পশ্চিম প্রান্তে ৭১০ মিটার নতুন সড়ক নির্মিত হয়েছে।