
চীন-ভারত সম্পর্কে টানাপড়েন দীর্ঘদিনের। ২০২০ সালে উত্তর লাদাখে দুই দেশের মধ্যকার সীমান্ত সংঘর্ষের পর থেকে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। সেসব পেছনে ফেলে চার বছর পর চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে নজর দিচ্ছে ভারত।সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী চীনের সঙ্গে দেশটির সম্পর্ক নিয়ে ইতিবাচক কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন, ভারত-চীন সীমান্তে স্বাভাবিকতা ফিরে এসেছে। পাশাপাশি চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার আহ্বানও জানিয়েছেন মোদি।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং ভারতের প্রধানমন্ত্রী কথার প্রশংসা করে বলেছেন, “দুই দেশের অংশীদার হওয়া উচিত এমন, যা একে অপরের সাফল্যে অবদান রাখে”।
ঘনিষ্ঠ অংশীদারিত্বের জন্য মোদির বক্তব্য দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নতির জন্য যতটা বড় পদক্ষেপ মনে করা হচ্ছে, বাস্তবতা আসলে তেমন নয়। দুই দেশের সম্পর্কে টানাটানি এখনো রয়েই গেছে। এই সম্পর্ক আরো উন্নত করতে এবং সত্যিকারের সম্প্রীতি উপভোগ করার জন্য, দ্বিপাক্ষিক-ভাবে এবং আরও বিস্তৃত ভূ-রাজনৈতিকভাবে দেশ দুইটির অনেক ক্ষেত্রে কাজ করতে হবে।
ভারত-চীন সম্পর্কের অনেক উজ্জ্বল ক্ষেত্র রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ধারাবাহিকভাবে শক্তিশালী করা। লাদাখ সংঘর্ষের পরও ভারতের শীর্ষ বাণিজ্য অংশীদার চীন। তারা প্রধান উন্নয়নশীল দেশের জোট ব্রিকস থেকে শুরু করে এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক পর্যন্ত, বহুপাক্ষিকভাবে একে অপরকে সহযোগিতা করছে।
এমনকি লাদাখ সংঘর্ষের পর কয়েক দশকের মধ্যে ভারত-চীন সম্পর্ক তলানিতে ঠেকলেও দেশ দুইটির সামরিক বাহিনী উচ্চ-স্তরের সংলাপ চালিয়েছে। যার ফলস্বরূপ গত অক্টোবরে সীমান্ত টহল পুনরায় শুরু করার বিষয়ে একটি চুক্তি হয়েছে। একই মাসে রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ব্রিকস সম্মেলনে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সাথে দেখা করেন মোদি। তখন আরও সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন দুই নেতা। পরে জানুয়ারিতে উভয় পক্ষ সরাসরি ফ্লাইট পুনরায় চালু করতে সম্মত হয়।