
বিভিন্ন স্থান হতে চুরি ও ছিনতাই হওয়া ৪৮টি মোবাইল ফোন উদ্ধারসহ চোরাকারবারি চক্রের একজনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট। গ্রেফতারকৃতের নাম- মোঃ কাউছার (৩৭)। যাত্রাবাড়ী থানাধীন সায়েদাবাদ এলাকা থেকে চোরাই মোবাইল ফোনসহ তাকে গ্রেফতার করে সিটিটিসির স্পেশাল এ্যাকশন গ্রæপের এন্টি ইললিগ্যাল আর্মস অ্যান্ড ক্যানাইন টিম। সিটিটিসি সূত্রে জানা যায়, সোমবার রাতে সিটিটিসির স্পেশাল এ্যাকশন গ্রæপের এন্টি ইললিগ্যাল আর্মস অ্যান্ড ক্যানাইন টিম ঢাকা মহানগর এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনাকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে, যাত্রাবাড়ী থানার সায়েদাবাদ জনপদ এলাকায় কতিপয় ব্যক্তি বিপুল পরিমান চোরাই মোবাইল ফোন হস্তান্তর করবে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যা ৬:৩০ ঘটিকায় টিমটি জনপদ মোড়ে কৌশলে অবস্থান নেয়। পরবর্তীতে রাত ৯:৩০ ঘটিকায় সায়েদাবাদ এলাকার জনপদ মোড়ে সেন্টমার্টিন পরিবহন কাউন্টারের সামনে সন্দেহভাজন ইমরান ট্রাভেলসের একটি বাস শনাক্ত করা হয় এবং বাসে থাকা কাউছারকে আটক করা হয়। এসময় তার নিকট থাকা একটি ট্রাভেল ব্যাগের মধ্যে হতে ৪৮টি বিভিন্ন র্ব্র্যান্ডের চোরাই মোবাইল উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে তার দেহ তল্লাশী করে তার ব্যবহৃত আরও দুটি মোবাইলসহ সর্বমোট ৫০টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত কাউছারের বিরুদ্ধে ডিএমপির যাত্রাবাড়ী থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে সিটিটিসি সূত্রে আরা জানা যায়, কাউছার মোবাইল ফোন চোরাকারবারি চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। সে জানায়, পলাতক নূর ইসলাম, শরীফ, নয়ন, সবুজ, সাইফুল, স্বপন, মামুন, বাবুল, সুমন ও জাহাঙ্গীরসহ আরো ২০/২২ জন অজ্ঞাতনামা সদস্যের একটি চক্র রয়েছে যারা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে পরিকল্পিতভাবে মোবাইল ফোন চুরি ও ছিনতাই করে। উদ্ধারকৃত চুরি ও ছিনতাই হওয়া মোবাইল ফোনগুলো বরগুনা, পটুয়াখালী ও বরিশাল হতে সংগ্রহ করে ঢাকার বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করার জন্য নিয়ে এসেছিল মর্মে কাউছার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে। গ্রেফতারকৃত কাউছারকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত ও চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।