Dhaka 9:52 am, Tuesday, 29 April 2025

রাজধানীতে নারী ও মাদক বাণিজ্যের আখড়া: কোটিপতি বনে যাওয়া মামুনের অপকর্ম ফাঁস

আওয়ামী লীগের দোষর মামুন

রাজধানীর মিরপুর ও পল্লবী এলাকায় আবাসিক হোটেল ব্যবসার আড়ালে নারী ও মাদক বাণিজ্যের বিস্তারে আলোচিত হয়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগের দোষর মামুন। মিরপুরের প্রভাবশালী আ.লীগের দোষর ইলিয়াজ মোল্লার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মামুন কয়েকটি বিলাসবহুল হোটেল পরিচালনা করে ইতিমধ্যেই কোটিপতি বনে গেছেন। জানা গেছে, শাহআলী থানাধীন বাগদাদ মার্কেটের দশম তলায় অবস্থিত ‘হোটেল আল মামুন’ ছাড়াও পল্লবীতে ‘হোটেল মেট্রো ইন’ এবং পল্টন থানাধীন ‘হোটেল আল মানহা‘ সহ বিভিন্ন এলাকায় তাঁর মালিকানাধীন হোটেল রয়েছে। যাহা নারী ও মাদক বাণিজ্যের অবৈধ উপার্জনে এসব হোটেলের মালিক হন। এদিকে ইসলামীভাবে তিনি নিজে ওমরা হজ্ব করেছেন বলে দাবি করেন। আবার নিজেকে বাঁচার জণ্য বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সাথে আতাত করে প্রকাশ্যে চালিয়ে আসছে তার অবৈধ কারবার।

তথ্য অনুযায়ী, মামুনের হোটেলগুলো যেন মিনি পতিতালয়ে পরিণত হয়েছে। নারী দেহব্যবসার পাশাপাশি এখানে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক ব্যবসাও পরিচালিত হয়। উঠতি বয়সী তরুণরা সহজেই এই ফাঁদে পা দিয়ে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। একাধিক মানব পাচার মামলার পরও মামুনের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিষয়টি মিরপুরের সাধারণ বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিভিন্ন সময় প্রশাসনিক অভিযান চালানো হলেও তা সাময়িক, আবারও আগের অবস্থা ফিরে আসে। স্থানীয়দের মতে, এসব হোটেলে নিয়মিত কলগার্ল এবং মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। অপরাধীরা গোপন সিঁড়ি ব্যবহার করে পুলিশি অভিযানের সময় পালিয়ে যায়, ফলে অপরাধের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না।

স্থানীয় সূত্র বলছে, এসব হোটেলে দিনের পর দিন নারী পাচার ও মাদক ব্যবসা চললেও প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণে কার্যত অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে এই অপকর্মের চক্র। প্রশাসনে থাকা কিছু অসাধু সদস্যের সহযোগিতায় মামুনের ব্যবসা ফুলে- ফেঁপে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এবিষয়ে পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন, ভাই ‘হোটেল মেট্রো ইন’ সম্পর্কে আমার নিকট একাধিক অভিযোগ আসছে। আমি দ্রুত এসব বিষযে পদক্ষেপ নিব। এলাকার সমাজিক ভারসম্য ফিরিয়ে আনতে কোন অপরাধীর ছাড় নয়। এসব অপরাধীরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

দারুস সালাম এসি জোনের এক কর্মকর্তা জানান, “আমি নতুন যোগ দিয়েছি, আসার পর থেকেই মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনেক মাদক উদ্ধার করেছি এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় এনেছি। নারী ও মাদকচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা রাখা হবে। তিনি আরও বলেন, “এই চক্র একটি বড় সিন্ডিকেট হিসেবে কাজ করে, তবে আমরা চেষ্টা করছি এলাকায় সামাজিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

রাজধানীতে নারী ও মাদক বাণিজ্যের আখড়া: কোটিপতি বনে যাওয়া মামুনের অপকর্ম ফাঁস

Update Time : 12:14:16 pm, Monday, 28 April 2025

রাজধানীর মিরপুর ও পল্লবী এলাকায় আবাসিক হোটেল ব্যবসার আড়ালে নারী ও মাদক বাণিজ্যের বিস্তারে আলোচিত হয়ে উঠেছেন আওয়ামী লীগের দোষর মামুন। মিরপুরের প্রভাবশালী আ.লীগের দোষর ইলিয়াজ মোল্লার ঘনিষ্ঠ সহযোগী মামুন কয়েকটি বিলাসবহুল হোটেল পরিচালনা করে ইতিমধ্যেই কোটিপতি বনে গেছেন। জানা গেছে, শাহআলী থানাধীন বাগদাদ মার্কেটের দশম তলায় অবস্থিত ‘হোটেল আল মামুন’ ছাড়াও পল্লবীতে ‘হোটেল মেট্রো ইন’ এবং পল্টন থানাধীন ‘হোটেল আল মানহা‘ সহ বিভিন্ন এলাকায় তাঁর মালিকানাধীন হোটেল রয়েছে। যাহা নারী ও মাদক বাণিজ্যের অবৈধ উপার্জনে এসব হোটেলের মালিক হন। এদিকে ইসলামীভাবে তিনি নিজে ওমরা হজ্ব করেছেন বলে দাবি করেন। আবার নিজেকে বাঁচার জণ্য বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সাথে আতাত করে প্রকাশ্যে চালিয়ে আসছে তার অবৈধ কারবার।

তথ্য অনুযায়ী, মামুনের হোটেলগুলো যেন মিনি পতিতালয়ে পরিণত হয়েছে। নারী দেহব্যবসার পাশাপাশি এখানে ইয়াবা ও অন্যান্য মাদক ব্যবসাও পরিচালিত হয়। উঠতি বয়সী তরুণরা সহজেই এই ফাঁদে পা দিয়ে ধ্বংসের দিকে ধাবিত হচ্ছে। একাধিক মানব পাচার মামলার পরও মামুনের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। বিষয়টি মিরপুরের সাধারণ বাসিন্দারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিভিন্ন সময় প্রশাসনিক অভিযান চালানো হলেও তা সাময়িক, আবারও আগের অবস্থা ফিরে আসে। স্থানীয়দের মতে, এসব হোটেলে নিয়মিত কলগার্ল এবং মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়। অপরাধীরা গোপন সিঁড়ি ব্যবহার করে পুলিশি অভিযানের সময় পালিয়ে যায়, ফলে অপরাধের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না।

স্থানীয় সূত্র বলছে, এসব হোটেলে দিনের পর দিন নারী পাচার ও মাদক ব্যবসা চললেও প্রশাসনের নীরব ভূমিকার কারণে কার্যত অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠেছে এই অপকর্মের চক্র। প্রশাসনে থাকা কিছু অসাধু সদস্যের সহযোগিতায় মামুনের ব্যবসা ফুলে- ফেঁপে উঠেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এবিষয়ে পল্লবী থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন, ভাই ‘হোটেল মেট্রো ইন’ সম্পর্কে আমার নিকট একাধিক অভিযোগ আসছে। আমি দ্রুত এসব বিষযে পদক্ষেপ নিব। এলাকার সমাজিক ভারসম্য ফিরিয়ে আনতে কোন অপরাধীর ছাড় নয়। এসব অপরাধীরা যতই শক্তিশালী হোক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।

দারুস সালাম এসি জোনের এক কর্মকর্তা জানান, “আমি নতুন যোগ দিয়েছি, আসার পর থেকেই মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে অনেক মাদক উদ্ধার করেছি এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় এনেছি। নারী ও মাদকচক্রের বিরুদ্ধে কঠোর ভূমিকা রাখা হবে। তিনি আরও বলেন, “এই চক্র একটি বড় সিন্ডিকেট হিসেবে কাজ করে, তবে আমরা চেষ্টা করছি এলাকায় সামাজিক ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতে। অভিযান অব্যাহত থাকবে।