Dhaka 1:01 pm, Saturday, 29 March 2025

স্বপ্নচূড়ায় মহিদুল

‘স্বপ্নচূড়া বাঁশ শিল্প’ নামে হস্তশিল্পের প্রতিষ্ঠান।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের রামধন এলাকায় বাড়ি মহিদুলের। নিজ বাড়িতেই গড়ে তুলেছেন ‘স্বপ্নচূড়া বাঁশ শিল্প’ নামে হস্তশিল্পের প্রতিষ্ঠান। প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় বাঁশের ওপর খোদাই করা শৌখিন জিনিসপত্র। শোভা পাচ্ছে বাঁশের তৈরি গ্লাস, মগ, কেটলি, হুঁকা, কানের দুল, ফুলদানি, কলমদানি, স্ট্র ইত্যাদি।নিঃস্ব মহিদুল আবার শুরু করেন শূন্য থেকে। ঘুরে দাঁড়ানোর এই লড়াইয়ে খুঁজতে থাকেন ব্যতিক্রম কিছু।

সেই চিন্তা থেকেই করতে থাকেন বাঁশের কাজ, যে বাঁশ আজ তাঁকে স্বাবলম্বী করেছে।তাঁর বাবা আব্দুল ওয়াহেদ বন বিভাগে কাজ করতেন। তিনি বাঁশ ও কাঠ দিয়ে শৌখিন জিনিসপত্র তৈরি করতে পারতেন।নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব পণ্য বগুড়া, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, রংপুর, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করেন। চাহিদামতো আগেই তাঁকে অর্ডার দেন গ্রাহকরা। এরপর নিখুঁতভাবে তৈরি করেন এসব পণ্য। যেকোনো নকশা বা ছবিও এঁকে দেন।মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় ৩০ বছর ধরে বাঁশ দিয়ে শখের বশে নানা কিছু বানাতাম। করোনার সময় এটাকে পেশা হিসেবে নিই। শুরুতে কষ্ট করতে হয়েছে। ধীরে ধীরে পণ্যের চাহিদা বাড়তে থাকে। এখন মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় করছি। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ব্যবসাটা আরো বড় পরিসরে শুরু করতে পারতাম।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

স্বপ্নচূড়ায় মহিদুল

Update Time : 01:43:16 pm, Tuesday, 25 March 2025
সুন্দরগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১২ কিলোমিটার পশ্চিমে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের রামধন এলাকায় বাড়ি মহিদুলের। নিজ বাড়িতেই গড়ে তুলেছেন ‘স্বপ্নচূড়া বাঁশ শিল্প’ নামে হস্তশিল্পের প্রতিষ্ঠান। প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে হাতের নিপুণ ছোঁয়ায় বাঁশের ওপর খোদাই করা শৌখিন জিনিসপত্র। শোভা পাচ্ছে বাঁশের তৈরি গ্লাস, মগ, কেটলি, হুঁকা, কানের দুল, ফুলদানি, কলমদানি, স্ট্র ইত্যাদি।নিঃস্ব মহিদুল আবার শুরু করেন শূন্য থেকে। ঘুরে দাঁড়ানোর এই লড়াইয়ে খুঁজতে থাকেন ব্যতিক্রম কিছু।

সেই চিন্তা থেকেই করতে থাকেন বাঁশের কাজ, যে বাঁশ আজ তাঁকে স্বাবলম্বী করেছে।তাঁর বাবা আব্দুল ওয়াহেদ বন বিভাগে কাজ করতেন। তিনি বাঁশ ও কাঠ দিয়ে শৌখিন জিনিসপত্র তৈরি করতে পারতেন।নিজ জেলার চাহিদা মিটিয়ে এসব পণ্য বগুড়া, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, রংপুর, ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করেন। চাহিদামতো আগেই তাঁকে অর্ডার দেন গ্রাহকরা। এরপর নিখুঁতভাবে তৈরি করেন এসব পণ্য। যেকোনো নকশা বা ছবিও এঁকে দেন।মহিদুল ইসলাম বলেন, ‘প্রায় ৩০ বছর ধরে বাঁশ দিয়ে শখের বশে নানা কিছু বানাতাম। করোনার সময় এটাকে পেশা হিসেবে নিই। শুরুতে কষ্ট করতে হয়েছে। ধীরে ধীরে পণ্যের চাহিদা বাড়তে থাকে। এখন মাসে প্রায় ৫০ হাজার টাকা আয় করছি। পৃষ্ঠপোষকতা পেলে ব্যবসাটা আরো বড় পরিসরে শুরু করতে পারতাম।