Dhaka 4:42 am, Monday, 17 March 2025

দুই বছরের মাথায় ট্রেন ধোয়ার যন্ত্র বিকল

ট্রেন ধোয়ার যন্ত্র বিকল

কমলাপুর রেলস্টেশনের অটোমেটিক ওয়াশিং প্ল‍্যান্টটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো। তাই পাইপ দিয়ে ট্রেন ধোয়ার কাজ করতে হয়।বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেন ধোয়ার জন্য ৩৮ কোটি টাকায় দুটি স্বয়ংক্রিয় ধৌতকরণ ব্যবস্থা বা ওয়াশিং প্ল্যান্ট কিনেছিল। একটি স্থাপন করা হয় ঢাকার কমলাপুরে, অন্যটি রাজশাহীতে। ২০ মাসের মাথায় প্ল্যান্ট দুটি বন্ধ হয়ে যায়।

ওয়াশিং প্ল্যান্ট নামে যে ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছিল, তাতে মূলত কিছু স্বয়ংক্রিয় ব্রাশ, সাবানপানি ও সাধারণ পানি ছিটানোর ব্যবস্থা এবং কয়েকটি বৈদ্যুতিক পাখা ছিল। সাধারণ এই ব্যবস্থা তৈরিতে এত ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল তখনই। রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, অনেক দিন ধরে প্ল্যান্ট দুটি বন্ধ। সেগুলো পুনরায় চালু করতে আরও বিনিয়োগ দরকার, যা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়।

গত বছর মে মাসে মাত্র দুটি ট্রেন ধোয়া হয়। এরপর এর কোনো ব্যবহার হচ্ছে না।রাজশাহীর প্ল্যান্টটি গত বছর এপ্রিল পর্যন্ত চালু ছিল।প্রতিটি কোচ বা কামরা ধোয়ার পেছনে গড়ে ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার ১২৪ টাকা।সব মিলিয়ে দুটি ওয়াশিং প্ল্যান্ট কেনা ও স্থাপনে ব্যয় হয় ৩৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

দুই বছরের মাথায় ট্রেন ধোয়ার যন্ত্র বিকল

Update Time : 11:23:44 am, Sunday, 16 March 2025

কমলাপুর রেলস্টেশনের অটোমেটিক ওয়াশিং প্ল‍্যান্টটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো। তাই পাইপ দিয়ে ট্রেন ধোয়ার কাজ করতে হয়।বাংলাদেশ রেলওয়ে ট্রেন ধোয়ার জন্য ৩৮ কোটি টাকায় দুটি স্বয়ংক্রিয় ধৌতকরণ ব্যবস্থা বা ওয়াশিং প্ল্যান্ট কিনেছিল। একটি স্থাপন করা হয় ঢাকার কমলাপুরে, অন্যটি রাজশাহীতে। ২০ মাসের মাথায় প্ল্যান্ট দুটি বন্ধ হয়ে যায়।

ওয়াশিং প্ল্যান্ট নামে যে ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছিল, তাতে মূলত কিছু স্বয়ংক্রিয় ব্রাশ, সাবানপানি ও সাধারণ পানি ছিটানোর ব্যবস্থা এবং কয়েকটি বৈদ্যুতিক পাখা ছিল। সাধারণ এই ব্যবস্থা তৈরিতে এত ব্যয় নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল তখনই। রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, অনেক দিন ধরে প্ল্যান্ট দুটি বন্ধ। সেগুলো পুনরায় চালু করতে আরও বিনিয়োগ দরকার, যা কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়।

গত বছর মে মাসে মাত্র দুটি ট্রেন ধোয়া হয়। এরপর এর কোনো ব্যবহার হচ্ছে না।রাজশাহীর প্ল্যান্টটি গত বছর এপ্রিল পর্যন্ত চালু ছিল।প্রতিটি কোচ বা কামরা ধোয়ার পেছনে গড়ে ব্যয় হয়েছে ১১ হাজার ১২৪ টাকা।সব মিলিয়ে দুটি ওয়াশিং প্ল্যান্ট কেনা ও স্থাপনে ব্যয় হয় ৩৭ কোটি ৭৮ লাখ টাকা।