Dhaka 10:44 am, Friday, 9 May 2025

পদত্যাগের দাবিতে তালাবদ্ধ ববি প্রশাসন

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক প্রশাসনিক কার্যালয়ে তালা দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা নানা স্লোগানে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্লোগানগুলো ছিল—‘ওয়ান ট্রু থ্রি ফোর, ফ্যাসিস্ট ভিসি নো মোর’; ‘এক দফা এক দাবি, স্বৈরাচার তুই কবে যাবি’; ‘দফায় দফায় মামলা, এখন গদি সামলা’—ইত্যাদি।

পরে শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত প্রশাসনিক ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে উপাচার্যের কার্যালয়, ট্রেজারার কার্যালয় এবং রেজিস্ট্রারের কার্যালয়সহ একাধিক কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন।

তালাবদ্ধ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম রব্বানী এবং ট্রেজারার অধ্যাপক মামুন অর রশিদ নিজ নিজ কার্যালয় ত্যাগ করেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যকে মঙ্গলবার সকাল ১১টার মধ্যে পদত্যাগের জন্য আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় ‘শাটডাউন’ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আকরাম বলেন, “বর্তমান ভিসি কার্যক্রমে ছাত্রবান্ধবতার অভাব স্পষ্ট। তিনি আন্দোলনের সময় আলোচনার আগ্রহ দেখালেও দায়িত্ব পালনে উদাসীন। আমরা এমন একজন ভিসি চাই, যিনি সত্যিকার অর্থে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবেন।”

শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, উপাচার্য পদত্যাগ না করলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচির পথে যাবেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

পদত্যাগের দাবিতে তালাবদ্ধ ববি প্রশাসন

Update Time : 05:10:33 pm, Tuesday, 6 May 2025

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. শুচিতা শরমিনের পদত্যাগের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে ক্যাম্পাস। চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক প্রশাসনিক কার্যালয়ে তালা দিয়েছে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

দুপুর ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা নানা স্লোগানে উপাচার্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্লোগানগুলো ছিল—‘ওয়ান ট্রু থ্রি ফোর, ফ্যাসিস্ট ভিসি নো মোর’; ‘এক দফা এক দাবি, স্বৈরাচার তুই কবে যাবি’; ‘দফায় দফায় মামলা, এখন গদি সামলা’—ইত্যাদি।

পরে শিক্ষার্থীরা পূর্বঘোষিত প্রশাসনিক ‘শাটডাউন’ কর্মসূচি বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে উপাচার্যের কার্যালয়, ট্রেজারার কার্যালয় এবং রেজিস্ট্রারের কার্যালয়সহ একাধিক কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন।

তালাবদ্ধ অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম রব্বানী এবং ট্রেজারার অধ্যাপক মামুন অর রশিদ নিজ নিজ কার্যালয় ত্যাগ করেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, উপাচার্যকে মঙ্গলবার সকাল ১১টার মধ্যে পদত্যাগের জন্য আল্টিমেটাম দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পদত্যাগ না করায় ‘শাটডাউন’ বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

রসায়ন বিভাগের শিক্ষার্থী আকরাম বলেন, “বর্তমান ভিসি কার্যক্রমে ছাত্রবান্ধবতার অভাব স্পষ্ট। তিনি আন্দোলনের সময় আলোচনার আগ্রহ দেখালেও দায়িত্ব পালনে উদাসীন। আমরা এমন একজন ভিসি চাই, যিনি সত্যিকার অর্থে শিক্ষার্থীদের পাশে থাকবেন।”

শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, উপাচার্য পদত্যাগ না করলে তারা আরও কঠোর কর্মসূচির পথে যাবেন।