
সারাদিন রোজার পর ক্লান্ত হয়ে পড়ে শরীর। প্রয়োজন একটু সতেজতা। আপনার শরীরে সেই সতেজতা এনে দিতে পারে দই চিড়া। একই সঙ্গে বাড়বে হজম প্রক্রিয়া, দূর হবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা। চিড়া কার্বোহাইড্রেটের অন্যতম উৎস। প্রোটিন, খাদ্য আঁশ, জিংক, আয়রনের উৎস। এ ছাড়া এতে ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। সারাদিন রোজা রাখার পর আমাদের শরীরের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ শক্তি সরবরাহ করতে পারে এই চিড়া। সাদা চিড়ার পরিবর্তে লাল চিড়া খাওয়ার চেষ্টা করুন। ইফতারে মিষ্টি দইয়ের চেয়ে টক দই বেশি উপকারী। ইফতারে চিড়া-গুড় কিংবা দই-চিড়াও খাওয়ার অভ্যাস অনেকেরই। চিড়া ভিজিয়ে তাতে চিনি, গুড় কিংবা দই মিশিয়ে খাওয়া হয়। চিড়া আমাদের পেট ঠান্ডা করে, পানির অভাব পূরণ করে এবং একইসঙ্গে ক্ষুধা মেটায়।
আরো পড়ুন:ইফতারে পেট ঠান্ডা রাখবে যেসব খাবার
পুষ্টিবিদদের মতে, স্বাস্থ্যের অবস্থা ও বয়সের ওপর ভিত্তি করে পরিবারের সবার জন্য স্বাস্থ্যকর, ভিটামিন ও মিনারেলসমৃদ্ধ ইফতার হওয়া উচিত। যা শারীরিক শক্তি জোগাবে, কর্মচঞ্চল রাখবে, প্রোটিন, শর্করাসহ প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করবে। শরীরের পানিশূন্যতা পূরণ করবে, ক্লান্তি ভাব দূর করতে কাজ করবে তেমনই একটি খাবার দই চিড়া। পুষ্টিবিদরা জানান, চিড়ায় পটাশিয়াম ও সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকার জন্য কিডনি রোগীদের ক্ষেত্রে চিড়া খাওয়ার উপকারিতা অনেক। সিলিয়াক ডিজিজের রোগীদের জন্যও চিড়া খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে। চিড়া আমাদের পেট ঠান্ডা করে, পানির অভাব পূরণ করে এবং একইসঙ্গে ক্ষুধা মেটায়। চিড়ায় আঁশের পরিমাণ অনেক কম থাকে, যা ডায়রিয়া, ক্রনস ডিজিজ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, অন্ত্রের প্রদাহ এবং ডাইভারটিকুলাইসিস রোগ প্রতিরোধে এর উপকারিতা অনেক। জেনে নিতে পারেন ইফতারে দই চিড়া খাওয়ার দারুণ এই রেসিপি।
আরো পড়ুন:রোজায় পান করবেন যে ধরনের পানীয়
দই চিড়া তৈরিতে যা যা লাগবে-
টক দই (২ কাপ), চিড়া (১/২ কাপ), পাকা কলা (স্কয়ার করে কাটা ১টি), চিনি (প্রয়োজন মতো), লবণ (প্রয়োজন মতো), এলাচি গুঁড়া (১/৪ চা চামচ), কিসমিস (১ টেবিল চামচ)।
যেভাবে তৈরি করবেন-
প্রথমে চিড়া ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিতে হবে। এরপর বাটিতে টকদই, চিনি ও লবণ দিয়ে ভালোভাবে ফেটে নিতে হবে। ফেটানো দইয়ে চিড়া মেখে ফ্রিজে রাখুন। এক ঘণ্টা পর ফ্রিজ থেকে বের করে কলা, এলাচি গুঁড়া ও কিশমিশ ভালোভাবে মিশিয়ে পরিবেশন করুন।
One thought on “যে কারণে ইফতারে রাখবেন স্বাস্থ্যকর দই-চিড়া”