Dhaka 3:58 pm, Thursday, 8 May 2025

ফরিদপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

সাজাপ্রাপ্ত নুর আলম ওরফে হুমায়ুন ।

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গোপালদী গ্রামে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (৭ মে) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত নুর আলম ওরফে হুমায়ুন (৩৪) ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গোপালদী গ্রামের মো. শহীদ শেখের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় নুর আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওই নারীর বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামে। মেয়ে হত্যার দায়ে তার বাবা কুতুব উদ্দিন মোল্লা গত ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর মামলা দায়ের করেন মধুখালী থানায়। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, গত ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর দিবাগত রাত পৌনে একটার সময় আমার মেয়ের স্বামীর বাড়ি উপজেলার গোপালদী গ্রামে তার পরিবারের লোকজন যোগসাজশে যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে তাদের নিজ বাড়িতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর আমার মেয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালায়। এ বিষয়ে আমাকে এবং আমার পরিবারের কাউকে কিছু জানাই না তার স্বামীর বাড়ির লোকজন। পরবর্তী দিন ২৪ অক্টোবর ভোর ছয়টার সময় প্রতিবেশীদের মাধ্যমে ফোনে আমরা বিষয়টি জানতে পারি।

ওই বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কোন লোকজনকে না দেখে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলার এ রায়ে সন্তুষ্ট হয়েছি। মামলাটিতে মোট ১২ জন সাক্ষী দেয়। সকল আলামত ও সাক্ষীদের জবানবন্দীতে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় দেন। তিনি বলেন, এই মামলা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে যৌতুক লোভী মানুষের জন্য, যারা যৌতুক না পেয়ে নিজের স্ত্রীকে হত্যা করে।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

ফরিদপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

Update Time : 08:52:34 pm, Wednesday, 7 May 2025

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গোপালদী গ্রামে স্ত্রীকে হত্যার দায় স্বামীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। বুধবার (৭ মে) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শামীমা পারভীন এ আদেশ দেন। সাজাপ্রাপ্ত নুর আলম ওরফে হুমায়ুন (৩৪) ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার গোপালদী গ্রামের মো. শহীদ শেখের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় নুর আলম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ প্রহরায় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।

এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নিহত ওই নারীর বাড়ি ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার দয়ারামপুর গ্রামে। মেয়ে হত্যার দায়ে তার বাবা কুতুব উদ্দিন মোল্লা গত ২০১৮ সালের ২৫ অক্টোবর মামলা দায়ের করেন মধুখালী থানায়। তিনি মামলায় উল্লেখ করেন, গত ২০১৮ সালের ২৩ অক্টোবর দিবাগত রাত পৌনে একটার সময় আমার মেয়ের স্বামীর বাড়ি উপজেলার গোপালদী গ্রামে তার পরিবারের লোকজন যোগসাজশে যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে তাদের নিজ বাড়িতে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। এরপর আমার মেয়ে বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচারণা চালায়। এ বিষয়ে আমাকে এবং আমার পরিবারের কাউকে কিছু জানাই না তার স্বামীর বাড়ির লোকজন। পরবর্তী দিন ২৪ অক্টোবর ভোর ছয়টার সময় প্রতিবেশীদের মাধ্যমে ফোনে আমরা বিষয়টি জানতে পারি।

ওই বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কোন লোকজনকে না দেখে আমরা বিষয়টি পুলিশকে জানাই। পরে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ বিষয়ে ফরিদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট গোলাম রব্বানী ভূঁইয়া রতন জানান, আমরা রাষ্ট্রপক্ষ মামলার এ রায়ে সন্তুষ্ট হয়েছি। মামলাটিতে মোট ১২ জন সাক্ষী দেয়। সকল আলামত ও সাক্ষীদের জবানবন্দীতে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত এই রায় দেন। তিনি বলেন, এই মামলা একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে যৌতুক লোভী মানুষের জন্য, যারা যৌতুক না পেয়ে নিজের স্ত্রীকে হত্যা করে।