
মু. সাইফুল ইসলাম: লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধি:
লক্ষ্মীপুরের রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ১৩ ইউপি চেয়ারম্যান আত্মগোপনে রয়েছেন। গত ৪ আগস্টের পর তাদের আর কার্যালয়ে আসতে দেখা যায়নি।
স্থানীয়দের মতে, রামগতি ও কমলনগরের বেশিরভাগ চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে কারচুপির মাধ্যমে নির্বাচিত হয়েছেন। গত ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর সবাই আত্মগোপনে চলে যান। বর্তমানে ১৩ ইউপি চেয়ারম্যানের কোনো হদিস নেই। তারা কার্যালয়ে না আসায় সেবাবঞ্চিত রয়েছেন সাধারণ জনগণ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও হাজির হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক ও পাটোয়ারীর হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম নুরুল আমিন রাজু, চর মার্টিন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান ইউছুফ আলী মিঠু, সাহেবের হাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান মাস্টার আবুল খায়ের, রামগতির চর রমিজ উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও চেয়ারম্যান মুজাহিদুল ইসলাম দিদার, চর আব্দুল্লাহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান কামাল হোসেন মন্জু, আলেকজান্ডার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চেয়ারম্যান শামীম আব্বাস সুমন, বড়খেরী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও চর গাজী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তওহিদুল ইসলাম সুমনসহ আরও কয়েকজন গা-ঢাকা দেওয়ায় পরিষদের কাজ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে উভয় উপজেলায় প্রায় দুই লাখ মানুষ সেবাবঞ্চিত রয়েছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুচিত্র রঞ্জন দাস সংবাদ দিগন্ত কে বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের বিষয়ে আমাদের কোনো নির্দেশনা নেই।’ তবে আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক হলে সবাই আসবেন বলে জানান তিনি।