
সামনে রমজান মাস। এখনো জানুয়ারি মাসের বেতন পাই নাই। সংসার চালানো মুশকিল হয়ে গেছে। অসহায়ত্বের সুরে এমনটাই বলেন নোয়াখালী থেকে আসা শিক্ষক আসাদুল্লাহ মিয়াজী। বলেন, না পারি মানুষের কাছে ধার-দেনা করতে আবার না পারি ভিন্ন পেশায় যেতে। আমার বাসা ভাড়া বাকি পড়েছে এক মাসের। কিস্তি দেয়া লাগে। ঋণ করে আর চলতে পারছি না। আমার ওষুধ কেনা লাগে প্রতি মাসে দুই হাজার টাকার। ফার্মেসিতেও বাকি পড়ছে।
ফেব্রুয়ারিও শেষ। এখনো বেসরকারি স্কুল-কলেজের এমপিওভুক্ত প্রায় সাড়ে তিন লাখ শিক্ষক-কর্মচারীর পকেটে আসেনি জানুয়ারির বেতন। কর্মকর্তারা বলছেন, এপ্রিল পর্যন্ত বেতন নিয়ে এই অস্বাভাবিকতা থাকতে পারে। আর এক থেকে দুই কর্মদিবসের মধ্যেই মিলবে জানুয়ারি মাসের বেতন। নতুন প্রক্রিয়ায় বেতন দেয়া শুরু করেছে সরকার। ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে শিক্ষকদের দেয়া হচ্ছে বেতন। আগে এনালগ পদ্ধতিতে বেতন দেয়া হতো। এর মাধ্যমে নানা ভোগান্তির মুখে পড়তেন তারা। নির্ভুল তথ্য সরবরাহ করা শিক্ষক-কর্মচারীরা অপেক্ষা করছেন বেতনের জন্য। কিন্তু অনেকেই নির্ভুল ও একই তথ্য দিতে না পারায় নামই ওঠাতে পারেননি সার্ভারে। মাউশি’ও রয়েছে বিপাকে।
মাউশি বলছে, নতুন একটি প্রক্রিয়া। তাই কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। মাউশি থেকে পত্র গেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে। সেখান থেকে ছাড়পত্র পাস হলেই মিলবে বেতন। মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, জানুয়ারির বেতনের আবেদন পাস হয়েছে। তবে ফেব্রুয়ারির বেতন নিয়ে এখনো কাজই শুরু করেনি ইএফটি সেল।