
লালমনিরহাটের পাটগ্রামে স্ত্রী উম্মে আয়মান এমিকে (২১) ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগে ঘাতক স্বামী হাসিবুল ইসলামকে (২৪) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১০ জুন) বেলা পৌনে ১১টার দিকে হাসিবুল হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছেন বলে নিশ্চিত করে পুলিশ। এর আগে, সোমবার (৯ জুন) বিকেলে সেনাবাহিনীর সহায়তায় লালমনিরহাট মিশন মোড় থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার হাসিবুল উপজেলার কুচলীবাড়ি ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মোজাফ্ফর হোসেনের ছেলে।
পুলিশ ও স্বজনরা জানায়, একই এলাকার একরামুল হকের মেয়ে উম্মে আয়মান এমির সাথে প্রায় দু’বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় হাসিবুলের। তাদের ঘরে এক বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। এ নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। ঈদুল আজহার দিন (শনিবার) এমি বাবার বাড়িতে ছিলেন। পুরুষরা সবাই নামাজে চলে গেলে হাসিবুল ও এমি একটি ঘরে কথা বলছিলেন। একপর্যায়ে হাসিবুল এমিকে পেছন দিক থেকে অতর্কিতভাবে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এমির। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা দ্রুত নামাজ থেকে বাড়ি ফিরে এমির রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এ ঘটনার পর পুলিশ হাসিবুলের বাবা মোজাফ্ফর ও তার বড় ভাইকে আটক করে থানায় নেয়। এমির বাবা একরামুল হক থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে পুলিশ হাসিবুলকে ধরতে অভিযান শুরু করে। তিনি যেন সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালিয়ে যেতে না পারেন সে জন্য পুলিশ, লালমনিরহাট বিজিবি ও সেনাবাহিনীকেও অবহিত করা হয়।
পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান মঙ্গলবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে বলেন, হাসিবুল হত্যার কথা স্বীকার করেছে। তাকে আদালতে পাঠানো হবে। তবে তিনি যদি এই স্বীকারোক্তি আদালতেও দেন, তাহলে আর রিমান্ডের প্রয়োজন হবে না।