Dhaka 2:25 am, Monday, 17 March 2025

কেসিসির সাবেক মেয়র তালুকদার খালেকের সহযোগী ঠিকাদার কালো তালিকায়

খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের ঠিকাদারি কাজের অংশীদার মেসার্স হোসেন টেডার্সকে কালো তালিকা ভুক্ত করা হয়েছে। একই সাথে ১২ জন ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়েছে।
গতকাল কেসিসির প্রশাসক ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনার সঙ্গে প্রকৌশলীদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে পর্যায়ক্রমে সকলকে চিঠি দেওয়া শুরু হয়েছে। আরো ২২ জনের নামে ও  এ তালিকা করা হয়েছে। তাদেরকে ও শোকজ করা হবে।
সুত্র মতে জানা যায়, মেয়র হয়েও গত ৬ বছর ধরে কেসিসির ঠিকাদারি কাজ করতেন তালুকদার আব্দুল খালেক। মেসার্স হোসেন টেডার্স,আজাদ ইঞ্জিনিয়ার্স ও মেসার্স তাজুল ইসলাম নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে তিনি কাজ গুলো করতেন।এই কাজ দেখাশুনা করতেন মেসার্স হোসেন টেডার্সের মালিক এইচ এম সেলিম। খুলনায় তিনি সেলিম হুজুর নামে সবার কাছে পরিচিত। টেন্ডার সাবমিট করা হলেও মেয়র নিজ ইচ্ছামত অন্য লোককে কাজ দিয়ে দিতেন।এতে করে প্রকৃত ঠিকাদার তার অধিকার হতে বঞ্চিত হতেন।
কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান বলেন,  সেলিম হুজুরের মালিকানাধীন মেসার্স হোসেন টেডার্সকে এক বছরের জন্য কালো তালিকা ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আরো ১২ জন ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়েছে। আরো ২২ জনের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদেরও শোকজ করা হবে। এদের অধিনে প্রায় ২শত কোটি টাকার কাজ পেন্ডিং রয়েছে।
তারা যদি শিগরিই চলমান কাজ শুরু না করেন তাহলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিধি অনুযায়ী ফার্মের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। যাদের শোকজ করা হয়েছে তারা হলেন আজাদ ইঞ্জিনিয়ার্স,মেসার্স তাজুল ইসলাম, শাহীদ এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স রোজা এন্টারপ্রাইজ, টুটুল অ্যান্ড কোং, এফ,এম বিল্ডার্স,রকি এন্টারপ্রাইজ, রহমান অ্যান্ড ব্রাদার্স, মাসুদ এন্টারপ্রাইজ, আবুল হোসেন কোং ও জিয়াউল ট্রেডার্স।
এছাড়া জিয়াউল ট্রেডার্সের আরেকটি কাজ বাতিল ও ফার্মটি ৬ মাসের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। কেউ কেউ ইতিমধ্যে চলমান কাজ শুরু করেছেন। ২০ থেকে ২২ জন ঠিকাদার আত্মগোপনে রয়েছেন। তারা শিগরিই যাতে কাজ শুরু করেন সেভাবে কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন,কাজ নিয়ে দীর্ঘ দিন ফেলে রাখা মানুষের দুর্ভোগ দৃষ্টি হওয়ায় এই শাস্তি মুলক ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কেসিসির প্রকৌশলীরা বলেন,মেয়রের কাছের লোক হওয়ায় মেসার্স তাজুল এন্টারপ্রাইজের মালিক ঠিকাদার তাজুল ইসলাম ছিলেন বেপরোয়া। কাজ না করে বিল তৈরি করে অনেকটা জোর করে টাকা আদায় করে নিতেন।নাম মাত্র কাজ করতেন।অনিয়ম কাকে বলে তিনি করতেন। তার কথা না শুনলেই প্রকৌশলী সহ স্টাফরা বিভিন্ন সময়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
নির্যাতনের পর প্রকৌশলীরা ভয়ে তাদের নির্যাতনের কথা কাউকে বলতে পারত না।আর সেলিম হুজুরের কাজ কেউ তদারকি করতে সাহস পেতেন না।তিনি যেভাবে চাইতেন সেভাবে প্রকৌশলীরা কাজ দেখবাল করতেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

কেসিসির সাবেক মেয়র তালুকদার খালেকের সহযোগী ঠিকাদার কালো তালিকায়

Update Time : 09:56:38 pm, Friday, 30 August 2024
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেকের ঠিকাদারি কাজের অংশীদার মেসার্স হোসেন টেডার্সকে কালো তালিকা ভুক্ত করা হয়েছে। একই সাথে ১২ জন ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়েছে।
গতকাল কেসিসির প্রশাসক ও খুলনা বিভাগীয় কমিশনার সঙ্গে প্রকৌশলীদের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ বিষয়ে পর্যায়ক্রমে সকলকে চিঠি দেওয়া শুরু হয়েছে। আরো ২২ জনের নামে ও  এ তালিকা করা হয়েছে। তাদেরকে ও শোকজ করা হবে।
সুত্র মতে জানা যায়, মেয়র হয়েও গত ৬ বছর ধরে কেসিসির ঠিকাদারি কাজ করতেন তালুকদার আব্দুল খালেক। মেসার্স হোসেন টেডার্স,আজাদ ইঞ্জিনিয়ার্স ও মেসার্স তাজুল ইসলাম নামের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নামে তিনি কাজ গুলো করতেন।এই কাজ দেখাশুনা করতেন মেসার্স হোসেন টেডার্সের মালিক এইচ এম সেলিম। খুলনায় তিনি সেলিম হুজুর নামে সবার কাছে পরিচিত। টেন্ডার সাবমিট করা হলেও মেয়র নিজ ইচ্ছামত অন্য লোককে কাজ দিয়ে দিতেন।এতে করে প্রকৃত ঠিকাদার তার অধিকার হতে বঞ্চিত হতেন।
কেসিসির প্রধান প্রকৌশলী মশিউজ্জামান খান বলেন,  সেলিম হুজুরের মালিকানাধীন মেসার্স হোসেন টেডার্সকে এক বছরের জন্য কালো তালিকা ভুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া আরো ১২ জন ঠিকাদারকে শোকজ করা হয়েছে। আরো ২২ জনের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। তাদেরও শোকজ করা হবে। এদের অধিনে প্রায় ২শত কোটি টাকার কাজ পেন্ডিং রয়েছে।
তারা যদি শিগরিই চলমান কাজ শুরু না করেন তাহলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিধি অনুযায়ী ফার্মের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান। যাদের শোকজ করা হয়েছে তারা হলেন আজাদ ইঞ্জিনিয়ার্স,মেসার্স তাজুল ইসলাম, শাহীদ এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স রোজা এন্টারপ্রাইজ, টুটুল অ্যান্ড কোং, এফ,এম বিল্ডার্স,রকি এন্টারপ্রাইজ, রহমান অ্যান্ড ব্রাদার্স, মাসুদ এন্টারপ্রাইজ, আবুল হোসেন কোং ও জিয়াউল ট্রেডার্স।
এছাড়া জিয়াউল ট্রেডার্সের আরেকটি কাজ বাতিল ও ফার্মটি ৬ মাসের জন্য কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। কেউ কেউ ইতিমধ্যে চলমান কাজ শুরু করেছেন। ২০ থেকে ২২ জন ঠিকাদার আত্মগোপনে রয়েছেন। তারা শিগরিই যাতে কাজ শুরু করেন সেভাবে কথা বলা হয়েছে। তিনি বলেন,কাজ নিয়ে দীর্ঘ দিন ফেলে রাখা মানুষের দুর্ভোগ দৃষ্টি হওয়ায় এই শাস্তি মুলক ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কেসিসির প্রকৌশলীরা বলেন,মেয়রের কাছের লোক হওয়ায় মেসার্স তাজুল এন্টারপ্রাইজের মালিক ঠিকাদার তাজুল ইসলাম ছিলেন বেপরোয়া। কাজ না করে বিল তৈরি করে অনেকটা জোর করে টাকা আদায় করে নিতেন।নাম মাত্র কাজ করতেন।অনিয়ম কাকে বলে তিনি করতেন। তার কথা না শুনলেই প্রকৌশলী সহ স্টাফরা বিভিন্ন সময়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
নির্যাতনের পর প্রকৌশলীরা ভয়ে তাদের নির্যাতনের কথা কাউকে বলতে পারত না।আর সেলিম হুজুরের কাজ কেউ তদারকি করতে সাহস পেতেন না।তিনি যেভাবে চাইতেন সেভাবে প্রকৌশলীরা কাজ দেখবাল করতেন।