Dhaka 6:30 am, Sunday, 23 March 2025

প্রেসক্লাবে ঢুকে সাংবাদিককে পেটালেন ডাক্তার 

সাংবাদিককে পেটালেন ডাক্তার 

ময়মনসিংহে থানায় অপচিকিৎসার অভিযোগ করায় এক সাংবাদিককে প্রেসক্লাবের ভেতরে ঢুকে পিটিয়েছে চিকিৎসক ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এতে ওই সাংবাদিকের মাথায় আঘাত লাগায় ডান কানে ৪০ শতাংশ কম শুনছেন বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। শনিবার (২২ মার্চ) পর্যন্ত ওই সাংবাদিক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগে ভর্তি আছেন।

আহত সাংবাদিক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঈশ্বরদিয়া খালপাড় এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় দৈনিক ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস পত্রিকার জ্যৈষ্ঠ প্রতিবেদক ও দৈনিক রুপালী বাংলাদেশ পত্রিকার ময়মনসিংহ নিজস্ব প্রতিবেদক।

আহত সাংবাদিকের ভাষ্য, তার বাবা মোসলেম উদ্দিন (৭০) ৭ থেকে ৮ দিন ধরে দাঁত ব্যথায় ভুগছিলেন। পরে দাঁত তোলার জন্য তাকে হাসপাতালে অনেক চেষ্টা করা হয়। কোনো মতেই তিনি হাসপাতালে যাবেন বলে বায়না ধরে। পরে গত ১২ মার্চ বিকালে নগরীর শম্ভুগঞ্জ পশ্চিম বাজার এলাকার এ্যাডভান্সড ডেন্টাল সলোশন নামক একটি দন্ত চিকিৎসালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই নিজেকে চিকিৎসক দাবি করা শিমু আক্তার, নাড়াচাড়া করা দাঁত না ফেলে ভালো দাঁত ফেলে কিছু ওষুধ লিখে দেয়। এগুলো নিয়ে মোসলেম বাড়িতে ফিরে আরও বেশি দাঁতের ব্যথায় ভোগতে শুরু করেন। ওষুধ খেয়েও কোনো কাজ হচ্ছিল না। পরে ওইদিন রাত ১১টার দিকে বুঝতে পারেন, তার নাড়াচাড়া করা দাঁত না ফেলে ভালো দাঁত ফেলে দিয়েছেন।

পরদিন ১৩ মার্চ বিকেলে শম্ভুগঞ্জ বাজার মোড়ের গোল চত্বর এলাকার রীচ হেলথ সেন্টার নামক দন্ত চিকিৎসালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম নিজেও কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই মোসলেম উদ্দিনকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় বসিয়েই দাত ফেলে দিয়ে ওষুধ লিখে দেন।এমন অপচিকিৎসার বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে উল্টো সংবাদকর্মীকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেন।

এ ঘটনায় গত বুধবার (১৮ মার্চ) সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম নিজে বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় ভুয়া চিকিৎসক শিমু আক্তার ও ডা. আমিনুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করেন।চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সংবাদকর্মীকে থানায় অভিযোগ করায় গালাগালি শুরু করেন এবং মারধর করার চেষ্টা করেন।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

আপডেট সংবাদ
বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

প্রেসক্লাবে ঢুকে সাংবাদিককে পেটালেন ডাক্তার 

Update Time : 02:56:28 pm, Saturday, 22 March 2025

ময়মনসিংহে থানায় অপচিকিৎসার অভিযোগ করায় এক সাংবাদিককে প্রেসক্লাবের ভেতরে ঢুকে পিটিয়েছে চিকিৎসক ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। এতে ওই সাংবাদিকের মাথায় আঘাত লাগায় ডান কানে ৪০ শতাংশ কম শুনছেন বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। শনিবার (২২ মার্চ) পর্যন্ত ওই সাংবাদিক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নাক-কান-গলা বিভাগে ভর্তি আছেন।

আহত সাংবাদিক মো. মঞ্জুরুল ইসলাম ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের চর ঈশ্বরদিয়া খালপাড় এলাকার মোসলেম উদ্দিনের ছেলে। তিনি স্থানীয় দৈনিক ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস পত্রিকার জ্যৈষ্ঠ প্রতিবেদক ও দৈনিক রুপালী বাংলাদেশ পত্রিকার ময়মনসিংহ নিজস্ব প্রতিবেদক।

আহত সাংবাদিকের ভাষ্য, তার বাবা মোসলেম উদ্দিন (৭০) ৭ থেকে ৮ দিন ধরে দাঁত ব্যথায় ভুগছিলেন। পরে দাঁত তোলার জন্য তাকে হাসপাতালে অনেক চেষ্টা করা হয়। কোনো মতেই তিনি হাসপাতালে যাবেন বলে বায়না ধরে। পরে গত ১২ মার্চ বিকালে নগরীর শম্ভুগঞ্জ পশ্চিম বাজার এলাকার এ্যাডভান্সড ডেন্টাল সলোশন নামক একটি দন্ত চিকিৎসালয়ে নেওয়া হয়। সেখানে নেওয়ার পর কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই নিজেকে চিকিৎসক দাবি করা শিমু আক্তার, নাড়াচাড়া করা দাঁত না ফেলে ভালো দাঁত ফেলে কিছু ওষুধ লিখে দেয়। এগুলো নিয়ে মোসলেম বাড়িতে ফিরে আরও বেশি দাঁতের ব্যথায় ভোগতে শুরু করেন। ওষুধ খেয়েও কোনো কাজ হচ্ছিল না। পরে ওইদিন রাত ১১টার দিকে বুঝতে পারেন, তার নাড়াচাড়া করা দাঁত না ফেলে ভালো দাঁত ফেলে দিয়েছেন।

পরদিন ১৩ মার্চ বিকেলে শম্ভুগঞ্জ বাজার মোড়ের গোল চত্বর এলাকার রীচ হেলথ সেন্টার নামক দন্ত চিকিৎসালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম নিজেও কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই মোসলেম উদ্দিনকে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশায় বসিয়েই দাত ফেলে দিয়ে ওষুধ লিখে দেন।এমন অপচিকিৎসার বিষয়ে তাদের কাছে জানতে চাইলে উল্টো সংবাদকর্মীকে বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেন।

এ ঘটনায় গত বুধবার (১৮ মার্চ) সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম নিজে বাদী হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় ভুয়া চিকিৎসক শিমু আক্তার ও ডা. আমিনুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে অভিযোগ দায়ের করেন।চিকিৎসক আমিনুল ইসলাম সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে সংবাদকর্মীকে থানায় অভিযোগ করায় গালাগালি শুরু করেন এবং মারধর করার চেষ্টা করেন।