
মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য খালাসের পর পণ্যবোঝাই জাহাজ সাগরে অলস ভাসছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে অভিযান শুরু করেছে কোষ্ট গার্ডের নেতৃত্বে যৌথবাহিনী।
আজ বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) সকাল থেকে কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন (মোংলা সদর দপ্তর) নদী ও সাগরে এই অভিযান চালায়।
দেশের অভ্যন্তরীন বিভিন্ন নৌ এবং বহিঃনোঙ্গরে মাদরভ্যাসেল থেকে পন্য খালাসের পর সেসব পন্য ৭২ঘন্টার মধ্যে তা নির্দিষ্টস্থানে যাচ্ছে কিনা তার উপর কঠোর নজরদারি শুরু করেছে কোষ্টগার্ড। লাইটার জাহাজকে ভাসমান গুদাম বানিয়ে ভোজ্য তেলসহ অনান্য নিত্য পণ্য গুদামজাত করার বিষয়ে মোংলা অঞ্চলে তথ্য পাওয়া না গেলেও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন ঘটনা ঘটছে।
নৌ পরিবহন অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অনিদ্য গুহ জানান, বৃহম্পতিবার ৭১টি জাহাজ পরিদর্শন করা হয়েছে। তার মধ্যে ভোজ্য তেলের কোন জাহাজ পাওয়া যায়নি। তবে খাদ্য শস্যের যে জাহাজগুলো রয়েছে সেগুলো নির্ধারিত সময়ে খালাস হচ্ছে।
তবে অভ্যন্তরীন নৌ চলাচল অধ্যাদেশ (৬৯) এ যে সকল লাইটার জাহাজগুলো আইন ভঙ্গ করছে, এসময় ১০টি লাইটার জাহাজকে সুনির্দষ্ট ধারায় তিন লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. সিয়াম-উল-হক জানান, আমদানী পণ্য দেশের বাইরে যাতে পাচার করতে না পারে সেজন্য কোষ্টগার্ড সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছে এবং কঠোর নজরদারী করছেন বলে জানিয়েছে কোষ্টগার্ড। এছাড়া গভীর সমুদ্রে ছুরি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক পাচার বন্ধসহ দেশের বিভিন্ন অভ্যন্তরীন নৌরুটে যাত্রীদের নিরাপদে চলাচলে কোষ্টগার্ড কাজ করছে বলে জানান তিনি।