
রাজধানী মিরপুর ১ নম্বরে ফুটপাতের চাঁদা তোলার খলনায়ক ও কুখ্যাত চাঁদাবাজ জুয়েল বেপারী (ওরফে জুয়েল মুন্সী) । তার নামে একাধিক ভাবে পদবী দিয়ে ব্যবহার করে যেখানে না সেখানে ,গত স্বৈরাচারী সরকার আওয়ামী আমলে মিরপুর ১৪ আসনে! আওয়ামী লীগের এমপি হয়ে যিনি এসেছেন তারি ছায়াতলে থেকে ঠিকঠাক চালিয়ে গেছেন তার চাঁদা বানিজ্য তার অনেক অভিযোগ করেন। মিরপুরে চাঁদাবাজি লুটপাটসহ একাধিক অভিযোগ করেন মিরপুর এলাকাবাসী। মিরপুর মুক্ত বাংলা শপিং কমপ্লেক্সে মার্কেটের এক ব্যবসায়ী বলেন আমার কাছ থেকে প্রতি মাসে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা চাবি ছাড়া দাবি করতেন নাম না বলাই অনিচ্ছু।
৪ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের প্রতিহত করতে ঢাকা ১৪ আসনের, এমপি মাইনুল ইসলাম খান নিখিল এর কাছ থেকে ২০ হাজার টাকা নিয়ে বাস ভাড়া করে। এবং শ্রমিক ও হকার্স লীগের লোকজন নিয়ে মিরপুর ১০ নাম্বরে ছাত্রদের উপরে হামলা করে। শুধু হামলা নয় তাদের উপরে হামলার করার জন্য একটি অংশ টাকা ও লেনদেন করতেন। শেখ হাসিনা সরকার ৫ ই আগস্ট দেশ ত্যাগ করার পরে শাহ্ আলী থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। এই হত্যা মামলার ১১ নম্বর আসামি এই চাঁদাবাজ জুয়েল মুন্সি ওরফে সিকিউরিটি জুয়েল , সভাপতি, বাংলাদেশ আওয়ামী হকার্স লীগ শাহ আলী থানা। এই জুয়েল মুন্সির বিরুদ্ধে শাহা আলী থানায় হত্যা মামলা হলেও থেমে নেই ফুটপাত থেকে চাঁদাবাজি। মিরপুর ১ নাম্বার মুক্তিযোদ্ধা মার্কেট ছিন্নমূল মার্কেট সিটি কর্পোরেশন মার্কেট এর ফুটপাতের আড়াই শতাধিক দোকান থেকে প্রতিদিন তুলেন চাঁদা।
ফুটপাতের দোকান দখল করতে যখন তখন যে কাউকে দোকান সহ তুলে দিয়ে অন্যজনের কাছ থেকে বেশি টাকা নিয়ে তাকে বসাতে রয়েছে তার কিশোরগ্যাং বাহিনী।
বিগত আওয়ামী লীগের আমল থেকে শুরু করে এখনো চালিয়ে যাচ্ছেন তার রমরমা চাঁদাবাজি বাণিজ্য, এই জুয়েল মুন্সী চাঁদাবাজির টাকায় শুরু করেছেন ল্যান্ড ব্যবসা কিনেছেন কোটি টাকার জায়গাও। আশুলিয়ার আঁখরাইনে কিনেছেন ৭৩ সতক জমি, কাউন্দিয়া পশ্চিম পাড়া মাদ্রাসা মসজিদে সামনে স্ত্রীর নামে কিনেছেন ৫ সতক জমি।
দোকানদারদের মুক্তিযোদ্ধা হকার্স সমিতির কথা বলে এই চাঁদাবাজ জুয়েল মুন্সি, প্রতিদিন ফুটপাতের হকার দের কাছথেকে দশ টাকা করে আড়াই শতাধিক দোকান থেকে চাঁদা তুলত ২৫০০ টাকা, এই সমিতি পরিচালনা করেন তিন বছর মেয়াদ শেষে যখন এই সমিতির সদস্যরা জুয়েল মুন্সির কাছে টাকা ফেরত চান তখন তিনি টাকা দিতে নয় ছয় শুরু করেন। মিরপুরবাসী এখন এই বলেন এই জুয়েল মুন্সি কে আপনারা যদি প্রতিহত না করলে ।এখনো চাঁদাবাজি লোক দিয়ে উঠাচ্ছে বলে অনেকেই অভিযোগ করেন। এই ধরনের চাঁদাবাজি এ ধরনের দস্যু সন্ত্রাসী আমরা মিরপুরে দেখতে চাই না। সেনাবাহিনী ও পুলিশের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি আইনের আওতায় এনে তাদেরকে বিচার করুন।