Dhaka 9:12 am, Sunday, 16 March 2025

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় দুই মাস জাটকা ধরা নিষিদ্ধ

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্য রাত অর্থাৎ ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস জাটকাসহ সব ধরণের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

নিষিদ্ধ সময়ে জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে শুরু করে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকায় সরকারিভাবে নিবন্ধিত প্রায় ৪৩ হাজার জেলে সব ধরণের মাছ আহরণ থেকে বিরত থাকবে।

দুই মাসের এই জাটকা সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে জেলার মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, সদর ও হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদী উপকূলীয় এলাকায় সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভা, মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

সরেজমিন সদর উপজেলার আনন্দ বাজার, শহরের টিলাবাড়ি, বড় স্টেশন মোলহেড, পুরান বাজার রনাগোয়াল, দোকানঘর, বহরিয়া, হরিণা ও আখনের হাট জেলে পল্লী ঘুরে দেখাগেছে অধিকাংশ জেলে তাদের মাছ ধরার নৌকা ডাঙ্গায় উঠিয়ে রেখেছে। আবার অনেকে তাদের জালগুলো মেরামতের কাজ করছে।

বহরিয়া এলাকার জেলে শাহাজাহান ব্যাপারী বলেন, জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। তবে এটি বাস্তবায়ন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরো তৎপর হতে হবে। আমরা জাটকা আহরণ থেকে বিরত থাকলেও এক শ্রেণির জেলে জাটকা নিধন করে।

হরিণা ফেরিঘাট সংলগ্ন মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম সৈয়াল বলেন, নানা কারণে নদীতে ইলিশের বিচরণ কমেছে। সকলের সহযোগিতায় যদি জাটকা সংরক্ষণ করা যায়, তাহলে কিছুটা হলেও ইলিশের উৎপাদন বাড়বে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, জাটকা সংরক্ষণে পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স দায়িত্ব পালন করবে। জাটকা আহরণ থেকে বিরত থাকা জেলের জন্য ইতোমধ্যে খাদ্য সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত চাল এসেছে। এসব জেলেদের জন্য ৪০ কেজি করে (বিজিএফ) চাল ৪ মাস বিতরণ করা হয়।

নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, জাটকা সংরক্ষণ চাঁদপুরের অভয়াশ্রম এলাকায় নৌ পুলিশের প্রতিটি ইউনিট দিন ও রাতে কাজ করবে। কোন জেলে আইন অমান্য করে জাটকা নিধন করলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে আমরা জেলেদের সাথে কথা বলে সতর্ক করে দিয়েছি।

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনায় দুই মাস জাটকা ধরা নিষিদ্ধ

Update Time : 07:11:58 pm, Thursday, 27 February 2025

ইলিশের উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে চাঁদপুরের পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্য রাত অর্থাৎ ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দুই মাস জাটকাসহ সব ধরণের মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

নিষিদ্ধ সময়ে জেলার মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল থেকে শুরু করে হাইমচর উপজেলার চরভৈরবী পর্যন্ত প্রায় ৭০ কিলোমিটার এলাকায় সরকারিভাবে নিবন্ধিত প্রায় ৪৩ হাজার জেলে সব ধরণের মাছ আহরণ থেকে বিরত থাকবে।

দুই মাসের এই জাটকা সংরক্ষণ অভিযান বাস্তবায়নে ইতোমধ্যে জেলার মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, সদর ও হাইমচর উপজেলার মেঘনা নদী উপকূলীয় এলাকায় সচেতনতামূলক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সভা, মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে।

সরেজমিন সদর উপজেলার আনন্দ বাজার, শহরের টিলাবাড়ি, বড় স্টেশন মোলহেড, পুরান বাজার রনাগোয়াল, দোকানঘর, বহরিয়া, হরিণা ও আখনের হাট জেলে পল্লী ঘুরে দেখাগেছে অধিকাংশ জেলে তাদের মাছ ধরার নৌকা ডাঙ্গায় উঠিয়ে রেখেছে। আবার অনেকে তাদের জালগুলো মেরামতের কাজ করছে।

বহরিয়া এলাকার জেলে শাহাজাহান ব্যাপারী বলেন, জাটকা সংরক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে পারলে ইলিশের উৎপাদন বাড়বে। তবে এটি বাস্তবায়ন করার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আরো তৎপর হতে হবে। আমরা জাটকা আহরণ থেকে বিরত থাকলেও এক শ্রেণির জেলে জাটকা নিধন করে।

হরিণা ফেরিঘাট সংলগ্ন মৎস্য আড়তের ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম সৈয়াল বলেন, নানা কারণে নদীতে ইলিশের বিচরণ কমেছে। সকলের সহযোগিতায় যদি জাটকা সংরক্ষণ করা যায়, তাহলে কিছুটা হলেও ইলিশের উৎপাদন বাড়বে।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. গোলাম মেহেদী হাসান বলেন, জাটকা সংরক্ষণে পদ্মা-মেঘনা নদীর অভয়াশ্রম এলাকায় জেলা ও উপজেলা টাস্কফোর্স দায়িত্ব পালন করবে। জাটকা আহরণ থেকে বিরত থাকা জেলের জন্য ইতোমধ্যে খাদ্য সহায়তা হিসেবে বরাদ্দকৃত চাল এসেছে। এসব জেলেদের জন্য ৪০ কেজি করে (বিজিএফ) চাল ৪ মাস বিতরণ করা হয়।

নৌ পুলিশ চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ মুশফিকুর রহমান বলেন, জাটকা সংরক্ষণ চাঁদপুরের অভয়াশ্রম এলাকায় নৌ পুলিশের প্রতিটি ইউনিট দিন ও রাতে কাজ করবে। কোন জেলে আইন অমান্য করে জাটকা নিধন করলে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে আমরা জেলেদের সাথে কথা বলে সতর্ক করে দিয়েছি।