
তাসের ঘরের মতো একের পর এক ভেঙে পড়ছে রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্স পাওয়া ব্যাংকগুলো। অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ইতোমধ্যে ৯টির মধ্যে ৬টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন এসব ব্যাংকের কোনোটির খেলাপি ঋণ ৮৬ থেকে ৮৮ শতাংশ পর্যন্ত গিয়ে পৌঁছেছে। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, এসব ব্যাংক অনুমোদনের আগেই বিরোধিতা করেন ব্যাংক খাতের বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সরকার তখন তা আমলে নেয়নি।
ওই সময় রাজনৈতিক বিবেচনায় লাইসেন্স দেওয়া এই ব্যাংকগুলোর মধ্যে প্রথমে লুটপাট শুরু হয় ফারমার্স ব্যাংক দিয়ে (বর্তমান পদ্মা ব্যাংক)। আওয়ামী লীগ সরকারের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীরের নেতৃত্বে এই লুটপাট সংঘটিত হয়। এই ব্যাংকটি লাইসেন্স পেয়েছিল ফারমার্স ব্যাংক নামে। কিন্তু উদ্যোক্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে ২০১৭ সালে ব্যাংকটির পর্ষদ ভেঙে পুনর্গঠন করা হয়। আর ২০১৯ সালে ফারমার্স ব্যাংক নাম পরিবর্তন করা হয়সবশেষ ২০২৪ সালের ২৭ আগস্ট আগের পর্ষদ ভেঙে নতুন পর্ষদে চেয়ারম্যান করা হয় এক্সিম ব্যাংকের সাবেক এমডি মু. ফরীদ উদ্দিন আহমদকে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংকিং অ্যান্ড ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম জাহীদ ও হিসাববিদ শেখ জাহিদুল ইসলাম।জানা গেছে, ২০১৩ সালে যাত্রা শুরুর পর বেসরকারি এই ব্যাংকটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের আমানতের দিকে নজর দেয়। এরপর নামসর্বস্ব ট্রেডিং প্রতিষ্ঠান দেখিয়ে ঋণের নামে বিপুল পরিমাণ টাকা তুলে নেয়।