
কনসার্টে অংশ নিতে এখন জাপানে আছেন এরফান মৃধা শিবলু। রোববার ওসাকা এক্সপোতে পারফর্ম করেন এই গায়ক–অভিনেতা। তাঁর সঙ্গে কথা বলে যানা গেল:
ফেসবুকে দেখলাম স্ট্যাটাস দিয়েছেন ভাত দে নইলে মানচিত্র খাব! জাপানে কি ভাতের কষ্টে আছেন নাকি?
শিবলু: আরে ভাই বইলেন না, ভাত ছাড়া কি থাকা যায়? বাঙালির এ ভাত ছাড়া কি এক দিন চলে? এর মাঝে একটা ভারতীয় রেস্টুরেন্ট পেয়েছি। তবে খাবার আমাদের মতো না। ওই দেশের মানুষের উপযোগী করেই বানানো। তবে ভাত দেখেই আত্মায় শান্তি পেলাম। এক সপ্তাহ থাকব, জানি না বাকি দিন কীভাবে যাবে। আর খাবারের যে দাম এখানে!
আর কী কী সমস্যা হচ্ছে?
শিবলু: সবচেয়ে বেশি হচ্ছি ভাষাগত সমস্যা, একদম বিমানবন্দর থেকে উবার, হোটেল—যেখানেই গেছি। তাঁরা কি ইংরেজি বোঝেন না, নাকি বলতে চান না, বোধগম্য হয়নি। এ ছাড়া সব ঠিকঠাক; সুন্দর দেশ, সুন্দর মানুষ। একটু বেরিয়েছিলাম, আবহাওয়াও চমৎকার।
জাপানের সফর নিয়ে জানতে চাই
শিবলু: ওসাকা এক্সপো চলছে, সেখানে প্রতিটি দেশের জন্য বিশেষ একটি দিন রাখা হয়। রোববার (১১ মে) ‘বাংলাদেশ কান্ট্রি ডে’তে আমরা পারফর্ম করেছি। ইমন চৌধুরী, আলেয়া বেগমসহ আরও অনেক গুণী সংগীতশিল্পীর সঙ্গে ‘বেঙ্গল সিম্ফনি’র হয়ে দেশকে প্রতিনিধিত্ব করেছি, বেশ কয়েকজন দেশসেরা যন্ত্রীও আমাদের সঙ্গে আছেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও শিল্পকলা একাডেমির প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা—আমাদের এত বড় সুযোগ দেওয়ার জন্য।
শ্রোতারা নতুন গান পাচ্ছে না অনেক দিন
শিবলু: দেখুন, ‘সাদা সাদা কালা কালা’ আর ‘কথা কইয়ো না’সহ হাশিম মাহমুদের বেশ কয়েকটি গান দিয়ে শ্রোতারা আমাকে গায়ক হিসেবে চিনেছেন। হাশিম ভাই সুস্থ থাকলে হয়তো গানগুলো তিনিই গাইতেন। দুটি গানেই সুযোগ পাওয়া আমার জন্য অনেক বড় কিছু। এর বাইরে গান যে আমি তেমন করছি তা না। বেঙ্গল সিম্ফনির হয়ে পারফর্ম করছি, তা–ও তা ব্যক্তি ইমন (চৌধুরী) ভাইয়ের কারণে। বলা যায় আমার ব্যস্ততা অভিনয় ঘিরেই।