
ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন হামাসের রাজনৈতিক প্রধান ইসমাইল হানিয়া। বিষয়টি নিজেদের অফিসিয়াল যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে জানিয়েছে হামাস।
মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানী তেহরানে পার্লামেন্ট ভবনে দেশি-বিদেশি বহু অতিথির সামনে প্রজাতন্ত্রের ৯ম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন তিনি। অনুষ্ঠানের পর প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ানের সঙ্গে দেখা করেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া।
হামাস তাদের অফিসিয়াল যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে জানিয়েছে, তেহরানে পেজেশকিয়ানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হামাস নেতার পাশাপাশি ফিলিস্তিনি কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। আর এ অনুষ্ঠানে হানিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন পেজেশকিয়ান।
হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, সাক্ষাতের সময় হানিয়া পেজেশকিয়ানকে ইরানের জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য অভিনন্দন জানান। একই সঙ্গে এ সময় তিনি গাজা যুদ্ধের রাজনৈতিক ও স্থলভাগের উন্নয়ন সম্পর্কে পেজেশকিয়ানের সঙ্গে আলোচনা করেন। এছাড়া তিনি ফিলিস্তিনি জনগণকে ইরান দৃঢ়ভাবে সমর্থন করার জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
চলতি বছরের মে মাসে এক হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় মারা যান সাবেক প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। এরপর গত ৫ জুলাই রানঅফ নির্বাচনে সাঈদ জালিলিকে পরাজিত করে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন সংস্কারপন্থি হিসেবে পরিচিত মাসুদ পেজেশকিয়ান।
গত রোববার (২৮ জুলাই) তাকে ইরানের প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন দেন সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। অনুষ্ঠানটি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়।
পেজেশকিয়ানের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠান রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়। শপথ নেয়ার সময় পেজেশকিয়ান বলেন, আমি প্রেসিডেন্ট হিসেবে পবিত্র কোরআন ও ইরানের জনগণের সামনে সর্বশক্তিমান আল্লাহর নামে শপথ করছি, আমি দেশের সরকারি ধর্ম, ইসলামিক প্রজাতন্ত্রের শাসনব্যবস্থা ও সংবিধানের রক্ষক হব।
পেজেশকিয়ান দুই সপ্তাহের মধ্যে তার সরকার গঠন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। আর্মেনিয়া, তাজিকিস্তান, মিসর, সুদান, ইরাক, তুরস্ক, সৌদি আরব, আজারবাইজান, কিউবা, ব্রাজিলসহ প্রায় ৮০টি দেশের প্রতিনিধি শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত এনরিক মোরাও।
এছাড়া আঞ্চলিক ইরান সমর্থিত মিত্ররাও উপস্থিত ছিলেন। যেমন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া এবং ইসলামিক জিহাদের প্রধান জিয়াদ আল-নাখালাহ।
লেবাননের হিজবুল্লাহ আন্দোলনের প্রতিনিধিত্ব করেন গোষ্ঠীটির উপমহাসচিব নাইম কাসেম। ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের পক্ষ থেকে ছিলেন মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুলসালাম।