Dhaka 1:41 am, Wednesday, 28 May 2025

ইরান ইস্যুতে নেতানিয়াহুকে একই অবস্থানে চান ট্রাম্প: ক্রিস্টি নোয়েম

ইরান ইস্যুতে নেতানিয়াহুকে একই অবস্থানে চান ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি–বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এ বার্তা দিয়েছেন যে ইরান ইস্যুতে দুই দেশের কৌশল যেন একই রকম হয়।

গতকাল সোমবার ইসরায়েল সফর শেষ করেছেন ক্রিস্টি নোয়েম। পরে ফক্স নিউজকে তিনি বলেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাঁর খোলামেলা ও সরাসরি আলোচনা হয়েছে।

ক্রিস্টি এমন একসময় এ মন্তব্য করলেন, যখন মার্কিন ও ইরানি কর্মকর্তারা রোমে পারমাণবিক ইস্যু নিয়ে পঞ্চম দফা আলোচনা শেষ করলেন।

ক্রিস্টি নোয়েম বলেন, ‘এসব আলোচনার অগ্রগতি কেমন এবং আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এগোনো কতটা গুরুত্বপূর্ণ—সেসব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর (নেতানিয়াহু) সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশেষভাবে আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন।’

গত রোববার ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, (ইরানের সঙ্গে) আলোচনার অগ্রগতি ইতিবাচক। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমি জানি না, দুই দিনের মধ্যে আপনাদের ভালো, না খারাপ খবর দিতে পারব। তবে আমার মনে হচ্ছে, সেটা ভালো কিছুই হবে।’ ইরানের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমি জানি না, দুই দিনের মধ্যে আপনাদের ভালো, না খারাপ খবর দিতে পারব। তবে আমার মনে হচ্ছে, সেটা ভালো কিছুই হবে।

ইরানও যেকোনো ইসরায়েলি হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বানচাল করার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করেছে ইরান।

ইসরায়েল শুরু থেকেই ইরানের পরমাণু আলোচনার ব্যাপারে সন্দিহান। নেতানিয়াহু অনেক বছর ধরে বলে আসছেন, ইরান শিগগিরই পারমাণবিক বোমা তৈরি করবে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা দেশকে তাঁদের জন্য বড় হুমকি হিসেবে দেখেন। কারণ, তাঁদের দাবি—ইরান এ অঞ্চলে ইসরায়েলবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিচ্ছে।

গতকাল ক্রিস্টি নোয়েম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র জানে, নেতানিয়াহু ইরানকে বিশ্বাস করেন না। যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের জন্য বার্তা হলো, আমাদের এমন একজন প্রেসিডেন্ট আছেন, যিনি শান্তি চান। কিন্তু সেই সঙ্গে এমন একজন প্রেসিডেন্টও চান, যিনি ভবিষ্যতে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র সক্ষমতা কোনোভাবেই সহ্য করবেন না। তারা কোনো পারমাণবিক অস্ত্র পাবে না। প্রেসিডেন্ট তা হতে দেবেন না।’

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

বিনামূল্যে ব্রেকিং নিউজ পেতে ok ক্লিক করুন OK .

ইরান ইস্যুতে নেতানিয়াহুকে একই অবস্থানে চান ট্রাম্প: ক্রিস্টি নোয়েম

Update Time : 03:40:03 pm, Tuesday, 27 May 2025

যুক্তরাষ্ট্রের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি–বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস্টি নোয়েম বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষ থেকে তিনি ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে এ বার্তা দিয়েছেন যে ইরান ইস্যুতে দুই দেশের কৌশল যেন একই রকম হয়।

গতকাল সোমবার ইসরায়েল সফর শেষ করেছেন ক্রিস্টি নোয়েম। পরে ফক্স নিউজকে তিনি বলেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে তাঁর খোলামেলা ও সরাসরি আলোচনা হয়েছে।

ক্রিস্টি এমন একসময় এ মন্তব্য করলেন, যখন মার্কিন ও ইরানি কর্মকর্তারা রোমে পারমাণবিক ইস্যু নিয়ে পঞ্চম দফা আলোচনা শেষ করলেন।

ক্রিস্টি নোয়েম বলেন, ‘এসব আলোচনার অগ্রগতি কেমন এবং আমরা সবাই মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে এগোনো কতটা গুরুত্বপূর্ণ—সেসব নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর (নেতানিয়াহু) সঙ্গে কথা বলার জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশেষভাবে আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন।’

গত রোববার ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন, (ইরানের সঙ্গে) আলোচনার অগ্রগতি ইতিবাচক। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমি জানি না, দুই দিনের মধ্যে আপনাদের ভালো, না খারাপ খবর দিতে পারব। তবে আমার মনে হচ্ছে, সেটা ভালো কিছুই হবে।’ ইরানের সঙ্গে আমাদের খুব ভালো আলোচনা হয়েছে। আমি জানি না, দুই দিনের মধ্যে আপনাদের ভালো, না খারাপ খবর দিতে পারব। তবে আমার মনে হচ্ছে, সেটা ভালো কিছুই হবে।

ইরানও যেকোনো ইসরায়েলি হামলার কঠোর জবাব দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। নেতানিয়াহু যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক প্রচেষ্টা বানচাল করার চেষ্টা করছেন বলেও অভিযোগ করেছে ইরান।

ইসরায়েল শুরু থেকেই ইরানের পরমাণু আলোচনার ব্যাপারে সন্দিহান। নেতানিয়াহু অনেক বছর ধরে বলে আসছেন, ইরান শিগগিরই পারমাণবিক বোমা তৈরি করবে। ইসরায়েলি কর্মকর্তারা দেশকে তাঁদের জন্য বড় হুমকি হিসেবে দেখেন। কারণ, তাঁদের দাবি—ইরান এ অঞ্চলে ইসরায়েলবিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিচ্ছে।

গতকাল ক্রিস্টি নোয়েম বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র জানে, নেতানিয়াহু ইরানকে বিশ্বাস করেন না। যুক্তরাষ্ট্রের জনগণের জন্য বার্তা হলো, আমাদের এমন একজন প্রেসিডেন্ট আছেন, যিনি শান্তি চান। কিন্তু সেই সঙ্গে এমন একজন প্রেসিডেন্টও চান, যিনি ভবিষ্যতে ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র সক্ষমতা কোনোভাবেই সহ্য করবেন না। তারা কোনো পারমাণবিক অস্ত্র পাবে না। প্রেসিডেন্ট তা হতে দেবেন না।’